ভারতের মধ্যে দিল্লি দূষণের দিকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতা এবং শিলিগুড়ির বাতাসে দূষণের মাত্রা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে গিয়ে লকডাউনের সময়ে ঘরে বন্দি থাকার দিনগুলিতে দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে কম হলেও দুষণের নিরিখে পরিস্থিতি ফের সেই একই অবস্থানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি। উৎসবের মরসুমে যাতে বায়ুদূষণকে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই উদ্দেশ্যে প্রথমে সমস্ত রকম বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ হলেও পরে পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোয় অনুমতি দেয় আদালত। তা সত্ত্বেও দেদার বাজি পোড়ানো হয়েছে এ বছর।ফলে ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের বায়ুর গুণমান সূচক অর্থাৎ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা এ কিউ আই এখন বিপজ্জনক স্তর স্পর্শ করছে। শীত শুরুর এই সময়টায় কুয়াশা নয়, ধোঁয়াশা অর্থাৎ স্মগে ভরে উঠছে বাতাস।
করোনা সংক্রমণের পারদ এখন দেশে উপর-ণীচ করছে। কখনও বেশি, কখনও কম। তার মধ্যে এই বাড়তে থাকা দূষণ কোভিড-১৯ থেকে সদ্য সেরে উঠেছেন এমন ব্যক্তি, সারা বছর হাঁপানি জাতীয় শ্বাসকষ্টের সমস্যার ভোগেন এমন ব্যক্তি এবং সি ও পি ডি-র মতো রোগীদের জন্য ভয়ংকর পরিস্থিতি নিয়ে আসছে। সম্প্রতি এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, "দূষণ শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ করে ফুসফুসের রোগ, হাঁপানির রোগে আক্রান্ত মানুষের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। দূষণের ফলে কোভিড রোগীদের অবস্থা আরও গুরুতর ক্ষেত্রেও হতে পারে। তাই শুধু করোনা থেকেই বাঁচতেই নয়, দূষণ থেকে রেহাই পেতেও মাস্ক অবশ্যই পরা উচিত।"
দুষণ কমানোর কাজটা করতে পারে মানুষই। তার পাশাপাশি এই দূষণকে মোকাবিলা করার জন্য কী কী করবেন, এ বার দেখে নেওয়া যাক তা।
এক মাত্র প্রয়োজন হলে তবেই ভ্রমণ করুন: বায়ুদূষণের মধ্যে অবাঞ্ছিত ভাবে সর্বত্র বেরোনোর দরকার নেই। নিতান্ত প্রয়োজন না হলে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। যখন খুব দরকার তখনই এক মাত্র বাড়ির বাইরে বেরোন। কোথাও বেড়াতে যেতে হলে, পরিবেশবান্ধব জায়গায় যান, যেখানে দূষণ কম। পাশাপাশি ইকো ফ্রেন্ডোলি ট্রাভেল মোড ব্যবহার করুন। অর্থাৎ হাঁটা, অন্য কারও সঙ্গে নিজের রাইড শেয়ার করা, নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি না ব্যবহার করে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা ইত্যাদি।