What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

তাক লাগিয়েই যাচ্ছেন কিশোয়ার - মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ত্রয়োদশ সিজন (1 Viewer)

মাছের ঝোল থেকে খাসির রেজালা- কঠিন কাজকে সহজ অথচ সুন্দর করে উপস্থাপন করে বিচারকদের প্রশংসা কুড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের রসনাকে বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরছেন কিশোয়ার চৌধুরী। তাঁর রান্নার স্বাদে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হচ্ছেন বিচারকরা।

BjAdCn9.png


খাসির রেজালা ও পরোটা, ছবি: কিশোয়ার চৌধুরীর ইনস্টগ্রাম হ্যান্ডল

সময় ৭৫ মিনিট। রান্না করতে হবে ১৪ রকমের মাংস থেকে যেকোনো একটি নিয়ে। এর সঙ্গে থাকতে হবে আরও কিছু। কিশোয়ার চৌধুরী বেছে নিলেন খাসির মাংস। রান্না করবেন খাসির রেজালা আর ঘিয়ে ভাজা পরোটা। তবে কিশোয়ার নিজেই জানালেন, এ খাবার রান্না করতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু প্রেশার কুকারে ৩৫ মিনিটে রান্না করতে চান খাসির রেজালা।

একই সময়ে পরোটা বানিয়ে বাকি সময়ে অন্যান্য খাবার তৈরি করবেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রান্না শেষ করতে না পারলে সরাসরি প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়বেন কিশোয়ার। এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল এবার। আবার তাড়াহুড়ো করে রান্না করতে গিয়ে খাবারের স্বাদ গুলিয়ে ফেললেও বিদায় নিতে হবে 'মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া'র মঞ্চ থেকে।

রান্নাবিষয়ক রিয়েলিটি শো 'মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া'য় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিযোগী কিশোয়ার চৌধুরী শুধু খাসির রেজালা আর পরোটা করেননি, বরং বিচারকের রায়ে পেয়েছেন ভূয়সী প্রশংসা এবং বীরদর্পে টিকে আছেন প্রতিযোগিতায়। এদিকে কিশোয়ারকে 'মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া'র ১৩তম সিজনের তারকা হিসেবে দেখছে বিশ্বের শীর্ষ সব গণমাধ্যম। অস্ট্রেলিয়ার পত্রপত্রিকাসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন কিশোয়ার এবং তাঁর বাঙালি খাবারের প্রতি ভালোবাসা

IsM4lHA.png


কিশোয়ার চৌধুরী উতরে গেছে এই পর্বও

গত রোববার অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম অভিজাত সংবাদপত্র সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের সানডে স্পেশালকে কিশোয়ার বলেন, 'প্রায় ৫০ বছর আগে আমার মা–বাবা এ দেশে চলে আসেন। কিন্তু যা তাঁদের সঙ্গে ছিল, সেটা ঐতিহ্যবাহী বাংলা খাবার। ফেলে আসা ঘরের সঙ্গে খাবারই ছিল তাঁদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।'

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে জন্ম ও বেড়ে উঠেও হাজার হাজার মাইল দূরের বাংলা খাবারের প্রতি এত মায়া আর প্রেমই কিশোয়ারের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন অনেকে। বাংলা খাবারকে দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করায়ই কিশোয়ারকে বাঙালিদের সঙ্গে যুক্ত করেছে, একাত্ম করেছে। এক সাক্ষাৎকারে কিশোয়ার বলেন, 'আমি দুই বাংলা থেকে হাজার হাজার বার্তা পাই শুধু এটা জানাতে যে অনেক দুঃসময়ের মধ্যেও আমার কাজ তাঁদের কিছুটা হলেও আনন্দ দেয়। আমিও এটাই চেয়েছিলাম।'

DvNHaNW.png


রান্নার ফাঁকে দুই বিচারকরে সঙ্গে কথোপকথন

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও কিশোয়ারভক্তদের নানা আলোচনা চলছে বিরামহীন। কিশোয়ারের ফেসবুক পেজে কিশোয়ারের বলা কথার মতো করেই একজন লিখেছেন, 'আপনি অনেক লোকের মুখে হাসি আনছেন। বাংলাদেশ ও ভারত এখন অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং আপনি সকলকে কিছুটা হলেও নিরাময় করছেন।'

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত সিডনির রোজল্যান্ড অ্যাল্ডি স্টোরের ব্যবস্থাপক বোরহান খান বলেন, 'চারদিকে এত খারাপ সংবাদের মধ্যে টিভি খুলে মাস্টারশেফ দেখতে বসি শুধু কিশোয়ারের, বাঙালির জয়যাত্রা দেখার জন্য। মাঝেমধ্যে ইচ্ছা করে এ রকম এক বাঙালি পদ আমিও রান্না করি।'

pmgbVYo.png


কিশোয়ারের খাসির রেজালা ও পরোটা খাওয়ার পরে রান্না নিয়ে দুই বিচারকের আলোচনা

দাদিকে সঙ্গে নিয়ে মাস্টারশেফ দেখার কথা জানান আরেক ভক্ত। তিনি বলেন, 'আমার অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম, কিন্তু বাঙালি খাবার যে সেরা খাবারের সেরা একটি খাবার, মাস্টারশেফ না দেখলে বুঝতে পারতাম না।' তিনি আরও বলেন, তাঁর দাদিও উচ্ছ্বসিত, কিশোয়ারের রান্না দেখতে খুব পছন্দ করেন তাঁর দাদিও।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top