ছুটন্ত ঘোড়ার পিঠে যুদ্ধরত ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট, মাথায় দুই কোনা হ্যাট। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মাথায় নকশাবহুল সুদৃশ্য হ্যাট। এমন কত ছবি আমাদের চোখে লেগে আছে। হ্যাট পরা হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর কমনীয় চাহনি, প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহর হ্যাটের নিচে কালো চশমায় ঢেকে থাকা চোখ কত হৃদয়ে ঝড় তুলেছে, তার হিসাব নেই। নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক ভি এস নাইপল কিংবা আমাদের দেশের সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদের মাথায় হ্যাট যেন ট্রেডমার্ক হয়ে গেছে। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাদারদের মাথায় এই হ্যাটের ব্যবহার চোখে পড়ে আকছার।
টপ হ্যাট মাথায় অ্যাডলফ হিটলার, ছবি: সংগৃহীত
হ্যাটের ইতিহাস কিন্তু যথেষ্ট প্রাচীন। বিভিন্ন প্রাচীন গুহাচিত্রে এই হ্যাট বা টুপির দেখা মিলেছে। ৩২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে গ্রিসের থিবসের এক বাঁধানো কবরের দেয়ালে খড়ের টুপি পরিহিত এক লোকের ছবি পাওয়া গেছে। তখন কলাপাতা, ঘাস বা খড় দিয়ে তৈরি হতো হ্যাট। এরপর চামড়া, কাঠ, ধাতুর পাত দিয়ে বানানো হতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণসামগ্রীতে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি হ্যাটের ব্যবহারেও এসেছে পরিবর্তন। মূলত রোদ, ঠান্ডা, ঝড়-বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচানোর জন্য ব্যবহার শুরু হলেও হালে হ্যাট হয়ে উঠেছে ফ্যাশন অনুষঙ্গ।
টপ হ্যাট পরেন মার্কিন সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফটও, ছবি: সংগৃহীত
আজ ১৫ জানুয়ারি, হ্যাট দিবস। বিভিন্ন ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, নিদেনপক্ষে ১৯৮৩ সাল থেকে আমেরিকায় প্রতিবছর দিবসটি উদ্যাপিত হয়ে আসছে। আরেকটি সূত্র অনুযায়ী, দিবসটি প্রথম উদ্যাপিত হয় ১৭৯৭ সালে। টপ হ্যাটের জনক বলে খ্যাত ইংরেজ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জন হ্যাথেরিংটন সে সময় দিবসটির প্রচলন করেন।
লেখক: কবীর হোসাইন | ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার অবলম্বনে