করোনা পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে যাওয়াটাই অনিরাপদ। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা অটুট রাখতে ঘরের বাইরে না গিয়েও আয়োজন করতে পারেন ডেট নাইটের।
২০১৩ সালের দিকের ঘটনা। নরওয়ে সরকার সেখানকার মা-বাবাদের জন্য একদম ভিন্ন রকম একটা উদ্যোগ নেয়। তাঁদের ডেটে যাওয়া বাধ্যতামূলক করে দেয়। ক্রমবর্ধমান বিচ্ছেদের হারে লাগাম টানতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিল দেশটির সরকার। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ছোট ছোট কিছু জায়গা খুঁজে বের করা দরকার, যেখানে মা-বাবারা আবার 'প্রেমিক-প্রেমিকা' হয়ে উঠবেন।
নরওয়ে সরকারের ওই উদ্যোগের গুরুত্ব কিন্তু কম ছিল না মোটেও। সত্যি বলতেই মা–বাবা হয়ে যাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী খুব কমই নিজেদের জন্য আলাদা করে সময় বের করেন। ফলে একসময় সম্পর্কে আসে দূরত্ব; তা থেকে তৈরি হয় বিরক্তি, সবশেষে সম্পর্ক গড়ায় তিক্ততায়। পরিণতিতে বিচ্ছেদ যেন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ায়। এসব না চাইলে কাজ আর সন্তান নিয়ে ব্যস্ত জীবনেও নিজেদের জন্য আলাদা করে খানিকটা সময় খুঁজে নেওয়া আবশ্যক বটে।
কিন্তু এখন করোনা মহামারির তীব্রতা চারদিকে। এ পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয় মোটেও। তা–ই বলে তো আর সম্পর্কে স্থবিরতা আসতে দেওয়া যায় না। আগে বিশেষ দিনগুলোতে বা ইচ্ছা হলেই কোনো একটা রাতে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে বেরিয়ে পড়তেন বাড়ি থেকে। এখন সেই সুযোগ কম। তাই চাইলে ঘরেই সেরে ফেলতে পারেন ডেট নাইটের আয়োজন।
ঘরে একটা ডেট নাইটের আয়োজন আসাধারণ করে তুলতে বেছে নিতে পারেন কানোপি। ঘরের একপাশে সাজিয়ে দিন সেটাকে। তাতেই বদলে যাবে অনেক কিছু। সাহায্য নিতে পারেন কিছু ফেয়ারি লাইটেরও। আর ফুল তো থাকছেই এখানে–ওখানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে। সাজিয়ে–গুছিয়ে ফেললে চেনা ঘরটাই হয়ে উঠবে অন্য রকম।
ঘরে ডেট নাইটের আয়োজনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গের নাম মোমবাতি। খাবারের টেবিলটা বা বসার ঘরটা সাজিয়ে ফেলতে পারেন মোমবাতি দিয়ে। এতে করে একটা আলোছায়ার পরিবেশ তৈরি হবে। সেই আলোছায়াতে প্রিয়জনের সঙ্গে মুহূর্তগুলো হয়ে উঠবে আরও রঙিন।
রেস্টুরেন্টগুলোও এখন সে রকম খোলা নেই। কিন্তু খাবার ছাড়া কি ডেট হতে পারে? ঘরে ডেট নাইটের আয়োজনে কিছুটা ভিন্নতা আনতে পারেন পিকনিক টুইস্ট দিয়ে। দুজনেই হয়তো একে অন্যের পছন্দের কোনো খাবার রান্না করলেন বা বানালেন নিজের মতো করে। তারপর সেটা নিয়ে বসলেন আড্ডা দিতে। এভাবে ঘরের ডেট নাইটেও পিকনিকের ভাব পেতে পারেন। একে অন্যের পছন্দ–অপছন্দকে গুরুত্ব দেওয়ার এর থেকে ভালো উপায় আর কী–বা হতে পারে! তবে রান্নাবান্না ঠিক আপনার কর্ম না হলে বাইরে থেকে খাবার অর্ডারও করে নিতে পারেন।
