What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

থাইরয়েড সমস্যায় আকুপ্রেশার (1 Viewer)

Mr0j8zA.jpg


দুই হাতের এই পয়েন্টগুলোতে নিয়মিত চাপ দিলে থাইরয়েড ভালো থাকবে

আধুনিক সমাজে থাইরয়েডের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে, অনেক মানুষ এই হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছেন। কেউ বুঝতে পারছেন, কেউ পারছেন না। এটা এমন এক সমস্যা, রোগী নিজেও বলতে পারেন না আসলে তাঁর কী সমস্যা হচ্ছে। থাইরয়েডজনিত সমস্যা আছে কি নেই, থাকলে কী করা, না থাকলে তা যেন না আসে, সে জন্য কী করা, এই বিষয়গুলো নিয়ে যাঁরা ভাবছেন, তাঁদের জন্য সহজ পরামর্শ হচ্ছে, নিয়মিত আকুপ্রেশার করা। আকুপ্রেশার করে থাইরয়েডে সমস্যা ধরা যাবে, সেই সঙ্গে এই সমস্যা থেকেও ভালো থাকা যাবে। থাইরয়েড সমস্যার চিকিৎসায় কারও কারও সারা জীবনে ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে চললে থাইরয়েড ভালো রাখা যায়। (উপরের ছবি)

থাইরয়েড হলো আমাদের গলার দুই পাশে থাকা বিশেষ হরমোন গ্রন্থি। এই গ্রন্থি আমাদের শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমোন (থাইরয়েড হরমোন) উৎপাদন করা ছাড়াও এর বিশেষ কিছু কাজ থাকে। শরীরের জন্য এ থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা থাকে। এর নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিজম এবং বেশি উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম। এই দুই সমস্যায় উপসর্গও ভিন্ন হয়ে থাকে।

আকুপ্রেশার, ডায়েট এবং জীবনযাত্রা ঠিক রাখার মাধ্যমে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, প্রজাপতি আকৃতির থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষমতা কিন্তু অপরিসীম। যেমন বিপাক থেকে শরীর বৃদ্ধিতে এর বড় প্রভাব রয়েছে। থার্মোরেগুলেশন, হরমোনাল ফাংশন এবং ওজন পরিচালনায় এই গ্রন্থি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। থাইরয়েডের সমস্যা আছে কি না, তা জানান দেয় শরীরের কিছু উপসর্গ।

উপসর্গ

• থাইরয়েড হরমোনের অভাবে গলা ফুলে যেতে পারে
• নিয়মিত শরীর অবসাদগ্রস্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে হাইপোথাইরয়েডিজম
• রাতভর পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও সকালে অবসন্ন লাগে
• সারা দিন ধরে ঝিমুনি আসে
• অতিরিক্ত চুল পড়ে
• হঠাৎ করেই শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণ
• অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা হাইপারথাইরয়েডিজমের লক্ষণ
• হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যেতে পারে
• গরমের সময় বেশি গরম লাগে, শীতের সময় বেশি ঠান্ডা লাগা

থাইরয়েডজনিত সমস্যা মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে। তা ছাড়া আর অধিক হারে এই রোগের বৃদ্ধির অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন।

যেসব কারণে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে

• জাঙ্ক ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার
• শারীরিক কার্যক্রম কম থাকা
• অগোছালো জীবনযাপন
• খাবার খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করা
• সূর্যের আলোতে না যাওয়া
• আয়োডিনের ভারসাম্য না থাকা
• গভীর রাতে খাওয়া এবং ঘুমানো

থাইরয়েড সমস্যা দূর করে ভালো থাকতে আকুপ্রেশার করা

আকুপ্রেশার শুরু করার জন্য প্রথমে যে কাজটি করতে হয় তা হলো দুই হাতের তালুতে ঘষে দুই হাত গরম করে নিতে হয়। আপনি দুই হাতের তালু দুই মিনিট ঘষে গরম করুন, তারপর আপনার বুড়ো আঙুলে মাঝে ৫০টি চাপ দিন, দুই হাতের বুড়ো আঙুলে ৫০টি করে চাপ দিন।

zPHnPvw.jpg


থাইরয়েড গ্লান্ড ঠিক রাখার জন্য পিটুইটারি গ্লান্ড ঠিক রাখা জরুরি, এখানে চাপ দিন

এবার বুড়ো আঙুল থেকে নেমে হাতের তালুর অংশে লম্বালম্বিভাবে কবজি থেকে বুড়ো আঙুল পর্যন্ত আস্তে আস্তে করে চাপ দিন, এখানে চাপ দিলে আপনি যদি থাইরয়েডজনিত সমস্যায় থাকেন, তাহলে এখানে ব্যথা অনুভূত হবে। এখানে নিয়মিত চাপ দিলে ব্যথাটা ধীরে ধীরে কমে আসবে। এখানে ৫০ বার লম্বালম্বিভাবে চাপ দিন। এটা থাইরয়েডের মূল পয়েন্ট।

umJdbXu.jpg


থাইরয়েড ভালো রাখতে এই পয়েন্টে লম্বালম্বিভাবে প্রতিদিন দুবেলা আকুপ্রেশার করুন

তারপর তৃতীয় পয়েন্ট অ্যাড্রিনাল পয়েন্ট, এটাও হরমোন পয়েন্ট, তাই এখানে দুই হাতেই ৫০টি করে চাপ দিন, এখানেও ব্যথা অনুভূত হবে। কয়েক দিন নিয়মিত চাপ দিলেই এখানকার ব্যথা কমে আসবে।

