What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

চোখেরও অ্যালার্জি আছে (1 Viewer)

f1KJHZW.jpg


চোখেও দেখা দিতে পারে অ্যালার্জি। চোখের অ্যালার্জিকে বলে অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস। চোখের সামনের দিকে কালো অংশের (কর্নিয়া) শেষে দৃশ্যমান সাদা অংশটি একটি স্বচ্ছ ঝিল্লি বা আবরণে আবৃত থাকে, নাম কনজাংটাইভা। অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ায় এই ঝিল্লি বা কনজাংটাইভাতে প্রদাহ হয়। এর নাম অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস। এমন প্রদাহে আইজিই নামের অ্যান্টিবডি মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

চোখের অ্যালার্জি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরিবেশে থাকা নানা অ্যালার্জেনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এতে চোখ লাল, চোখে চুলকানি, পানি ঝরা, চোখে ফোলাভাব, পাতার গোড়ায় ফুসকুড়ি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। অনেক সময় চোখের অ্যালার্জির সঙ্গে যুগপৎ নাকের অ্যালার্জিও দেখা দিতে পারে।

একধরনের অ্যালার্জি আছে, বিশেষ বিশেষ মৌসুমেই শুধু যা পরিলক্ষিত হয়। পরিবেশে বিদ্যমান ধুলাবালু, অ্যানিমেল ডেন্ডার বা খসে পড়া ত্বক, গাছপালা বা ফুলের পরাগ বা রেণু ইত্যাদি অ্যালার্জেন থেকে এ ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা হয়ে থাকে। এতে হঠাৎ চোখ চুলকানোর পাশাপাশি চোখ লাল ও চোখে ফোলাভাব পরিলক্ষিত হয়। এটিকে বলা যায় মৌসুমি বা সিজনাল অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস।

অন্য একধরনের অ্যালার্জি আছে প্রায় সারা বছরই যা কমবেশি পরিলক্ষিত হয়। আক্রান্তদের দেহে আইজিই বেশি থাকে। এর তীব্রতার স্থায়িত্ব একটু বেশি। এতে চোখ লাল হয়, তীব্র চুলকানি হয়, চোখ মেলে তাকাতে অসুবিধা হয়, চোখ খচখচ করে। চোখের কালো অংশের চারপাশে ফুসকুড়ির মতো অথবা চোখের পাতার ভেতরের অংশে গোটা গোটা দেখা দেয়। এটি ভার্নাল কনজাংটিভাইটিস নামে অভিহিত।

আরও একধরনের অ্যালার্জি আছে। অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট, ত্বকে চুলকানি, একজিমা ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি অ্যালার্জি থাকলে মাঝেমধ্যে কারও চোখে এই অ্যালার্জি দেখা দেয়। বছরের যেকোনো সময় এটি হতে পারে।

শৈশব ও কৈশোরেই অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব একটু বেশি থাকে। আগে থেকেই যাদের বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি আছে, বিশেষ করে পারিবারিকভাবে যাদের মধ্যে অ্যালার্জির প্রবণতা আছে, তারা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এদের অনেকের রক্তেই বেশি মাত্রায় আইজিই থাকতে দেখা যায়।

চিকিৎসা

চোখের অ্যালার্জি থেকে মুক্ত থাকতে ধুলাবালু, পশু ও পোষা প্রাণীর সংস্পর্শ, বাগান পরিচর্যা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে। ময়লা বা পুরোনো কাপড়চোপড়, পুরোনো বইপুস্তক, আসবাব সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হবে। প্রসাধনসামগ্রী, সুগন্ধি ইত্যাদি ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে সলিউশন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। শরীরের অন্যান্য অ্যালার্জি থাকলে তার চিকিৎসা নিতে হবে।

অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস হলে চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শে ওলোপেটাডিন বা প্রয়োজনে স্টেরয়েডজাতীয় ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় অ্যান্টিহিস্টামিনজাতীয় বড়ি সেবন করতে হয়।

* লেখক: সাবেক সহযোগী অধ্যাপক, চক্ষু বিভাগ, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা
 

Users who are viewing this thread

Back
Top