বাসাতেই যদি কোনো খোলা জায়গা থাকে, তাহলে তারাগুলোর নিচে বসে হতে পারে সিনেমা দেখার আয়োজন। বারান্দা, ছাদ বা বাড়ির সামনে লন হতে পারে ভালো সমাধান। একটি প্রোজেক্টর, একটি মাদুর আর আপনাদের দুজনের পছন্দের কোনো সিনেমা নিয়ে বসে পড়তে পারেন। সময়টা কেটে যাবে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে।
চাইলে বই নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। মুঠোফোনে কোনো লাইভেও অংশ নিতে পারেন। ইন্টারনেট যখন আছেই, সেটার সুযোগ নেবেন না কেন? তবে দুজনে এ সময় আলাদা আলাদা মুঠোফোন নিয়ে বসে পড়া নয় বা অন্যজনের অপছন্দ, এমন কোনো অংশগ্রহণ নয়।
ডেট নাইটে 'শুধু দুজনের' ধারা থেকেও বেরিয়ে আসতে পারেন। দুজনে একসঙ্গে বসে নিরিবিলি মুভি দেখা তো চলতেই পারে, সেই সঙ্গে বন্ধুরা বেশ কয়েকটা কাপল মিলে ভার্চ্যুয়ালি গেমের আয়োজন করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে দুজনেই সব যুগলের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত কি না, সেটা আগেভাগেই দেখে নেবেন। ভার্চ্যুয়াল গেম হতে পারে ডেট নাইটের আরেকটি ভালো অনুষঙ্গ। ঘরে বসেই তাতে সবার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে। আর দুজনে মিলে খেলতে হবে বলে দুজনের সময়টাও বেশ কেটে যাবে।
ঘরে থেকেই জীবনসঙ্গীর সঙ্গে আনন্দময় কিছু মুহূর্ত কাটানোর এমন সুযোগ হেলায় হারানো ঠিক হবে না।
২০১৩ সালের দিকের ঘটনা। নরওয়ে সরকার সেখানকার মা-বাবাদের জন্য একদম ভিন্ন রকম একটা উদ্যোগ নেয়। তাঁদের ডেটে যাওয়া বাধ্যতামূলক করে দেয়। ক্রমবর্ধমান বিচ্ছেদের হারে লাগাম টানতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিল দেশটির সরকার। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ছোট ছোট কিছু জায়গা খুঁজে বের করা দরকার, যেখানে মা-বাবারা আবার 'প্রেমিক-প্রেমিকা' হয়ে উঠবেন।
নরওয়ে সরকারের ওই উদ্যোগের গুরুত্ব কিন্তু কম ছিল না মোটেও। সত্যি বলতেই মা–বাবা হয়ে যাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী খুব কমই নিজেদের জন্য আলাদা করে সময় বের করেন। ফলে একসময় সম্পর্কে আসে দূরত্ব; তা থেকে তৈরি হয় বিরক্তি, সবশেষে সম্পর্ক গড়ায় তিক্ততায়। পরিণতিতে বিচ্ছেদ যেন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ায়। এসব না চাইলে কাজ আর সন্তান নিয়ে ব্যস্ত জীবনেও নিজেদের জন্য আলাদা করে খানিকটা সময় খুঁজে নেওয়া আবশ্যক বটে।
কিন্তু এখন করোনা মহামারির তীব্রতা চারদিকে। এ পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয় মোটেও। তা–ই বলে তো আর সম্পর্কে স্থবিরতা আসতে দেওয়া যায় না। আগে বিশেষ দিনগুলোতে বা ইচ্ছা হলেই কোনো একটা রাতে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে বেরিয়ে পড়তেন বাড়ি থেকে। এখন সেই সুযোগ কম। তাই চাইলে ঘরেই সেরে ফেলতে পারেন ডেট নাইটের আয়োজন।
