What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Collected উচিৎ কথার গপ্পো (1 Viewer)

dukhopakhi

Global Moderator
Staff member
Global Mod
Joined
Mar 3, 2018
Threads
98
Messages
10,973
Credits
103,718
LittleRed Car
LittleRed Car
Camera photo
T-Shirt
Thermometer
Glasses sunglasses
মূল লেখকঃ মোস্তাফিজুর রহমান টিটু





প্রায় দুই বছর পরে ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে গেছে । ম্যাডাম ক্লাস শুরু করলেন,
পরমাণু হলো ...
ম্যাডাম আপনার মনে হয় ভুল হচ্ছে ।
এক ছাত্র দাঁড়িয়ে বললো ।
কি ভুল ?
ম্যাডাম আপনি যে বললেন পরমাণু ঐটা মনে হয় পরিমনি হবে ।
মানে?
ম্যাডাম অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো ।
না ম্যাডাম অনেকদিন তো স্কুলে আসি নাই । এই সময়টায় টিভি, সংবাদপত্র, ফেসবুক এমনকি আব্বা, আম্মাও তো সব সময় পরিমনি নিয়ে কথা বলতেন । তাই আমার মনে হয় আপনিও পরিমনি নিয়ে কথা বলতে চাইছেন ।

এই কৌতুকটা আসলে কৌতুক না, মেল শোভিনিজমের নগ্ন প্রকাশ । কিন্তু কৌতুকটা ভালো না লাগলেও এটা শুনে পিছনে ফেলা সময়ের কথা মনে পড়ে গেলো ।
ছেলেবেলায় সিনেমা হলে গিয়ে যতগুলো ছবি দেখেছি তার একটা বড় অংশ দেখেছি বড় আপার সাথে । বড় আপা অবশ্য সিনেমা বলতেন না, বলতেন বই । ঐ সময়ে অনেকেই বই বলতেন, কেনো বলতেন তখন ভাবি নাই কিন্তু এখন ভাবনাটা মনে আসছে । যাই হোক কেউ যদি জানেন তাহলে জানাবেন ।
থাকতাম তখন মহাখালী হাজারিবাড়ি পাড়ায় । কাছের সিনেমা হল ছিলো ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হল । শাহীন হল অবশ্য আরো একটু কাছে ছিলো কিন্তু ওখানে বেশী যাওয়া হয় নাই । হল ছোট তার চাইতেও বড় কারণ মনে হয় নতুন ছবি কম আসতো শাহীন হলে ।
মহাখালী থেকে পাঁচ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে আনন্দ সিনেমা হলে যেতাম । টিকিটের দাম ছিলো সর্বোচ্চ দশ টাকা আর সর্বনিম্ন চার টাকা । তবে বেশীরভাগ দিনেই ব্লাকে টিকিট কাটতে হয়েছে । কারণ আমরা যে ছবিগুলো দেখতে যেতাম তার সবগুলোই হাউজফুল থাকতো । এখনকার মানুষের মতো দুনিয়ার সমস্ত বিনোদন মোবাইলের অল্প কয়েক ইঞ্চির মধ্যে তখনো ঢুকে যায় নাই । মানুষ তখনো সিনেমা হলে যেতো ।
যেসব ছবি দেখেছি তার কাহিনীগুলো তেমন মনে নাই । এর মাঝে একটা ছবির কথা কিছুটা মনে আছে । শাবানা নায়িকা আর বুলবুল নায়ক । ছবি শুরু হবার দশ মিনিট পর থেকে শাবানা কান্নাকাটি শুরু করলো আর শেষ দৃশ্য পর্যন্ত সেই কান্না চলতেই থাকলো । শাবানা অভিনীত অনেক ছবিই তখন এরকম ছিলো । আমার মনে হয় শাবানা অন স্ক্রিন যতটুকু সময় কেঁদেছেন এ যুগের কোনো নায়িকা তাদের সমগ্র জীবনে অতটা সময় অভিনয়ও করেন না । ঐ ছবিতে শাবানা ছিলেন শ্বশুর, শ্বাশুরি, ননদ এমনকি স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত এক নারী । ছবি শুরু হবার কিছুক্ষণ পর থেকেই আশে পাশে ফোঁপানোর শব্দ পাচ্ছিলাম । সময় যত যায় ফোঁপানোর শব্দ ততো বাড়তেই থাকে । তীব্র ফোঁপানোর শব্দের মাঝেই ছবি শেষ হয় । লাইন ধরে যখন হল থেকে বের হচ্ছি তখন আমার সামনের দুইজন আলাপ করছে ।
শাবানা আফায় বেহেশতে যাইবেই যাইবে ।
শুনে পাশেরজন মাথা নাড়তে নাড়তে বলেন
ঠিকই কইছোস, এরকম মানুষ বেহেশতে যাইবেই ।

আরো একটা ছবির কথা মনে আছে । এই ছবিটার নামটাও মনে আছে; নদের চাঁদ । এই ছবিটা যেদিন দেখতে যাই সেই দিনটা আমার কুফা দিন ছিলো । সকালে মার্বেল খেলতে গিয়ে রংধনু রং এর বড় ডেঙ্গাটা জলিলের কাছে হারলাম । ( ডেঙ্গা কি সেটা ভেঙ্গে বলতে পারবো না, আমাদের সময়ের মানুষরা ডেঙ্গা, চুই এসব বললেই বুঝতে পারবে) । আরো একটু পরে সিগারেটের প্যাকেটের তাস খেলতে গিয়ে রাজুর কাছে দুইটা দামী ব্রিগেড হারাইছি । দুংখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ছবি দেখতে গেলাম । ছবির কাহিনী হলো নায়ক ফারুক কঠিন এক মন্ত্র জানে । সেই মন্ত্র পড়ে পানি ফারুকের গায়ে ছিটালে সে কুমির হয়ে যায় । আবার একই পানি ছিটালে সে কুমির থেকে মানুষ হয়ে যেতে পারে । মন্ত্র পড়া ছিটানো পানিতে ফারুক কুমির হয়ে গেলো । কিন্তু এরপরেই ভিলেন মন্ত্র পড়া বাকি পানিটুকু ফেলে দিলো । ব্যস ফারুক আর কুমির থেকে মানুষ হতে পারে না । কুমির হয়ে নদ-নদীতে ঘুরে বেড়ায় । জমজমাট গল্প । সে রাতেই স্বপ্ন দেখলাম আমিও ঐ মন্ত্র শিখে ফেলেছি আর মন্ত্র দিয়েই জলিল আর রাজুকে কুমির বানিয়ে ফেলেছি ।

মজার ব্যাপার হলো এই স্বপ্নটা হঠাৎ হঠাৎ এখনো দেখি । তবে স্বপ্নে কাদের কুমির বানাই সেটা বলতে পারবো না । ৫৭ ধারার ভয় তো আছেই তার চাইতেও বড় কারণ দেশের শোল, বোয়াল, টাকি পুটি মাছের প্রতি মায়া । এরা কুমির হলে দেশের পানিতে আর কোনো প্রানীই তো থাকতে পারবে না । অবশ্য আমি বলি আর না বলি এরা এমনিতেও গোটা দেশটাই এক সময় কুমিরের মতই গিলে খাবে ।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top