একদিন ঘুম ভেঙে দেখলেন চোখের পাতা তুলতে পারছেন না। ওপরের পাতা যেন নিচের পাতার সঙ্গে লেপ্টে আছে। শত চেষ্টাতেও আর চোখ খুলতে না পেরে দুশ্চিন্তায় ডুবে গেছেন—স্ট্রোক বা হাত–পা অবশ হয়নি, মুখ বেঁকে যায়নি, অন্য কোনো শারীরিক সমস্যাও নেই, তাহলে হঠাৎ কেন চোখের পাতা এভাবে পড়ে গেল?
চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় চোখের ওপরের পাতা পড়ে যাওয়ার এ অবস্থাকে বলে 'টোসিস'। স্বল্পমাত্রায় টোসিস হলে চোখ আধখোলা অবস্থায় থাকে, তবে বেশি মাত্রায় হলে পুরো চোখই বন্ধ হয়ে যায়।
হলিউড অভিনেতা ফরেস্ট হুইটেকারও টোসিস রোগী, ছবি: উইকিপিডিয়া
কারণ কী
একজন টোসিস রোগী, ১৮৫২, ছবি: উইকিপিডিয়া
চিকিৎসা
টোসিস এক বা দুই চোখেই হতে পারে। এর সঙ্গে চোখে দুটো দেখা (ডাবল ভিশন) অথবা মাথাব্যথার সমস্যা থাকতে পারে। অনেক সময় এ রোগের সঙ্গে শরীরের অন্যান্য মাংসপেশির দুর্বলতাও থাকে।
এ রোগের কারণ সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হলে রোগীর ইতিহাস ভালোভাবে শুনতে হবে ও মনোযোগসহকারে তার শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স ইমেজিং) অথবা এনসিএস (নার্ভ কন্ডাকশন স্টাডি) করা লাগতে পারে। ধূমপায়ী রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই বুকের এক্স-রে করতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে তা নির্ণয় করা জরুরি।
চোখের পাতা পড়ে যাওয়ার চিকিৎসা মূলত এর কারণের ওপর নির্ভর করে। সঠিকভাবে কারণ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করলে বেশির ভাগ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়।
লেখক: ডা. নাজমুল হক | সহকারী অধ্যাপক, নিউরোলজি বিভাগ, মুগদা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় চোখের ওপরের পাতা পড়ে যাওয়ার এ অবস্থাকে বলে 'টোসিস'। স্বল্পমাত্রায় টোসিস হলে চোখ আধখোলা অবস্থায় থাকে, তবে বেশি মাত্রায় হলে পুরো চোখই বন্ধ হয়ে যায়।
হলিউড অভিনেতা ফরেস্ট হুইটেকারও টোসিস রোগী, ছবি: উইকিপিডিয়া
কারণ কী
- সাধারণত চোখের পেশি নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুর সমস্যা থেকেই টোসিসের উৎপত্তি। চোখের স্নায়ুর এ সমস্যার কারণ বিবিধ—মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগ, ডায়াবেটিসজনিত স্নায়ুরোগ। মস্তিষ্কের টিউমার থেকে শুরু করে কখনো কখনো ফুসফুসের টিউমারও হতে পারে কারণ।
- চোখের মাংসপেশির দুর্বলতা বা 'মায়োপ্যাথি'র কারণেও চোখের পাতা পড়ে যায়।
- স্নায়ু ও পেশির সন্ধিস্থলের রোগ 'মায়েস্থেনিয়া গ্রেভিস'–এর কারণেও টোসিস হতে পারে।
একজন টোসিস রোগী, ১৮৫২, ছবি: উইকিপিডিয়া
চিকিৎসা
টোসিস এক বা দুই চোখেই হতে পারে। এর সঙ্গে চোখে দুটো দেখা (ডাবল ভিশন) অথবা মাথাব্যথার সমস্যা থাকতে পারে। অনেক সময় এ রোগের সঙ্গে শরীরের অন্যান্য মাংসপেশির দুর্বলতাও থাকে।
এ রোগের কারণ সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হলে রোগীর ইতিহাস ভালোভাবে শুনতে হবে ও মনোযোগসহকারে তার শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স ইমেজিং) অথবা এনসিএস (নার্ভ কন্ডাকশন স্টাডি) করা লাগতে পারে। ধূমপায়ী রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই বুকের এক্স-রে করতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে তা নির্ণয় করা জরুরি।
চোখের পাতা পড়ে যাওয়ার চিকিৎসা মূলত এর কারণের ওপর নির্ভর করে। সঠিকভাবে কারণ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করলে বেশির ভাগ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়।
লেখক: ডা. নাজমুল হক | সহকারী অধ্যাপক, নিউরোলজি বিভাগ, মুগদা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা