নিষিদ্ধ কামনাঃ শরীর বদলে শরীর ০১
ও গল্পটা শাহেদ এবং তার আশেপাশের মানুষের। প্রথমে শাহেদের পরিচয় শাহেদ ঢাকা শহরের নামকরা একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ কমপ্লিট করে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করছে। প্রায় 5 ফুট 11 ইঞ্চি লম্বা ফর্সা এবং গুড লুকিং এজন্য সম্ভবত কলেজ ইউনিভার্সিটি লাইফে সাহেবের মেয়ে বন্ধুর সংখ্যা অনেক ছিল।
ফ্যামিলি বলতে শুধু মা ছোট ভাই এবং বাবা বাবা বিদেশে চাকরি রত তাই মা এবং ছোট ভাই বাবার সাথে মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন। বছর দেড়েক হল সাহেব বিয়ে করেছেন। ছেলের বউয়ের নাম নাতাশা ইউনিভার্সিটির পড়াশোনা শেষ করে একটি প্রাইভেট ফার্মে ইন্টার্নশিপ করার সময় নাতাশার সাথে পরিচয়। প্রকৃত বাঙালি সুন্দরী নারী বলতে যা বোঝায় নাতাশা তাই ।
5 ফুট 5 ইঞ্চি লম্বা নাতাশা শরীরের গড়ন আশেপাশের যেকোনো পুরুষ মানুষকে মুহুর্তের মধ্যে পাগল করে দিতে বাধ্য। শরীরের প্রতিটা বাকের মধ্যে রূপ-লাবণ্য যেন ফেটে পড়ছে । 36 সাইজের ব্রা নাতাশা সামান্য টাইট হয় কোমর আর পাছার সাইজ 26 34!
পড়াশোনা শেষ করে বছরখানিক জব করে এখন পুরোদস্তুর গৃহিণী।
নাতাশা ঢাকায় শহরের মেয়ে আধুনিকা এবং শিক্ষিত তাই বলে নিজের ট্রেডিশন ভুলে যায়নি। অধিকাংশ সময় নাতাশার শাড়ি পরা পছন্দ করে। যেকোনো শাড়িতে নাতাশা কে আরো বেশি হট আর আকর্ষণীয় লাগে। নাতাশা বরাবরের মতোই ফ্যাশন সচেতন সে জানে তাকে কোন আউটফিটে সুন্দর লাগে এবং সেটা কিভাবে পড়তে হয় । নাতাশার প্রতিটা ড্রেস এমনকি ব্লাউজ খুব সুন্দর করে বাড়ানো এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজাইন করা । অধিকাংশ সময় শাড়ি পরার কারনে মেয়েটা ফ্যাশন সচেতনতা প্রকাশ পায় ব্লাউজে ডিজাইনে।
এই যেমন আজ নাতাশা অরেঞ্জ কালারের একটি শাড়ি পড়েছ সেটা জর্জেটের এবং বেশ ট্রানস্পরেন্ট শাড়ির নিচে নাতাশার ব্লাউজের রং মারুন । দীপ নেকেড ব্লাউজ হওয়াতে নাতাশার সুন্দরপুর খানিকটা অংশ ব্লাউজ ছিঁড়ে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে অন্যদিকে ব্লাউজের পেছনটা প্রায় ব্যাকলেস শুধুমাত্র ব্রায়ের মত একটা চিকন ফিতা পিঠের উপরের লেগে আছে।
মাত্র সন্ধ্যা হল শাহেদ বাসায় ফিরবে এখনই। শাহেদ আর নাতাশা সামাজিক জীবনে বেশ জনপ্রিয় কাপল কারণ ওরা দুজন একজন আরেকজনের জন্য পারফেক্ট সৌন্দর্যে কিংবা পড়াশোনায় অথবা সামাজিক মর্যাদায়। যদি ও ওদের পার্সোনাল লাইফ ভালো যাচ্ছে না। বিয়ের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে খুব ইনজয় করছে এজন্যেই হয়তো একজন আরেকজনের প্রতি অ্যাট্রাকশন হারিয়ে ফেলেছে কিছুটা । ব্যাপারটা অদ্ভুত হলেও সত্য নাতাশার বান্ধবীরা সাহেদকে দেখলে লালা ফেলে এমন প্রতিষ্ঠিত সুদর্শন বর পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার, অন্যদিকে সাহেবের বন্ধুরা নাতাশাকে দেখে নিজেদের স্ত্রী দের ভুলে যায় । নাতাশার শরীর থেকে ওদের নজর সরানো অসম্ভব ।
কলিং বেলের শব্দে নাতাশা দরজা খুলে দিল শাহেদ ভিতরে ঢুকে নাতাশা কে সামান্য জড়িয়ে ধরে রুমে চলে গেল কাপড় বদলানোর জন্য । তারপর প্রায় ঘন্টা দুয়েক কেটে গেল শাহেদ মোবাইলে আর নাতাশার টিভিতে ব্যস্ত।
ডিনারের টেবিলে ওরা তেমন কথাবাত্রা বলছিল না হঠাৎ একটা ফোন আসলো শাহেদ হ্যাঁ হুম আচ্ছা বলে ফোনটা রেখে দিল।
শাহেদের মায়ের ফোন, রাত আড়াইটার ফ্লাইট এর শাহেদের ছোট ভাই রাহাত আসছে ঢাকায়। এ লেভেল পড়া শেষ ঢাকায় এসে ইউনিভার্সিটি এডমিশন যদি ভালো লাগে তাহলে ঢাকাতেই থেকে যাবে। শাহেদ নাতাশা কথাগুলো বলল বাতাস একটু খুশি হলো রাহাত নাতাশার চেয়ে চার বছরের ছোট। যদি ওদের সম্পর্কটা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ । দেবর ভাবির খুব একটা দেখা হয়নি সাহেবের বিয়ের সময় ওরা মাত্র 15 দিন ছিল ঢাকাতে যদিও দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় রাহাতের সাথে ফেসবুকে রেগুলারলি কথা বলেছে নাতাশা আর ছোট ভাইয়ের মত করে আদর করে রাহাতকে।
রাহাত আর শাহেদ দুজন যে আপন ভাই এটা দেখেই বোঝা যায় রাহাত শাহেদের চেয়ে ইঞ্চিখানেক লম্বা হবে শারীরিক গঠন একদম সেইম পরিবর্তন যা আছে তা হচ্ছে চুলে শাহেদের চুল স্ট্রেইট সামান্য কারলি অন্যদিকে রাহাত'এর চুল বেশ কার্লি। বড় ভাইয়ের মতো রাহাতঃ মেয়েদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
রাতের ব্যাপারে টুকটাক বেশ কিছু কথা হল নাতাশা আর শাহেদ এর মধ্যে। দুজনই বেশ খুশি কারণ রাহাত বেশ জলি টাইপের ছেলে । দেবর ভাবীর সম্পর্ক তো এমনিতেই বন্ধুত্বপূর্ণ অন্যদিকে দুই ভাইয়ের সম্পর্ক বেস্ট ফ্রেন্ড এর মতো রাহাত এমন কোন কিছু নাই যেটা ভাইয়ার সাথে শেয়ার করে না।
নাতাশার আর সাহেব ঠিক করল ওরা দুজনেই যাবে রাহাতকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করতে।
চলবে...