What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

পিরিয়ডের সময় পরিচ্ছন্নতা (1 Viewer)

a8tbgZP.jpg


আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি, যেখানে এখনো পিরিয়ড, মাসিক বা ঋতুস্রাব—এ শব্দগুলো এবং পরিস্থিতির অবস্থান ট্যাবুর পর্যায়ে। এসব কথা শুনলে সবাই অস্বস্তিতে পড়ে যান। সবার বোঝা দরকার, এটা লজ্জার কোনো বিষয় নয়। নারীর শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

ট্যাবুর জন্যই কিনা পিরিয়ডের সময়ে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকা নিয়ে আলোচনা কম হয়ে থাকে। এ সময় অপরিচ্ছন্ন থাকলে নানা রকমের রোগ হতে পারে। আমাদের দেশে অনেক নারী প্রস্রাবে ইনফেকশন ও জরায়ুর মুখে ক্যানসারে আক্রান্ত হন শুধু মাসিক চলাকালীন অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য। তাই সবার উচিত পিরিয়ডকালীন পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানা এবং সচেতন থাকা।

নির্দিষ্ট স্যানিটেশন পদ্ধতি বাছাই করা

এখন স্যানিটেশনের অনেক পদ্ধতি পাওয়া যাচ্ছে। স্যানিটারি ন্যাপকিনই ব্যবহার সব থেকে সহজ এবং সুলভও। আমাদের দেশের মেয়েরা স্যানিটারি ন্যাপকিনেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এ ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ভালো মানের ন্যাপকিন বাছাই করতে হবে। আর সেনসিটিভ স্কিনের অধিকারী যাঁরা, তাঁরা অবশ্যই প্লাস্টিক লাইনিং আছে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন এড়িয়ে চলবেন।

epzoBNI.jpg


কারণ, এগুলো চামড়ার সঙ্গে ঘষা লেগে র‍্যাশ, চুলকানির মতো অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। এখানে একটা কথা বলা দরকার, এখনো আমাদের অনেকেই কাপড় বা তুলা ব্যবহার করেন। কাপড় যতই ধুয়ে নেওয়া হোক, তা পরে রোদ বা বাতাসে শুকাতে দেওয়া হয়। এতে তা কতটা জীবাণু মুক্ত হয়, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রশ্ন ওঠে কাপড় বা তুলার শোষণক্ষমতা নিয়ে। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায়। সে জন্য সবার উচিত, এগুলো এড়িয়ে উচ্চ শোষণক্ষমতাসম্পন্ন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা।

নিয়মিত পরিবর্তন করা

স্যানিটেশন পদ্ধতি যেটাই ব্যবহার করুন না কেন, তা চার ঘণ্টা পরপর পরিবর্তন করতে হবে। অনেকের পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন আর শেষের দিনগুলোতে ফ্লো কমে আসে। সে ক্ষেত্রেও একটি ন্যাপকিন সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টার বেশি রাখা যাবে না। আর যাঁদের হেভি ফ্লো হয়, তাঁদের জন্য তিন ঘণ্টা। এর বেশি সময় রাখলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

নিয়মিত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকুন

পিরিয়ডের সময় যোনিপথের আশপাশে রক্ত লেগে যাওয়াটা খুব অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। এভাবে কিন্তু যোনিপথের বাইরের অংশে এবং চামড়ার ভাঁজে রক্ত লেগে যেয়ে ঘামের সঙ্গে মিশে জীবাণু আটকে যায়। এ জন্য জায়গাগুলো কুসুমগরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। বাইরে থাকলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন।

যোনিপথের আশপাশে সাবান বা ভ্যাজাইনাল হাইজিন প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যাবে না

যোনির নিজস্ব পরিচ্ছন্নতাব্যবস্থা, যা ভালো ও খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্যে রাখে। এটি সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেললে ভালো ব্যাকটেরিয়া মরে গিয়ে সংক্রমণের সৃষ্টি করতে পারে। যোনি ও এর আশপাশের জায়গা ধুয়ে ফেলা প্রয়োজন, তবে তা করতে হবে শুধু কুসুমগরম পানি দিয়ে। এখন বাজারে অনেক জীবাণুনাশক ভ্যাজাইনাল হাইজিন প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। এই একই কারণে এড়িয়ে চলুন এগুলো। তাই নিজের ভালোর জন্য ভ্যাজাইনাল হাইজিন প্রোডাক্টের আকর্ষক বিজ্ঞাপনে মজবেন না।

