প্রখ্যাত ইতালিয়ান ফটোগ্রাফার ডেভিড সাসোর দুটো ছবি দিয়েই শুরু করা যাক ।
আচ্ছা, এবার বলুনতো কোন ছবিটি আসল ? প্রথমটি নাকি দ্বিতীয়টি? নাকি কোনোটিই না?
আমিই বলে দিচ্ছি। সত্যি বলতে গেলে দুটি ছবিই আসল। কিন্তু পরের ছবিটি ডেভিড সাসো নিজেই এডিট করে বানিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু কেন এমন করে বানালেন ? অন্য রং দিয়ে নয় কেন?
উত্তরটা হোল, আপনি যদি সাধারণ দৃষ্টিক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ হয়ে থাকেন তবে ঝরা পাতার প্রথম ছবিটি আপনার জন্য। কিন্তু আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা ঝরা পাতার দৃশ্যটিকে দ্বিতীয় ছবিটির মতো দেখবেন। আর সব চেয়ে অবাক করা বিষয় হোল কেউ বলে দেয়ার আগ পর্যন্ত তাঁরা বুঝবেনই না যে তাঁরা ভুল রং দেখছেন! আপনি যদি এমন একজন হন তবে আপনিও দৃশ্যটি পরের ছবিটির মতো দেখবেন এবং ব্যাপারটা আপনার কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মেডিকেল সায়েন্সের ভাষায় আপনি একজন কালার ব্লাইন্ড বা বাংলায় যেটিকে বলে বর্ণান্ধ। আর আপনার বর্ণান্ধতার ধরন হচ্ছে নীল-হলুদ বর্ণান্ধতা যার ইংরেজি নাম হোল ট্রাইটোনোপিয়া।
"সবই তো বুঝলাম, কিন্তু কালার ব্লাইন্ড কী?"
"কালার ব্লাইন্ড কেন হয়?"
"আমি কি কালার ব্লাইন্ড নাকি সেটি জানতে কালার ব্লাইন্ড টেস্ট কোথায় পাবো?"
"কালার ব্লাইন্ড এর কোনো চিকিৎসা আছে?"
আপনার সবগুলো প্রশ্নের উত্তরই কিন্তু আমার কাছে আছে !
চলুন, দেখে নেই মেডিকেল সায়েন্সের এই আজব ব্যাপারটির যতসব খুঁটিনাটি বিষয়!
Last edited: