What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Other বাংলার গর্ব রুনা লায়লা (1 Viewer)

jcfFbEs.jpg


গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে, গান নয় জীবন কাহিনি, চঞ্চল হাওয়া রে, আমি হাজার বছর ধরে, চন্দ্র-তারার নিচে খুঁজেছি তোমায়, আমি চলতে গিয়ে পথ চলে না, এই বৃষ্টি ভেজা রাতে, যখন থামবে কোলাহলসহ এমন অসংখ্য অসংখ্য জনপ্রিয় গানের যে মধুর কণ্ঠে প্রায় পাঁচ দশক ধরে আমাদের শ্রোতামহলে কণ্ঠের রাজত্ব করে আসছেন রুনা লায়লা। শুধু দেশেই নয় আন্তর্জাতিকভাবেও সংগীত আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। যার সুললিত কণ্ঠ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে ব্যাপক সুখ্যাতি, যার কণ্ঠের মাধুর্যে এখনো আলোকিত আমাদের সংগীতাঙ্গন।

qbLpbLk.jpg


বাবার চাকরি সূত্রে পরিবারের সঙ্গে রুনা লায়লার তখন করাচিতে বসবাস। সেটা ৫০ দশকের কথা, বড় বোন দিনা লায়লা গান শিখতেন। একবার এক অনুষ্ঠানে দিনার গান গাওয়ার কথা থাকলেও সেই মুহূর্তে হঠাৎ তার গলায় ব্যথা উঠলে গান গাওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। এদিকে অনুষ্ঠানের টিকিটও বিক্রি হয়ে গেছে সব, আয়োজকদের মাথায় হাত দেবার অবস্থা। এই যখন অবস্থা তখন রুনার মা মাত্র ছয় বছর বয়সী রুনাকে দেখিয়ে বললেন, 'ওকে দিয়ে গাওয়ান'। আয়োজকেরা অবাক হয়ে বললেন, 'মাত্র ছয় বছর বয়সী একটি বাচ্চা মেয়ে কী গাইবে?' অনিচ্ছা সত্ত্বেও তারা শেষে রাজি হলে ছোট্ট রুনা ওস্তাদজীকে নিয়ে মঞ্চে গেলেন। মজার ব্যাপার হলো তানপুরাটা এত বড় ছিল যে বসে থাকা ছোট্ট রুনাকে ঠিকমতো দেখাই যাচ্ছিল না সেখানে। শেষে হাঁটু গেড়ে বসে তানপুরায় রাগ বাহারে একটি খেয়াল গাইলেন। ছোট্ট রুনার এমন খেয়াল শুনে পুরো গ্যালারি দর্শকদের করতালিতে মুখর হয়ে উঠেছিল।

রুনা লায়লার জন্ম ১৮/১১/১৯৫২ সালে সিলেটে। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা, তিনি নিজেও ছিলেন সংগীতশিল্পী। রুনার মামা সুবীর সেন ছিলেন ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী। ছোটবেলায় রুনা লায়লার গান থেকে বেশি ঝোঁক ছিল নাচের প্রতি, নাচ শেখার পাশাপাশি ফাঁকে ফাঁকে গান শেখাও চলছিল নিয়মিত। কে জানতো নাচ নয় বরং গান দিয়েই তিনি পরবর্তীতে বিশ্ব মাতাবেন? তাইতো স্টেজ প্রোগ্রামে গান পরিবেশনার ক্ষেত্রে রুনার হালকা নাচ দেখে বোঝা যেত তিনি নাচেও কম যান না।

uEYfDwq.jpg


রুনা লায়লা সংগীতে ক্ল্যাসিক্যাল ওপর তালিম নেন ওস্তাদ আবদুল কাদের ও ওস্তাদ হাবিব উদ্দিন আহমেদের কাছে। মাত্র বারো বছর বয়সে ১৯৬৫ সালে তিনি চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করেন উর্দু চলচ্চিত্র 'জুগনু'তে। ১৯৭০ সালে সংগীত পরিচালক জনাব সুবল দাসের সঙ্গে লাহোরের বারী স্টুডিওতে দেখা হয় রুনা লায়লার। রুনা সেখানে গিয়েছিলেন অন্য একটি ছবির গান রেকর্ডিংয়ে, পরিচয় হয়েই সুবল দাস তাকে দিয়ে গাওয়ান 'স্বরলিপি' (১৯৭১)। ছবির সেই বিখ্যাত গান 'গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে, বলো কী হবে'… নজরুল ইসলাম পরিচালিত ছবিতে গানটিতে ঠোঁট মিলান দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ববিতা। মূলত সুবল দাসের বদৌলতেই রুনা লায়লা প্রথম বাংলা ছবিতে গান করেন, সে হিসেবে বলা যেতেই পারে বাংলা গানে রুনা লায়লা সুবল দাসেরই সৃষ্টি।

