What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

MOHAKAAL

Mega Poster
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
2,263
Messages
15,953
Credits
1,447,334
Thermometer
Billiards
Sandwich
Profile Music
French Fries
ক্ষমতার জোরের সামনে অসহায় শবনম ফারিয়া ১ by orbachin1

হিংস্র মমতা

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জামিল সাহেব একজন অত্যন্ত ব্যস্ত এবং বিচক্ষণ মানুষ। তার স্ত্রী মারা গেছেন অনেক দিন হলো। তার একমাত্র সন্তান ইফতির দিকে তাকিয়ে তিনি আবার বিয়েও করেন নি। নিজের হাতে ছেলেটাকে বড় করেছে। এই ক-দিন আগে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হওয়া ইফতির বয়স আজ একুশে পড়লো, মাঝেমধ্যে তার ভেবে অবাক লাগে যে, সময় কত দ্রুত চলে যায়। নিজের রাজনীতি জীবন শুরু করেছিলেন পার্টির একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে। আজকে তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের একটির প্রধান দায়িত্বে আছেন। তার সিধান্তে একটু উল্টাপাল্টা হলে যেকোনো সময় দেশের উপর বয়ে যেতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়। তাই পরিবার এবং রাজনীতি এবং ব্যক্তিগত দায়িত্বের চেয়েও রাষ্ট্রের দায়িত্বকে সব সময় তিনি প্রায়োরিটি দেন। তবে নিজের ছেলেকে তিনি সম্পূর্ণ সময় দেন। ছেলের সাথে তার সম্পর্কটা বাবা-ছেলের চেয়ে বেশি বন্ধুর সম্পর্ক। ছেলের আবদার রাখার জন্য সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেন। মা মরা ছেলে কিছু চাইলে তিনি সেটা না দিয়ে পারেন না। এইতো কয়েক বছর আগে, ছেলের আচমকা আবদার রাখতে গিয়ে, ব্রাজিল ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের টিকেট ম্যানেজ করতে গিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা নিয়ে ব্রাজিলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন দিয়ে অনেক কষ্টে টিকিট ম্যানেজ করে ওই রাতেই ছেলেকে ফাইনাল ম্যাচ দেখতে ব্রাজিল পাঠিয়েছিলেন। ঘটনা জানাজানি হয়ে যাবার পর পত্রিকায় বিস্তর সমালোচনা হয়েছিলো। কিন্তু তিনি জানেন একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি আসলে একজন বাবা। তার ছেলে যা চায় তা দেয়ার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পিছপা হন না তিনি। আর তার ছেলেটাও ভয়াবহ মেধাবী। এই বয়সে যা দুর্দান্ত সব বই পড়েছে, সিনেমা দেখেছে। নিজের পুরো জীবনেও এতো বই পড়েন নি, সিনেমা দেখেন নি জামিল চৌধুরী। তার ছেলে কলেজ লেভেলে পুরো বাংলাদেশের দাবা চ্যাম্পিয়ন। নিয়মিত কবিতা লেখে, তার কবিতা দেশের স্বনামধন্য সব পত্রিকায় প্রতিনিয়ত ছাপা হয়। মন্ত্রীর ছেলে বলে কোন ধরনের সুবিধা পাবে, এই সন্দেহে কখনোই সে নিজের নামে কবিতা পাঠায় না। নিজের লেখা কবিতা ছদ্মনামে ছাপায় সে। সেই কবিতাগুলো যখন পত্রিকায় ছাপা হয় জামিল চৌধুরী আনন্দে মনটা ভরে যায়। এমন মেধাবী ছেলের বাবা হিসেবে গর্বের শেষ নেই তার। আজ পর্যন্ত ইফতি চেয়েছে কিন্তু তিনি এনে দিতে পারেন নি এমন ঘটনা ঘটেনি।

