What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ঘরে বসেই এখন ব্যবসায়ী দিনাজপুরের আন্নিকা (1 Viewer)

করোনা মহামারির এই সময়ে দিনাজপুরের আন্নিকা তাবাসসুমের গল্পটা একটু আলাদা। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান, পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবু বসে থাকার এই সময়ে আন্নিকা শখের বশে অনলাইনে শুরু করেছিলেন চা–গাছের চারা বিক্রি, তারপর পণ্য হিসেবে যোগ করেন চিনিগুঁড়া চাল। সাড়াও পান ভালো। গত ছয় মাসে শুধু চিনিগুঁড়া চালই বিক্রি করেছেন ২০ লাখ টাকার।

ফেসবুকে আন্নিকা তাবাসসুমের ফেসবুক পেজের নাম 'পাইকারি ঘর'। মাস ছয়েক আগে এই পেজ খোলেন। তারপর দিনাজপুরের বিখ্যাত সুগন্ধি চাল চিনিগুঁড়ার ছবি দিতে থাকেন। এই চাল দিয়ে রান্না করা পোলাও, খিচুড়ি, তেহারির ছবিও দিতে থাকেন। ধীরে ধীরে অর্ডার আসতে শুরু করে। যুক্ত হন একটি ই-কমার্স সাইটের সঙ্গেও। এখন দিনের বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন আন্নিকা।

H1XbAEO.jpg


আন্নিকা তাবাসসুম, ছবি: সংগৃহীত

অর্ডার পাওয়ামাত্রই বাবা আনোয়ার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে চালকলে যান আন্নিকা। নিজে চাল পছন্দ করেন। অনেক সময় গ্রাহককে ছবিও দেখান। আন্নিকা জানান, গত ছয় মাসে ২০ লাখ টাকার বেশি চাল তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'শুধু টাকাটাই মুখ্য নয়, কিছু একটা করছি, নিজের এলাকার ঐতিহ্যকে অনেক মানুষের কাছে পাঠাতে পারছি, এতে অনেক আনন্দ আছে।'

আন্নিকার 'পাইকারি ঘর' থেকে চাল কিনেছেন ঢাকার মধ্য বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা রাহুল সরকার। মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, 'সাধারণত আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্যাকেটজাত চিনিগুঁড়া চালই কিনি। একদিন পাইকারি ঘর–এ ফোন করি। প্রথমে ৫ কেজি চাল দিতে বলি। পরে ২০ কেজি নিই। সর্বশেষ এক ট্রাক চাল কিনে পাবনা পাঠাই। এখন পাইকারি ঘর থেকে চাল কিনে আমি নিজেও ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করছি।'

চালের পাশাপাশি চা-গাছের চারাও বিক্রি করেন আন্নিকা। চায়ের চারার ছবি দেন ফেসবুক পেজে। সেই সঙ্গে ছাদে চা-গাছ লাগানোর কৌশল, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কত দিন পরে পাতা তুলতে পারবেন, গাছের পরিচর্যা, কচি পাতা তুলে সরাসরি গরম পানিতে দিয়ে চা খাওয়ার কথাও লিখে রাখেন। এখানেও সাড়া পান আন্নিকা। জানালেন, গত দুই মাসে ১ হাজার ৮০০ চারা বিক্রি করেছেন তিনি। প্রতিটি চারার দাম ৪০ টাকা।

আন্নিকা তাবাসসুম দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিভাগে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আন্নিকা বলেন, 'আমার এক বন্ধু মাটির গয়না তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করত। এটা খুব কাছে থেকে দেখেছি। তার কাজ দেখেই আমি উদ্বুদ্ধ হয়ে চা–গাছের চারা বিক্রি শুরু করি।'

এভাবেই চা আর চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি করে 'পাইকারি' ব্যবসায়ী বনে গেছেন আন্নিকা তাবাসসুম।

* রাজিউল ইসলাম, দিনাজপুর
 

Users who are viewing this thread

Back
Top