১৯৭৪ সালের ৭ জানুয়ারি রুনা লায়লা দেশে ফিরে আসেন। অথচ তখন তিনি পাকিস্তানের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে একজন প্লেব্যাক সিঙ্গার, একেবারে মজবুত সেখানে তার ক্যারিয়ার। জন্মভূমিতে ফিরেই রুনা লায়লা প্রথম কণ্ঠ দেন গুণী সুরকার সত্য সাহার সুরে 'জীবন সাথী তুমি আমার প্রাণের অলংকার' শিরোনামের গানে। এটি ছিল নূরুল হক বাচ্চুর 'জীবনসাথী' ছবির, যা মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৪ সালে। এরপর শুধুই সফল এক পথচলা, যে পথচলাতে জমা পড়েছে অসংখ্য অসংখ্য জনপ্রিয় সব গান আর কণ্ঠের মাধুর্য ছড়িয়েছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

বাংলা সংগীতে রুনা লায়লাই একমাত্র কণ্ঠশিল্পী যিনি উর্দু, হিন্দি, সিন্ধি, পাঞ্জাবি, নেপালি, বেলুচি, গুজরাটি, মালয়, পশতু, জাপানি, পারসিয়ান, আরবি, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, ইতালীয় ও ইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৯টি ভাষায় গান গেয়েছেন। যা একটি রেকর্ড। রেকর্ড তার আরও দুটি আছে— প্রথমটি আশির দশকের শেষদিকে বিটিভির জন্য নির্মিত একক গান পরিবেশনার ক্ষেত্রে সে সময়ে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন, আর দ্বিতীয়টি ছিল নব্বই দশকে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে একদিনে ১০টি করে তিন দিনে মোট ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান।

চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি রুনা লায়লা অসংখ্য আধুনিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, যার বেশির ভাগই ছিল জনপ্রিয়। যার মধ্যে অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে, যখন থামবে কোলাহল ঘুমে নিঝুম চারিদিক, পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিলাম, শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো, যখন আমি থাকবো নাকো আমায় রেখো মনে, ভালোবাসার স্বপ্নে ঘেরা এইতো আমার ঘর অন্যতম।

ZaPprzU.jpg


২০০০ সালের পর রুনা লায়লা বেশ কয়েকটি অডিও অ্যালবামে কাজ করেছেন। অবশ্য তারও বহু আগে রুনার অনেক গ্রামোফোন রেকর্ড বেরিয়েছে। শুধু চলচ্চিত্র ও আধুনিক গানই নয়, পল্লীগীতি-ভাটিয়ালি ও দেশাত্মবোধক গানও গেয়েছেন। আমায় গেঁথে দাও না মাগো, প্রতিদিন তোমায় দেখে সূর্য রাগে, নদীর মাঝি বলে এসো নবীনের মতো চমৎকার কিছু দেশাত্মবোধক গান এসেছে তার কণ্ঠ থেকে।

বাংলাদেশ তো বটেই উপমহাদেশেও একজন রুনা লায়লা রয়েছেন কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে। 'ও মেরা বাবু চেল চাবিলা' বা 'দামা দম মাস্ত কালান্দার'-এর মতো আরও অসংখ্য জনপ্রিয় গান দিয়ে তিনি এখনো রয়েছেন সমান জনপ্রিয়তায়। আর স্টেজে নতুনদিনের শিল্পীরা তার গান গেয়ে হাততালি কুড়ান।