তাই নিজের ২১-তম জন্মদিনে ইফতি যখন বাবার কাছে এমন একটা অন্যায় আবদার করে বসলো তখন তিনি কিছুটা বিচলিত হয়ে গেলেন। শুরুতে খানিকটা রাগ উঠলেও পুরো ব্যপারটা বুঝে নিতে দেরি হলো না তার। জামিল চৌধুরী ভেবে দেখলেন, তার ছেলের বয়স হয়েছে ২১ বছর। এই বয়সে জামিল চৌধুরী হেন কোন খারাপ কাজ নেই যে করেন নি। সে হিসাবে তার ছেলেটাকে ফেরেশতা বলা চলে। তাছাড়া ছেলেটা যা চেয়েছে তা কোন খারাপ চাওয়া নয়। বরং খুব স্বাভাবিক চাহিদা। তিনি খবর নিয়ে দেখেছেন ইফতির বন্ধুরা এই বয়সে গাজা- মদ নেশায় ডুবে আছে। অথচ ইফতি সরবোচ্চ সিগারেট খায়। তাও খুব অনিয়মিত। আমাদের দেশে সাধারণত 13-14 বছর বয়সে অর্থাৎ টিনেজ বয়সে ছেলেমেয়েদের যৌনতার ব্যপারগুলো মাথায় ঘুরতে শুরু করে। তার ছেলের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়। অথচ সে নিজেকে সংযত রেখেছে। দেশের সংবিদান অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেই এমন আবদার করেছেন। উল্টাপাল্টা কিছু করে বাপের মান সম্মান না ডুবিয়ে সরাসরি বাপের কাছে চেয়েছে সে। তার নিজেরেই আরো আগ বয়সেই এ শখ জেগেছিলো। কিন্তু পূর্ণ করার কেউ ছিলো না। কিন্তু ইফতির জন্য তিনি আছেন। জামিল চৌধুরী সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন দুনিয়া উলটাইয়া হলেও ছেলের এই আবদার তিনি রাখবেন। ছেলের ২১-তম জন্মদিনের কেক কেটে যখন নতুন গাড়িটা ছেলেকে গিফট করে জিজ্ঞেস করলেন,
– এইটা তো আমার পছন্দে দিলাম। এবার তুই একটা চা, তোর পছন্দে। যা ইচ্ছা।
ইফতি তার কানের কাছে মুখটা এনে খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললো,
– মডেল, অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াকে আমার একরাতের জন্য চাই বাবা।

জামিল সাহেব ভেবে পেলেন না! তার ২১ বছরের ছেলে কি করে ৩০ বছরের ধামড়া মডেলটাকে নিজের জীবনের সবচে কামনার বস্তু বানালো। আরে ব্যাটা চাইবিই যখন তোর বয়েসি কাউরে চা। তোর বাপ তো সেটা ম্যানেজ করতে পারবেই। জামিল চৌধুরী ভালো করেই জানেন, এসব মডেলদের দেমাগের শেষ নাই। লাখ-ক্ষটি টাকা অফার করলেও এই মেয়ে রাজি না হতে পারে এবং এই অফারের খবর মিডিয়ায় লিক করে তার বদনাম করতে পারতে। এদেরুপর বিশ্বাস নেই। কাজটা হার্ডলাইনে করতে হবে। তার হার্ডলাইনের সকল কাজ করে দেয় শফিক আহমেদ। শফিক এই পৃথিবীর সবচে দুরন্ধর শয়তান্দের একটা। এমন কোনো অন্যায় কাজ নেই শফিক ম্যানেজ করতে পারে না। কাজ ম্যানেজ করতে গিয়ে লাশের সারি ফেলে দিতেও তার হাত কাপে না। মুচকি হাইসা বলে, দূর শালার এই কাজের জন্যও লাশ ফালাইতে হলো। জামিল চৌধুরী ওই রাতেই শফিককে ঘটনা খুলে বললেন। শফিক বললো,
– স্যার, আপনে মাঝেমধ্যে বড়ো শরমিন্দা করেন। এইসব কাজে আপনার যদি ভাবতে হয় তাইলে আমরা আছি কেন! ইফতি বাবা একটা শখ করছে সেইটাতো পূরণ করতেই হয়। আপনে ইফতি বাবারে বলে দিবেন, তোর শফিক চাচা বিষয়টা দেখতেছে। এরপর আমরা চাচা-ভাতিজা ব্যপারটা বুঝে নিবো। এক সপ্তাহের মধ্যে সব ব্যবস্থা না করলে আমার নামে কুত্তা পাইলেন স্যার।
– হা হা। তোমার উপর আমার ভরসা আছে শফিক। ৭ দিন বলছো মানে তিনদিনেই কাজটা তুমি করে ফেলবা।

