বাবা বলে ডাকবি না
লকডাউনের পর হঠাত করেই স্কুল খুলে পরীক্ষার ঘোষনা দেয়াতে বিপাকে পড়ে গিয়েছিলো দীপু। সে কথা তো আপনাদের কাছে আগেই বলেছিলাম। বলেছিলাম দীপুর পরীক্ষার ফলাফলের কথাও। বলতে মনে ছিলো না পরীক্ষার আগে দীপুর বাবার সাথে দীপুর কি কথা হয়েছিলো...
হঠাত করেই পরীক্ষার ঘোষনা দেয়াতে দীপুর মাথায় যখন বিনা মেঘে বজ্রপাত হলো তখন দীপু তার বাবার সামনেই ছিলো। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়েই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন লকডাউনের পুরোটা সময়ই ছেলে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে খেলা আর আড্ডায় মেতে থাকার কারনে পড়া-লেখা কিছুই করেনি। যার কারনে পরীক্ষার কথা উঠতেই ছেলের মুখের এই দশা হয়েছে। চোয়াল ঝুলে একেবারে বাংলা পাঁচয়ের মতো হয়ে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে দীপুর বাবা সাফ ঘোষনা করে দিলেন, "যদি এবার পরীক্ষায় পাশ করতে না পারিস তবে আমাকে আর বাবা বলে ডাকবি না !"
মাত্র তিন বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার পর যেদিন হেড স্যার পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করলেন সেদিনই রাতে দীপুর বাবা দীপুকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন-
বাবাঃ কিরে,পরীক্ষার ফল নাকি আজ প্রকাশ হয়েছে ? তোর ফল কেমন হলো ?
দীপুঃ আমি খুবই দুঃখিত, রফিক সাহেব...