ঘরে একটা ডেট নাইটের আয়োজন আসাধারণ করে তুলতে বেছে নিতে পারেন কানোপি। ঘরের একপাশে সাজিয়ে দিন সেটাকে। তাতেই বদলে যাবে অনেক কিছু। সাহায্য নিতে পারেন কিছু ফেয়ারি লাইটেরও। আর ফুল তো থাকছেই এখানে–ওখানে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে। সাজিয়ে–গুছিয়ে ফেললে চেনা ঘরটাই হয়ে উঠবে অন্য রকম।
ঘরে ডেট নাইটের আয়োজনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গের নাম মোমবাতি। খাবারের টেবিলটা বা বসার ঘরটা সাজিয়ে ফেলতে পারেন মোমবাতি দিয়ে। এতে করে একটা আলোছায়ার পরিবেশ তৈরি হবে। সেই আলোছায়াতে প্রিয়জনের সঙ্গে মুহূর্তগুলো হয়ে উঠবে আরও রঙিন।
রেস্টুরেন্টগুলোও এখন সে রকম খোলা নেই। কিন্তু খাবার ছাড়া কি ডেট হতে পারে? ঘরে ডেট নাইটের আয়োজনে কিছুটা ভিন্নতা আনতে পারেন পিকনিক টুইস্ট দিয়ে। দুজনেই হয়তো একে অন্যের পছন্দের কোনো খাবার রান্না করলেন বা বানালেন নিজের মতো করে। তারপর সেটা নিয়ে বসলেন আড্ডা দিতে। এভাবে ঘরের ডেট নাইটেও পিকনিকের ভাব পেতে পারেন। একে অন্যের পছন্দ–অপছন্দকে গুরুত্ব দেওয়ার এর থেকে ভালো উপায় আর কী–বা হতে পারে! তবে রান্নাবান্না ঠিক আপনার কর্ম না হলে বাইরে থেকে খাবার অর্ডারও করে নিতে পারেন।
বাসাতেই যদি কোনো খোলা জায়গা থাকে, তাহলে তারাগুলোর নিচে বসে হতে পারে সিনেমা দেখার আয়োজন। বারান্দা, ছাদ বা বাড়ির সামনে লন হতে পারে ভালো সমাধান। একটি প্রোজেক্টর, একটি মাদুর আর আপনাদের দুজনের পছন্দের কোনো সিনেমা নিয়ে বসে পড়তে পারেন। সময়টা কেটে যাবে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে।
চাইলে বই নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। মুঠোফোনে কোনো লাইভেও অংশ নিতে পারেন। ইন্টারনেট যখন আছেই, সেটার সুযোগ নেবেন না কেন? তবে দুজনে এ সময় আলাদা আলাদা মুঠোফোন নিয়ে বসে পড়া নয় বা অন্যজনের অপছন্দ, এমন কোনো অংশগ্রহণ নয়।
ডেট নাইটে 'শুধু দুজনের' ধারা থেকেও বেরিয়ে আসতে পারেন। দুজনে একসঙ্গে বসে নিরিবিলি মুভি দেখা তো চলতেই পারে, সেই সঙ্গে বন্ধুরা বেশ কয়েকটা কাপল মিলে ভার্চ্যুয়ালি গেমের আয়োজন করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে দুজনেই সব যুগলের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত কি না, সেটা আগেভাগেই দেখে নেবেন। ভার্চ্যুয়াল গেম হতে পারে ডেট নাইটের আরেকটি ভালো অনুষঙ্গ। ঘরে বসেই তাতে সবার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে। আর দুজনে মিলে খেলতে হবে বলে দুজনের সময়টাও বেশ কেটে যাবে।
ঘরে থেকেই জীবনসঙ্গীর সঙ্গে আনন্দময় কিছু মুহূর্ত কাটানোর এমন সুযোগ হেলায় হারানো ঠিক হবে না।