রাত ১১টা বেযে ২০মিনিট, শবনম ফারিয়া তার এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি থেকে নিজের বাসায় ফিরছে। তার মন খুব একটা ভালো নেই। পার্টিতে আড়ালে-আবডালে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের নোংরা গসিপ শুনে একধরণের বিরক্তি ও রাগ নিয়ে পার্টি শেষ না করেই বেরিয়ে এসেছে সে। ২০১৫ সালে ফেসবুকে ফারিয়া-অপুর পরিচয়। সেখান থেকে বন্ধুত্ব ও প্রেম। তিন বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা আংটি বদল করে। গত বছরের পয়লা ফেব্রুয়ারি জমকালো আনুষ্ঠানিকতায় বিয়ে হয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপুর। মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের চোখজুড়ানো অবকাশযাপন কেন্দ্র 'জল-জোছনা'য় খোলা আকাশের নিচে ছিল তাঁদের বিয়ের নান্দনিক আয়োজন। আনুষ্ঠানিক বিয়ের ঠিক ১ বছর ৯ মাসের মাথায় ২০২০-এর শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয় তারা। একবছর হতে চললো, কিন্তু এখনো মানুষের খোঁচা মেরে কথা বলা শেষ হয় নি। তবে সাবেক স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রকার তিক্ততা নেই তার। পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিচ্ছেদের এই ধকল সামলাতে চেষ্টা করেছেও তাঁরা। বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, কিন্তু ভালোবাসা বা বন্ধুত্বে বিচ্ছেদ হয়নি। যতদিন বেঁচে আছে, তাদের ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব থাকবে। বিচ্ছেদের ঘটনা ভক্তদের জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তাঁরা লিখেছিলো, "শুধু বৈবাহিক বন্ধন থেকে আমাদের সম্পর্কের ইতি টানলাম। এ ঘটনা আমাদের জীবনের গতিকে হয়তো রোধ করবে, ছন্দপতন আনবে, কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না।" এসব কথা ভাবতেই ভাবতেই বিরক্ত হয়ে ড্রাইভারকে কিছু বলতে যাচ্ছিলো ঠিক তখনি গাড়িটা থেমে গেলো সংসদ ভবনের একটা পুলিশ চ্যাকপোস্টের সামনে। দুজন পুলিশ এগিয়ে এসে বললো,
– রুটিন-চ্যাক ম্যাডাম। দয়া করে গাড়ি থেকে নেমে নিচে দাড়ান। পুলিশের কাজে সহযোগিতা করুন। আমরা দ্রুতই ছেড়ে দেবো।

ফারিয়া রাজ্যের বিরক্তি নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ালো। দুইজন পুলিশ গাড়ির ভিতরে-বাইরে কিছুক্ষণ তল্লাসি চালিয়ে যা বের করে আনলো তা দেখে ফারিয়ার চক্ষু চড়কগাছ। দুটো রিভলবার গোছের বন্দুক আর এক ব্যাগ সাদা পাউডার, (পরে জেনেছিলো এগুলো কোকেন) ফারিয়া হতবম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। পুলিস প্রথমেই ফারিয়ার ফোন কেড়ে নিলো। তারপর ড্রাইভারকে গ্রেফতার করে পুলিশ ভ্যানে তুললো। অফিসার গুছের একটা লোক এগিয়ে এসে বলল,
– ম্যাডাম, আপনি আসুন আমাদের সাথে।

