ঈদ উদ্যাপনে গতবারের চেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে সবার। মনে রাখতে হবে, সবার আগে জীবন বাঁচানো জরুরি। কাজেই নিজের ও পরিবারের সদস্যদের সুস্থতার কথা ভাবতে হবে
পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত। গত বছরের মতো এবারও ঈদ উৎসবে আনন্দের সঙ্গে রয়েছে আশঙ্কা। কারণ, করোনার মহামারি। কয়েক দিন আগেও পরিস্থিতি এতটাই জটিল ছিল যে হাসপাতাল ঘুরেও রোগীর জন্য শয্যা পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চূড়ায় রয়েছে। বাংলাদেশেও করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। তাই এবারের ঈদ উদ্যাপনে গতবারের চেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে সবার। মনে রাখতে হবে, সবার আগে জীবন বাঁচানো জরুরি। কাজেই নিজের ও পরিবারের সদস্যদের সুস্থতার কথা ভাবতে হবে। উৎসব উদ্যাপন করতে গিয়ে যেন প্রিয়জনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা না হয়।
ঈদগাহে সবাই মিলে নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন শুরু হয়। করোনার বিস্তার রোধে নিকটস্থ মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করুন। নিজের জায়নামাজটি সঙ্গে নিন, বাসা থেকে অজু করে যাবেন। ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি বা হাত মেলানো থেকে বিরত থাকুন। বাড়ির বয়স্ক ও নানা রোগে আক্রান্ত মানুষটিকে ঈদের নামাজে না নেওয়াই ভালো। মসজিদে যাওয়া ও আসার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাস্ক পরতে হবে।
সংকটময় এ মুহূর্তে ঈদ একটু ভিন্নভাবে উদ্যাপন করতে হবে। এখন আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি, আমাদের সবারই উচিত সতর্ক থাকা। পরিবার ও প্রিয়জনদের সুরক্ষার কথা ভেবে ঈদের অনুভূতিগুলো বাড়িতে থেকেই ভাগ করে নিন। উদ্যাপন করতে গিয়ে পরস্পরের বাড়ি বেড়াতে না যাওয়াই ভালো। টেলিফোনে বা ভিডিও কলে শুভেচ্ছা বিনিময় করুন।
ঈদের ছুটিতে যাতে অসুস্থ না হন, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কেবল করোনা নয়, অন্যান্য রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকতে সাবধানে খাওয়াদাওয়া করুন। ভিটামিন সি–যুক্ত খাবার বেশি খাবেন। অল্প অল্প করে খাবেন। একসঙ্গে বেশি খাবার খাবেন না। বিশুদ্ধ পানি বেশি বেশি পান করুন।
আমরা দুঃসময় পার করছি। এ সময় সবাই সুস্থ থাকি, নিরাপদে থাকি এবং দেশকে ভালো রাখতে চেষ্টা করি—যাতে বেঁচে থাকলে আগামী দিনে ঈদ উদ্যাপন করা যায়। মনে রাখতে হবে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানলেই কেবল করোনা মোকাবিলা সম্ভব।
* ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান | বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত। গত বছরের মতো এবারও ঈদ উৎসবে আনন্দের সঙ্গে রয়েছে আশঙ্কা। কারণ, করোনার মহামারি। কয়েক দিন আগেও পরিস্থিতি এতটাই জটিল ছিল যে হাসপাতাল ঘুরেও রোগীর জন্য শয্যা পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চূড়ায় রয়েছে। বাংলাদেশেও করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। তাই এবারের ঈদ উদ্যাপনে গতবারের চেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে সবার। মনে রাখতে হবে, সবার আগে জীবন বাঁচানো জরুরি। কাজেই নিজের ও পরিবারের সদস্যদের সুস্থতার কথা ভাবতে হবে। উৎসব উদ্যাপন করতে গিয়ে যেন প্রিয়জনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা না হয়।
ঈদগাহে সবাই মিলে নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন শুরু হয়। করোনার বিস্তার রোধে নিকটস্থ মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করুন। নিজের জায়নামাজটি সঙ্গে নিন, বাসা থেকে অজু করে যাবেন। ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি বা হাত মেলানো থেকে বিরত থাকুন। বাড়ির বয়স্ক ও নানা রোগে আক্রান্ত মানুষটিকে ঈদের নামাজে না নেওয়াই ভালো। মসজিদে যাওয়া ও আসার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাস্ক পরতে হবে।
সংকটময় এ মুহূর্তে ঈদ একটু ভিন্নভাবে উদ্যাপন করতে হবে। এখন আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি, আমাদের সবারই উচিত সতর্ক থাকা। পরিবার ও প্রিয়জনদের সুরক্ষার কথা ভেবে ঈদের অনুভূতিগুলো বাড়িতে থেকেই ভাগ করে নিন। উদ্যাপন করতে গিয়ে পরস্পরের বাড়ি বেড়াতে না যাওয়াই ভালো। টেলিফোনে বা ভিডিও কলে শুভেচ্ছা বিনিময় করুন।
ঈদের ছুটিতে যাতে অসুস্থ না হন, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কেবল করোনা নয়, অন্যান্য রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকতে সাবধানে খাওয়াদাওয়া করুন। ভিটামিন সি–যুক্ত খাবার বেশি খাবেন। অল্প অল্প করে খাবেন। একসঙ্গে বেশি খাবার খাবেন না। বিশুদ্ধ পানি বেশি বেশি পান করুন।
আমরা দুঃসময় পার করছি। এ সময় সবাই সুস্থ থাকি, নিরাপদে থাকি এবং দেশকে ভালো রাখতে চেষ্টা করি—যাতে বেঁচে থাকলে আগামী দিনে ঈদ উদ্যাপন করা যায়। মনে রাখতে হবে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানলেই কেবল করোনা মোকাবিলা সম্ভব।
* ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান | বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