9eJ89Aa.jpg


থাইরয়েডের সঙ্গে অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থির একটা সম্পর্ক রয়েছে। তাই এখানে ৫০টি চাপ দিন

সবার শেষে আপনি লিম্বগ্রন্থি পয়েন্টে চাপ দিন। এই পয়েন্টটি হাতের কবজির ঠিক নিচে মাঝ বরাবর দুটো রগের ওপরে, এখানেও ৫০টি করে চাপ দিন, দুই হাতেই চাপ দিন।

YMHqJ0u.jpg


হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য লিম্ফকে তাজা রাখতে হয়, তার জন্য এখানে চাপ দিন

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ও রাতে শোয়ার আগে নিয়মিত আকুপ্রেশার করলে আপনি এক সপ্তাহের মধ্যেই কিছু একটা পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন। সপ্তাহে এক দিন বিরতি দিয়ে নিয়মিত আকুপ্রেশার করলে থাইরয়েড ভালো থাকবে, যাদের সমস্যা আছে, তারা ধীরে ধীরে উপসর্গ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

এ ছাড়া প্রাকৃতিক কিছু নিয়ম মানলে এবং কিছু পরিহার করলে থাইরয়েড আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তার মধ্যে জাঙ্ক ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকা। যত দ্রুত সম্ভব এসব খাবার খাওয়া বন্ধ করা। তাহলে আপনি নিজেই আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি দেখতে পাবেন। আর এর সঙ্গে করণীয় হলো:

• নিয়মিত ব্যায়াম করা, সকালে হাঁটা, যোগাসন করা, নাচ করা, নিজের পছন্দমতো যেকোনো অ্যাক্টিভিটি করা।
• থাইরয়েডের সঙ্গে মনোসংযোগের একটি বিশাল ভূমিকা রয়েছে, যার জন্য খাবার আস্তে আস্তে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন। ধীরেসুস্থে খাবার চিবিয়ে তৃপ্তি করে খান, তাহলে আপনি মানসিক শান্তি পাবেন, অল্প খাওয়াতে পেট ভরে যাবে, মুখের লালা বেশি উৎপাদিত হবে, সেই কারণে কম ইনসুলিন দিয়ে খাবার হজম হয়ে যাবে।
• রোজ সকালে হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
• আদা সবচেয়ে সহজ ঘরোয়া উপায়। আদা খনিজে ভরপুর, যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম থাইরয়েডের সমস্যাগুলোর সঙ্গে লড়তে খুবই সহায়ক, আদা চা পান করুন, উপকার পাবেন।
• ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ডি থাইরয়েডের ক্ষেত্রে ভিটামিন বি খুবই সহায়ক বিশেষ করে ভিটামিন বি১২ হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী। তাই খাদ্যতালিকায় ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, বাদাম, প্রভৃতি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন।
• সূর্যের আলোতেই শরীর একমাত্র ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে, তাই দিনে অন্তত পক্ষে ১৫ মিনিট অবশ্যই সূর্যের আলোয় থাকুন। ফলে আপনার শরীরে ভালোভাবে ক্যালসিয়ামের শোষণ হবে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
• ডেইরি প্রোডাক্ট দুধ, পনির, দই, থাইরয়েডের জন্য খুবই উপকারী। এসব খাদ্যে আয়োডিন এবং খনিজ বিপুল পরিমাণে থাকে, যা থাইরয়েডের জন্য খুবই উপকারী।

থাইরয়েডের সমস্যা ধীরে ধীরে শরীরে উপসর্গে আসে, তাই উপসর্গ আসার আগেই আপনি নিয়মিত আকুপ্রেশার করুন, তাতে আপনার শরীরে থাইরয়েডের ঘাটতি বা বৃদ্ধি যা–ই থাকুক, তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবেন, নয়তো দেখবেন থাইরয়েডে আক্রান্ত মানুষের দুর্ভোগ আপনার গলায় এসে চাপ দিলে জীবনটা দুর্বিষহ যন্ত্রণায় ভরে উঠবে। তখন কিছুই করার থাকবে না। গর্ভবতী মায়েদের থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে তাঁরা আকুপ্রেশার করতে পারবেন না।

* লেখক: আলমগীর আলম | খাদ্য, পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ
 
These are the rules that are to be followed throughout the entire site. Please ensure you follow them when you post. Those who violate the rules may be punished including possibly having their account suspended.

যারা কমেন্ট করবেন, দয়া করে বানান ঠিক রাখুন। উত্তেজিত অবস্থায় দ্রুত কমেন্ট করতে গিয়ে বানান ভুল করবেন না। আমরা যারা কমেন্ট পড়তে আসি, আমাদের কমেন্ট পড়তে অনেক অসুবিধা হয়।

Users who are viewing this thread

Back
Top