চলচ্চিত্রের গানে অসামান্য অবদান স্বরূপ রুনা লায়লা পেয়েছেন আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এর একবার সংগীত পরিচালক হিসেবে পেয়েছেন পুরস্কার, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনও বটে। এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন দি রেইন (১৯৭৬), যাদুর বাঁশি (১৯৭৭), অ্যাক্সিডেন্ট (১৯৮৯), অন্তরে অন্তরে (১৯৯৪), তুমি আসবে বলে (২০১২), দেবদাস (২০১৩), প্রিয়া তুমি সুখী হও (২০১৪), একটি সিনেমার গল্প (২০১৯, সংগীত পরিচালক) ছবির জন্য। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত থেকে পেয়েছেন দাদা সাহেব ফালকে সম্মাননা (২০১৬) সায়গল পুরস্কার, সংগীত মহাসম্মান পুরস্কার (২০১৩), পাকিস্তানের নিগার পুরস্কার (১৯৬৮, ১৯৭০) ও দুবার গ্র্যাজুয়েট পুরস্কার।

রুনা লায়লার কিছু গান: গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে (স্বরলিপি), একটু ফিরে দেখো একটি কথা রাখো (বধূ বিদায়), যদি বউ সাজোগো আরও সুন্দর লাগবে গো (ওয়াদা), হেরে গেছি আজ আমি (লাভ ইন শিমলা), গান নয় জীবন কাহিনি (বন্দিনী), আমি ভালোবাসি যারে (কুদরত), একটি কথা সুরে সুরে (মনের মানুষ)।

কত দুরে ভালোবাসার ঠিকানা (সখি তুমি কার), পাহাড়ি ফুল আমি মৌরানী (দম মারো দম), মেহেদি রাঙাব এই হাত (ধর্ম আমার মা), সুখের দিনেও আমি তোমার (সহধর্মিণী), চাকবুম চাকবুম চাঁদনী রাতে (আবে হায়াত), পিরিতের কলসি পেলে হায়রে (আবে হায়াত), আনার কলি সেলিমের প্রেম কাহিনি (তালাচাবি), বনমালী তুমি (চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা), একটি রাতের গল্প তুমি (মর্জিনা), গরম-গরম মনটা আমার (বিষ কন্যার প্রেম), আমার মন বলে তুমি আসবে (আনারকলি), ও দরিয়ার পানি তোর মতলব জানি (তুফান), দুটি মন যখন কাছে এলো (সঙ্গিনী), ঝিরিঝিরি মিটিমিটি তারা (সোহাগ মিলন), চেয়েছি আমি যারে(সোহাগ মিলন)।

hRfUfUx.jpg


তুমি বড় ভাগ্যবতী (প্রতিনিধি), পদ্মাবতী বেদেনী হবে নাকি ঘরনি (পদ্মাবতী), নয়ন জুড়ে আছে স্বপন (পদ্মাবতী), পায়ের মাপ দাও এই জুতো পরে নাও (রাজ সিংহাসন), দুই চোখ এই মন (আপস), এই মন চলেছে ভেসে (বিসর্জন), প্রিয়া আমার প্রিয়া (ভেজা চোখ), জীবনটা জীবনে কখনো মিশে গেলে (শরিফ বদমাশ), ওকি ও বন্ধু কাজল ভোমরা রে (রঙিন রাখাল বন্ধু), তুমি আমার কত চেনা (দোলনা), কথা কেন যে বলিস না (বেদ্বীন), নীল সাগর পার হয়ে (স্বপ্নের ঠিকানা), নিশিদিন প্রতিদিন (স্বপ্নের নায়ক), ওরে ও জান সোনারই জান (মরণ লড়াই)।

আমার মনরে বলে দে না রে (সোনা বৌ), আমায় ছেড়ে কোথায় যাবি মোছয়া (নাগ পূর্ণিমা), এক পলকে ওগো আজ মনে হলো (ঝড় তুফান), মনে আগুন জ্বলে (অগ্নিসাক্ষী), নিশিথে নির্জনে (বাঁশিওয়ালা), একাত্তরের মা জননী (বিক্ষোভ), ও আমার জীবন সাথী (বিক্ষোভ), বেদের মেয়ে জোছনা আমায় (বেদের মেয়ে জোছনা), পৃথিবীর জন্ম যেদিন থেকে (জ্যোতি), ও আমার বন্ধু গো (কেয়ামত থেকে কেয়ামত), এখ নতো সময় ভালোবাসার (কেয়ামত থেকে কেয়ামত), ওরে মনচোরা তুমি পড়ে গেছো ধরা (সওদাগর), নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন (কুসুম কলি)।

এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না (নরম-গরম), যখন থামবে কোলাহল ঘুমে নিঝুম চারিদিক (আধুনিক), একা একা কেন ভালো লাগে না (দি রেইন), তুই কেমন পুরুষরে (আঁখি মিলন), আমার চোখে সে যে (লজ্জা), প্রিয়া প্রিয়া বলে ডাকি যতবার (প্রেমের অহংকার), দাম দিয়ে প্রেম যায় না কেনা (এই মন তোমাকে দিলাম), কী ভালো লাগেরে (আমার দেশ আমার প্রেম), আজ রাত সারা রাত জেগে থাকবো (নীতিবান), তুমি ছিলে মেঘে ঢাকা চাঁদ (দায়ী কে?), বুকে আছে মন (লড়াকু), প্রাণের চেয়ে দামি কিছু এ জগতে নাই (জলপরি), ও বন্ধুরে প্রাণ বন্ধু রে (মেঘ বিজলি বাদল)।

65efDDX.jpg


মা-বাবা, বোন দিনা, দিনার স্বামী মাখদুম আমিন ফাহিম ও অন্যদের সঙ্গে রুনা লায়লা

বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম (গানটি 'কসাই' ছবিতে গেয়েছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন, পরবর্তীতে রুনা লায়লাকে দিয়ে গাওয়ান সুরকার আলাউদ্দিন আলী), অনেক বৃষ্টি ঝড়ে তুমি এলে (আধুনিক), তুমি আমার জীবন (অবুঝ হৃদয়), আমি হবো পর যেদিন আসবে রে তোর বর (দুই পয়সার আলতা), একদিন সবারই মনে প্রেম তো নীরবে আসে (?), কে জানে কত দুরে সুখের ঠিকানা (শিল্পী), শত্রু থেকে বন্ধু হলে কেড়ে নিলে মন (অ্যাকসিডেন্ট), আকাশ কে প্রশ্ন করো (শর্ত)।

তোমরা কাউকে বলো না (বিশ্ব প্রেমিক), প্রেমেরও ছোট্ট একটি ঘর আমায় দাও (ঝুমুর), লাল গোলাপি অঙ্গ আমার গোরা গোরা গাল (রাজ নন্দিনী), তুমি আজ কথা দিয়েছো (দুই জীবন), বন্ধুর বাঁশি বাজেরে আমার কানে কানে (চাঁদনী), কন্যার বয়স যে ষোলো (চাঁদনী), স্বর্গ হতে এই জগতে (অবুঝ দুটি মন), যারা প্রেম করেছে (অবুঝ দুটি মন), আমার একদিকে পৃথিবী এক দিকে ভালোবাসা (আত্ম অহংকার), দুশমনি করো না প্রিয়তম (দূরদেশ), তোমাকে চাই আমি আরও কাছে (নসীব)।

হায় হায় হায় এই কলিজায় (নসীব), প্রেমের আগুনে জ্বলে গেলাম সজনী গো (ফকির মজনু শাহ), চন্দ্র তারার নিচে খুঁজেছি তোমায় (রাজকন্যা), সুন্দর সন্ধ্যায় এ গান দিলাম উপহার (শেষ খেলা), চুপি চুপি বলো কেউ জেনে যাবে (নিশান), ভালোবাসার পাঠশালা নাই (প্রেমের অহংকার), চাঁদের সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা (আশীর্বাদ), এসো না ভাব করি প্রেমে ডুবে মরি (নসীব), আনা আনা ষোলো আনা (নালিশ), পাগল পাগল মানুষগুলো পাগল সারা দুনিয়ায় (?), মানিকগঞ্জের বড় মিয়া (সীমার), রূপের জ্বালে পড়তে হবে (এই মন তোমাকে দিলাম)।

তুমি সুখে থাকো (কাজল লতা), আকাশ বিনা চাঁদ (যাদুর বাঁশি), রুমাল দিলে ঝগড়া হয় (গর্জন), হীরার চেয়ে দামি (তুফান), প্রেম করেছো তুমি তাই মন দিয়েছি আমি (রাজ দুলারী), মন চায় প্রতিদিন (প্রহরী), ভুলো না আমাকে ভুলে যেও না (জীবন নৌকা), ও আমার জান তোর বাঁশি (চাঁদনী)।
 
chotobelay runa laylar gaan shuntam : ekhn arr shuna hoyna
 

Users who are viewing this thread

Back
Top