Self-Made নজরুলের চন্দ্রপ্রীতি (1 Viewer)

[মরুভূমির জলদস্যু]

৩৯।
এ কি অপরূপ রূপের কুমার হেরিলাম সখি যমুনা কূলে,
তার এ সুনীল লাবনি গলিয়া গলিয়া ঢলিয়া পড়িছে গগন-মূলে ॥
যেন কমল ফুটেছে সখি, সহস্র-দল রূপে-কমল ফুটেছে,
রূপের সাগর মন্থন করি’ সখি চাঁদ যেন উঠছে। সখি গো —



​

 

[মরুভূমির জলদস্যু]

৪০।
তুমি আমারে অমৃত এনে দাও কেন নিজে উপবাসী রহি’।
মোর পথের দাহন আপন বক্ষে নিয়ে,
মেঘ হয়ে চল সাথে সাথে ছায়া দিয়ে।
মোর ঘুম না আসিলে কেন কাঁদ চাঁদ হয়ে ঢলঢল॥​

 

[mohit]

That is great research.

Very nice imagination. He loved Mohammad so much it seems that inspire him to write so many verse. If Mohammad was to alive at that time. He (Nazrul) would have become one of the great companion of his (Mohammad).

 

[মরুভূমির জলদস্যু]

৪১।
হিন্দু আর মুসলিম মোরা দুই সহোদর ভাই।
এক বৃন্তে দু’টি কুসুম এক ভারতে ঠাঁই॥
সৃষ্টি যাঁর মুসলিম রে ভাই হিন্দু সৃষ্টি তাঁরি
মোরা বিবাদ ক’রে খোদার উপর করি যে খোদকারি।
শাস্তি এত আজ আমাদের হীন-দশা এই তাই॥
দুই জাতি ভাই সমান মরে মড়ক এলে দেশে
বন্যাতে দুই ভাইয়ের কুটির সমানে যায় ভেসে।
দুই জনারই মাঠেরে ভাই সমান বৃষ্টি ঝরে —
সব জাতিরই সকলকে তাঁর দান যে সমান করে
চাঁদ সুরুযের আলো কেহ কম-বেশি কি পাই
বাইরে শুধু রঙের তফাৎ ভিতরে ভেদ নাই॥



​

 

[মরুভূমির জলদস্যু]

৪২।
এলো মাধবী চাঁদ গগন আঙিনায়
জোয়ার এসেছে তাই হৃদয় যমুনায়
খুলিয়া গলার মালা পরাব শ্যামেরি বরণে॥




​

 

[মরুভূমির জলদস্যু]

৪৩।
গলে টগর মালা কাদের ডাগর মেয়ে
যেন রূপের সাগর চলে উজান বেয়ে॥
তার সুডোল তনু নিটোল বাহুর পরে
চাঁদের আলো যেন পিছ্‌লে পড়ে
ও কি বিজলি পরী এলো মেঘ পাসরি’
চাঁদ ভুলে যায় লোকে তার নয়নে চেয়ে॥



​

 

[মরুভূমির জলদস্যু]

৪৪।
আশ্বিনে পরবাসী প্রিয় এলো ঘরে গো মিটিল বধূর মন-সাধ (সখি রে)
রাধার চোখের জলে মলিন হইয়া যায় কোজাগরী চাঁদ (মলিন হইয়া যায় গো)।



​

 

[মরুভূমির জলদস্যু]

৪৫।
আবার ভালোবাসার সাধ জাগে।
সেই পুরাতন চাঁদ আমার চোখে আজ নূতন লাগে।।
যে ফুল দলিয়াছি নিঠুর পায়ে
সাধ যায় ধরি তারে বক্ষে জড়ায়ে,
উদাসীন হিয়া হায় রেঙে ওঠে অবেলায় সোনার গোধূলি-রাগে।।



​

 

[মরুভূমির জলদস্যু]

৪৬।
এসো ধরণীর দুলালী আলোর দেশে
যথা তারার সাথে চাঁদ গোপনে মেশে




​

 

[মরুভূমির জলদস্যু]

৪৭।
দেব না আর শ্মশান যেতে, সহস্রারে রাখব ধ’রে।
খেলে সেথায় বেড়াবি মা রামধনু রং শাড়ি প’রে।
ক্ষয় হলো চাঁদ কেঁদে কেঁদে
(তারে) দেব মা তোর খোঁপায় বেঁধে
মোর জীবন মরণ বিল্ব জবা দিব মা তোর পায়ে তুলে॥



​