তারপর ফারিয়াকে পুলিশ চ্যাকপোস্টের ছোট একটা অস্থায়ী রুমে বসতে বলে। অফিসার লোকটা বলল,
– ম্যাডাম, উপর লেভেলে পরিচিত কেউ থাকলে তাকে ফোন দেন। খামোখা বাড়াবাড়ি করে লোক জমায়েত করে বা মানুশকে জানিয়ে ফায়দা নিতে চাইলে আপনি বিপদে পরবেন। আমাদের কাছে হার্ড প্রুফ আছে। সংসদ এলাকায় অবৈধ অস্ত্র আর কোকেনের জন্য জেলে পর্যন্ত যাওয়া লাগবে আপনার। আমরা আপনার সাথে ঝামেলায় যেতে চাচ্ছি না। আপনি উপর লেভেল থেকে অর্ডারের ব্যবস্থা করে দেন। আমরা বাকিটা চেপে যাবো।
– আপনি গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খানকে ফোন দিয়ে বলেন আমাকে গ্রেফতারের কথা।

পুলিশের লোকটা নাম্বার ডায়াল করে ফারিয়ার হাতে ফোন দিলো। গোলাম আজাদ সম্পর্কে তাদের মামা হোন। গোলাম আজাদ ফোন ধরতেই ফারিয়া হড়বড় করে পুরো ব্যাপারটা খুলে বললো। সব শুনে আজাদ সাহেব বললেন,
– তুমি অফিসারটার কাছে ফোন দাও। চিন্তা করোনা আমি দেখছি।

অফিসারের হাতে ফোনটা দিতেই লোকটা ফারিয়ার সামনে থেকে সরে গিয়ে আড়ালে দুই-তিন মিনিট কথা বলে আবার ফারিয়ার হাতে ফোন দিয়ে বললো,
– কথা বলেন।
– হ্যাঁ, আংকেল বলেন।
– খুব বাজে অবস্থায় ফেঁসে গেছিস রে মা। আমার ক্ষমতায় তোকে ছাড়াতে পারবো না।
– মানে কি এসবের! পুলিশের আইজি না আপনার পরিচিত? উনাকে ফোন দিয়ে বলেন।
– আইজির বাপ আসলেও তোকে হেল্প করতে পারবে নারে মা। সবার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে।
– তো! কি করবো এখন?
– আমি একটা নাম্বার টেক্সট করছি। তুই নাম্বারটায় ফোন দিয়ে পুরো প্রবলেম খুলে বল, একমাত্র ওই লোক পারবে তোকে হেল্প করতে।

নাম্বারটা পেতেই আর দেরি না করে ফোন দিলো। ফোনের রিংটোন বাজতেই শফিক মিয়ার ঠোঁটে একটা নোংরা হাসি ফুটে উঠলো। ফোন ধরতেই অপরপ্রান্ত থেকে ফারিয়া হড়বড় করে পুরো ব্যাপার খুলে বলল। শফিক বললো,
– ম্যাডাম, আপনি বসেন আমি আইতেছি। আইসাই সমাধান দিতেছি।

ফোন রাখার তিন থেকে চার মিনিটের মাথায় লোকটা স্পটে এসে হাজির হলো। পুলিশ লোকেরা উঠে গিয়ে লোকটার সাথে খুশ গল্প শুরু করে দিলো। তারপর লোকটা একটু জোর গলায় বললো,
– যা যা প্রমাণ পাইছত এসব তোদের কাছ রাখ ভাই। আমি ম্যাডামরে আমার গাড়িতে করে উনার বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি। রাস্তায় উনারে আমি সমাধানের পথ বইলা দিবোনে। উনি মানলে তরা প্রমান সব হাওয়া কইরা দিবি। আর না মানলে, কি হবে সেটা পরে ভাববো।

লোকটা এবার ফারিয়াকে গাড়িতে উঠতে বললো। ফারিয়ার অস্বস্তি ভয় দুটোই লাগছে। একদম অপরিচিত এই লোকটার সাথে এই মাঝরাতে গাড়িতে উঠতে সাহস হচ্ছে না। ভালোই টাকা খসবে তার সে বুঝতে পারছে। তার অবস্থা বুঝতে পেরে পুলিশের লোকটা বললো,
– নির্ভয়ে যান ম্যাডাম। উনি আমাদের বসের বস। পুলিশেরই লোক। আপনাকে সাবধানে পৌঁছে দেবেন।

সঙ্গে থাকুন …
 

Users who are viewing this thread

Back
Top