শীতকাল মানেই ত্বকের একটু বাড়তি যত্ন। কারণ, বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ত্বকের রুক্ষতা বহুগুণ বেড়ে যায়। শীতল বাতাস, কম আর্দ্রতা ও কম তাপমাত্রার কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ত্বকের ক্ষতির পরিমাণ বাড়ে। ত্বকের কোষগুলো ভাঙতে থাকে, ত্বকে আসে কালচে ভাব। এ ছাড়া এই সময়ে ত্বকের নমনীয় ভাব কমে আসে, কালো দাগও বেশি ফুটে ওঠে।
শীতকালে রোদের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। খালি চোখে তা বোঝাও বেশ কঠিন। তাই ত্বকের কালচে ভাব ও কালো দাগ কমিয়ে ত্বকে সজীবতা ধরে রাখতে ঘরোয়া যত্নই হতে পারে সবচেয়ে সহজ সমাধান। বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বললেন শীতে সহজে পাওয়া এমন উপাদানে ত্বকচর্চার উপায়।
গাজর
গাজর ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে বহুগুণ। এতে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন 'এ' আছে ভরপুর, যা শীতকালে রোদে পোড়ার সমস্যা থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এ ছাড়া ত্বকের কালো ভাব দূর করতেও সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য প্যাক
গাজরের মিশ্রণ পরিমাণমতো, মধু ১ চা-চামচ, দুধের সর ১ চা-চামচ ও নারকেল তেল ১ চা-চামচ। সব উপকরণ মিলিয়ে মুখে ব্যবহার করে ১৫ মিনিট রাখতে হবে। সপ্তাহে ২ দিন এই প্যাকে কিন্তু ত্বক উজ্জ্বল রাখবে শীতকালেও।
গ্লিসারিন
শীতকালে গ্লিসারিন পাওয়া বেশ সহজ। ত্বকের কালো ভাব দূর করতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে বেশ ভালো কাজ করে গ্লিসারিন।
প্রথমে মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এবার তুলা দিয়ে মুখ মুছে নিতে হবে। গ্লিসারিন তুলায় ভিজিয়ে ঠোঁট ও চোখের অংশটি বাদ দিয়ে মুখে ব্যবহার করতে হবে। মুখ ধোয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। গ্লিসারিন ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বকের কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং উজ্জ্বল করে। ত্বক খুব রুক্ষ হলে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। বাকি ক্ষেত্রে সপ্তাহে ২ দিনই যথেষ্ট।
কমলা
কমলায় থাকে ভিটামিন 'সি' এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ত্বকের কালো দাগ কমানোর পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে এটি।
ত্বকের জন্য প্যাক
কমলার খোসা পরিমাণমতো, ১ চা-চামচ মধু ও ২ চা-চামচ দুধ দিয়েই প্যাকটি তৈরি করা যাবে। কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে বেটে নিতে হবে। এর সঙ্গে ১ চা-চামচ মধু ও ২ চা-চামচ দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে ব্যবহার করুন। মুখ পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন সহজেই এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
[FA]pen[/FA] লেখক:রিফাত পারভীন, ঢাকা