ইভটিজিং
দীপুর অন্যতম প্রিয় বন্ধু যুবরাজ ইদানিং সিরাজ স্যারের মেয়ে ফারিহার সাথে চুটিয়ে প্রেম করছে। এনিয়ে বন্ধু মহলে রসাত্নবোধক আলোচনার কমতি নেই। টিফিন আওয়ারে তো বটেই এমনকি বন্ধুদের সাথে স্কুলের আগে পরে যখনই দেখা হয়, সবার আগে আলোচনায় আসে যুবরাজ আর ফারিহার প্রেমের প্রসঙ্গে। বন্ধুরা যুবরাজকে মাঝে মধ্যে সাবধানও করে, ব্যাপারটা স্যার জানতে পারলে ভয়াবহ কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। তবে যুবরাজের এতে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হয় না। এরই মাঝে ছোটম যুবরাজকে পরামর্শ দেয়, কৌশলে কোনোভাবে সিরাজ স্যারকে বিষয়টা আগে ভাগে জানিয়ে দিতে পারলে কিংবা ইশারা ইঙ্গিতে ব্যাপারটা স্যারের নলেজে দিয়ে দিতে পারলে ভবিষ্যতে হয়তো এতে সুফল পাওয়াও যেতে পারে। ছোটমের পরামর্শটা যুবরাজের মনে ধরে। সেদিন থেকেই যুবরাজ তক্কে তক্কে আছে, কি করে কৌশলে ব্যাপারটা স্যারের নলেজে দেয়া যায়...
সেদিন সিরাজ স্যার ক্লাসে সব ছাত্রদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করলেন,
স্যারঃ ইভটিজিং আর লাভের মাঝে পার্থক্য কি ?
মওকা পেয়ে সবার আগে যুবরাজ দাঁড়িয়ে গেলো,
যুবরাজঃ স্যার, মেয়েরা রাজি থাকলে লাভ, আর না থাকলে ইভটিজিং ।
যুবরাজের কথায় স্যারকে বেশ সন্তুষ্টই মনে হলো। এবার স্যার যুবরাজকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করলেন,
স্যারঃ তুমি কি ইভটিজিং করো ?
এবার যুবরাজ মওকা কাজে লাগালো,
যুবরাজঃ না, স্যার। আমি ইভটিজিং করি না। তাছাড়া আমি ইভটিজিং করবোই বা কেনো ? ফারিহা তো রাজিই আছে...