আপনার ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন সঠিকভাবে ফেলে দিন

আমাদের দেশে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা স্যানিটারি ন্যাপকিন যত্রতত্র ফেলে দেন। কেউ কেউ তো টয়লেটে ফ্ল্যাশ করেন। আবার কেউ কেউ একদম খুলেই ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। এমনটা যদি আগে করে থাকেন, তাহলে এখন থেকেই তা করা বন্ধ করুন। ন্যাপকিন সব সময় পেপারে মুড়ে ফেলতে হবে। তা না হলে জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে এবং সংক্রমিত হতে পারে যে কেউ। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

প্যাড র‍্যাশ থেকে সাবধান থাকুন

হেভি ফ্লোয়ের সময় অনেকের প্যাড র‍্যাশ হতে দেখা যায়। এ সময়ে অনেকক্ষণ প্যাড ভিজে থাকলে এবং চামড়ার সঙ্গে ঘর্ষণে এমনটি হয়ে থাকে। এটি প্রতিরোধের একমাত্র উপায় প্যাড বা ন্যাপকিন যথাসময়ে পরিবর্তন করা এবং যোনিপথের আশপাশের জায়গা শুকনা রাখা। আর র‍্যাশ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিসেপটিক অয়েন্টমেন্ট লাগাতে হবে। গোসলের পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।

একই সময়ে কেবল একটা স্যানিটেশন পদ্ধতি ব্যবহার করুন

পিরিয়ডে হেভি ফ্লোয়ের সময় অনেকেই দুটি প্যাড বা আলাদা কাপড় ব্যবহার করে থাকেন। এটা মোটেও খুব ভালো আইডিয়া নয়। কারণ, এগুলো পুরোপুরি ব্যবহার না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত পরে থাকা হয় অনেকক্ষণ। এতে র‍্যাশ, ইনফেকশনের মতো সমস্যা হয়ে থাকে। তাই একবারে একটাই স্যানিটেশন পদ্ধতি ব্যবহার করুন।

Lh3jVM0.jpg


পিরিয়ডের সময় প্রতিদিনই গোসল করতে হবে

প্রতিদিন গোসল করতে হবে

গোসল করতেই হবে। পিরিয়ডের সময় প্রতিদিনই গোসল করতে হবে। শীতের সময় অনেকের গোসল না করার প্রবণতা থাকে। এমনটা করা যাবে না। আর এ সময়ে সবচেয়ে ভালো কুসুমগরম পানি দিয়ে গোসল করা। এতে পিরিয়ডের কারণে হওয়া পেটে ব্যথা, পিঠে বা হাত-পায়ে ব্যথা কমে আসে আর অনেক সতেজ অনুভব হয়।
পিরিয়ডের সময় হাতের কাছে রাখুন 'অন দ্য গো স্টাফ'

পিরিয়ডের সময় প্রস্তুত থাকাটা বেশ জরুরি। বিশেষ করে বাইরে বের হলে। ব্যাগে সব সময় একটি বাড়তি প্যাড, ছোট শুকনা তোয়ালে, টিস্যু বা ওয়েট টিস্যু রাখুন। সঙ্গে রাখুন হ্যান্ড স্যানিটাইজার, একটি পানির বোতল আর কিছু শুকনা হেলদি স্ন্যাকস।
 
These are the rules that are to be followed throughout the entire site. Please ensure you follow them when you post. Those who violate the rules may be punished including possibly having their account suspended.

যারা কমেন্ট করবেন, দয়া করে বানান ঠিক রাখুন। উত্তেজিত অবস্থায় দ্রুত কমেন্ট করতে গিয়ে বানান ভুল করবেন না। আমরা যারা কমেন্ট পড়তে আসি, আমাদের কমেন্ট পড়তে অনেক অসুবিধা হয়।

Users who are viewing this thread

Back
Top