What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বাংলাদেশের বাজারে পরিবেশবান্ধব জুতা (1 Viewer)

zjYeArC.jpg


৫ জুন ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। দিনটি অতিমারির মধ্যেও বিশ্বজুড়ে যথাযথ গুরুত্বে পালিত হয়েছে। পরিবেশসচেতনতা ক্রমেই বাড়ছে। অতিমারি এর গুরুত্ব যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে পরিবেশ রক্ষার দায়বদ্ধতা থেকে, বলা যায় খানিকটা নীরবেই, একটা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে জুতার বহুজাতিক ব্র্যান্ড বাটা। তারা ওই দিন বাংলাদেশের বাজারে লঞ্চ করেছে পরিবেশবান্ধব স্নিকার। এই সংগ্রহের জুতা তৈরিই হয়েছে পুরোপুরি পুনর্ব্যবহার্য উপকরণে।

H94YvFq.jpg


রিসাইকেলড উপাদানে তৈরি পরিবেশবান্ধব স্নিকার

এ প্রয়াস নিয়ে কথা হচ্ছিল বাটা বাংলাদেশে মার্কেটিং ম্যানেজার ইফতেখার মল্লিক আর অ্যাডভারটাইজিং ম্যানেজার জুবায়ের ইসলামের সঙ্গে।

বিশ্বজুড়ে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পণ্য নিয়ে কমবেশি উদ্যোগ নিচ্ছে সব ধরনের পণ্যের ব্র্যান্ড। জুতার ব্র্যান্ডগুলোও সে প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশেও সীমাবদ্ধ পরিসরে কাজ যে একেবারেই হচ্ছে না, তা নয়।

তবে এ প্রয়াস বাটা এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়েছে। সেখানে সেটা হয়তো ছিল একটি পণ্যের কিয়দংশে। কিন্তু দায়বদ্ধতাকে অস্বীকার না করে বরং আরও বেশি উদ্যোগী হয়েছে বলেই তাদের নতুন এ পণ্য বাজারে আনা সম্ভব হয়েছে। আর সেটা এসেছে ওয়েনব্রেনার ব্র্যান্ডের অধীনে।

9jQ5vYF.jpg


এর আগে বাটা ইন্ডিয়া, বাটা চেক রিপাবলিক বা বাটা ইতালি তাদের মতো করে পরিবেশবান্ধব পণ্য বাজারজাত করেছে। সেখানে বাটা বাংলাদেশের পূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে এটা প্রথম, বললেন মার্কেটিং ম্যানেজার ইফতেখার মল্লিক।
সঙ্গে যোগ করলেন, 'বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের পরিবেশবান্ধব জুতা তৈরির ক্ষেত্রে কোনো একটা পুনর্ব্যবহার্য উপাদান ব্যবহার করে থাকে। সেটা হয় আপারে, না হয় সোল কিংবা ইনসোলে। কিন্তু আমরা তিনটি ক্ষেত্রেই ব্যবহার করেছি রিসাইকেলড প্রোডাক্ট। এই স্নিকারের এটাই বিশেষত্ব।'

ইফতেখার মল্লিক আরও বলেন, 'পরিবেশ ও প্রকৃতির রক্ষার বিষয়ে বাটা সব সময়েই সচেতন। আপসাইক্লিং ও রিসাইক্লিং নিয়ে নিরীক্ষা ছিলই। তবে এ উদ্যোগ সেই ধারাকে পূর্ণতা দিয়েছে। এ জন্য এটাকে আমরা একটু গর্ব করে মাইলফলক প্রয়াস বলতেই পারি।'

কথায় কথায় আরও জানা গেল, মাত্র কয়েক দিন হলো বাজারে ছাড়া হয়েছে নতুন এ জুতা। সামাজিক মাধ্যমেই মূলত প্রচার চালানো হচ্ছে। তা সত্ত্বেও এই জুতা নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহে তাঁরা অভিভূত। অন্য জুতার ক্ষেত্রে যতটা কৌতূহল মানুষের থাকে, এ ক্ষেত্রে সেটা আরও অনেক বেশি। এমনকি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইছে সবাই। ভোক্তাদের কাছ থেকে আসছে নানা ধরনের প্রশ্ন। এই আগ্রহ এবং কৌতূহল এ ধরনের পণ্য আরও বেশি করে উৎপাদনে আগ্রহী করছে তাঁদের। এ প্রসঙ্গে ইফতেখার মল্লিক জানান, এই সংগ্রহ কেবল পুরুষদের জন্য। বর্তমানে ব্লু আর চারকোল ব্লু—এই দুই রঙে লেসসহ ও লেস ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে বাটার ফ্ল্যাগশিপ ও নির্বাচিত কিছু স্টোর আর অনলাইনে।

বাটার এই নতুন উদ্যোগের পরিকল্পনা ছিল আগে থেকেই। সেটা অন্তত ১০ থেকে ১২ মাসের। আর সবকিছু গুছিয়ে উৎপাদন শুরু করে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার সময়টা অন্তত নয় মাসের মতো বলেই জানা গেল। জুতার কাঁচামাল আমদানি করা হলেও তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। আপার বা জুতার উপরিভাগ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে শতভাগ রিসাইকেলড উপাদান, যার উৎস পেট বোতল। এ ক্ষেত্রে সহায়কের ভূমিকায় রয়েছে রিফাইবার। অন্যদিকে, বাইরের সোল তৈরি হয়েছে ৩০ শতাংশ রিসাইকেলড ইভিএ দিয়ে। আর ইনার সোল বা সুখতলায় রয়েছে ৯৮ শতাংশ পুনর্ব্যবহার্য উপাদান। এটা করা হয়েছে অর্থলাইটের সহায়তায়। নতুন এই পরিবেশবান্ধব স্নিকারের আরও একটি বিশেষত্ব হলো এটাকে পুনরায় রিসাইকেল করা যাবে।

6ZZyNa4.jpg


আসলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থানীয় কিংবা বৈশ্বিকভাবে একে অন্যের সঙ্গে কোলাবোরেশন করেই কাজ করছে। এই জুতা তৈরির প্রক্রিয়া বাটার সেই প্রচেষ্টারই ফসল।

বাটা তাদের মিশন পরিবর্তন করেছে। বর্তমানে তাদের মিশন হলো ডেমোক্রেটাইজ কমফোর্ট উইথ স্টাইল। আরাম ও দীর্ঘস্থায়িত্ব সব সময়েই তাদের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু আরামকে এখন কেবল প্রাধান্য নয়, সবার জন্য নিশ্চিত করতে চাইছে। সেটা এই নতুন সংগ্রহেও স্পষ্ট।

এ ছাড়া তাদের প্রতিটি জুতায়—তা সে শিশুই হোক বা বৃদ্ধদের—থাকছে কোনো না কোনো ধরনের বিশেষত্ব। পাশাপাশি তারা কাস্টমারদের দিতে চাইছে উইন্ডো শপিংয়ের আনন্দ। এ কারণে বিভিন্ন স্টোরের উইন্ডোগুলোকে সেভাবেই সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাটার অ্যাডভারটাইজিং ম্যানেজার জুবায়ের ইসলাম।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top