What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

রোজায় চোখের চিকিৎসা (1 Viewer)

যাঁদের দীর্ঘমেয়াদি রোগ আছে, তাঁরাও নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন। চোখের রোগের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয় বিবেচনায় আনতে হয়।

4kfJGX7.jpg


বছর ঘুরে আবার এসেছে পবিত্র রমজান মাস। এ বছর রোজা পালন করা হচ্ছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে। ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে, অন্য অসুখে পড়ে অনেকেই ছুটছেন হাসপাতালে। তবে রোজাদার যখন অসুস্থ থাকেন, তখন ভিন্ন এক বাস্তবতার সম্মুখীন হন। যেমন, তাঁকে ওষুধ সেবন করতে হয় অথবা জরুরি অস্ত্রোপচার করতে হয়, কিংবা নিতে হয় কোনো ইঞ্জেকশন। যাঁদের দীর্ঘমেয়াদি রোগ আছে, তাঁরাও নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন। চোখের রোগের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয় বিবেচনায় আনতে হয়। এক, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এসব ওষুধ ব্যবহারে রোজা আদৌ ভাঙে কি না এবং দুই, যে ওষুধ সেবনে রোজা ভাঙে, তা অত্যাবশ্যকীয় কি না।

ওষুধ ব্যবহার

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক, চোখে ড্রপ ব্যবহারে রোজা ভাঙে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় কি না। চোখে ড্রপ দিলে তার কিছু অংশ আমাদের গলা পর্যন্ত যায়। অনেকেই মনে করেন, এতে রোজা ভেঙে যাবে। কিন্তু চোখের ড্রপে কোনো খাদ্য উপাদান থাকে না। তাই বিষয়টি পানাহারের মধ্যে পড়ে না। এরপরও মনে প্রশ্ন থেকে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন, দিনে চোখের ড্রপ ব্যবহার না করে তা রাতে ব্যবহার করা যায় কি না।

ইঞ্জেকশন

ইঞ্জেকশনে যদি খাদ্য উপাদান থাকে, অথবা তা শক্তিবর্ধক হয়, তাহলে রোজা রেখে তা নেওয়া যাবে না। তবে যদি ইঞ্জেকশনে খাদ্য উপাদান না থাকে, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যাভাস্টিন–জাতীয় ইঞ্জেকশন, তাহলে তাতে রোজা ভাঙবে না। তবে যদি এমন হয় যে তাৎক্ষণিকভাবে ইঞ্জেকশন না নিলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার বা অন্ধ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, তাহলে তা অবশ্যই নিতে হবে। পরীক্ষার প্রয়োজনে ইঞ্জেকশন নিতে হলে (যেমন চোখের ফান্ডাস ফ্লোরেসেন্স এনজিওগ্রাম করতে হলে একধরনের রঞ্জক পদার্থ রক্তনালিতে দিতে হয়), তা ইফতারের পর করতে পারেন। শিরায় ইঞ্জেকশন পুশ করার সময় রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থাকে। তা ছাড়া অনেকের হাইপার সেনসিটিভিটি রিয়েকশন হতে পারে। তখন আবার একাধিক ইঞ্জেকশন, এমনকি স্যালাইন দেওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে।

অস্ত্রোপচার

চোখের অনেক অস্ত্রোপচার আছে, যেখানে রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে শরীরের ভেতরের জলীয় অংশ এবং অন্যান্য টিস্যু শরীর থেকে যেহেতু বের হয়ে আসে, তাই এতে রোজা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করেন। জরুরি অস্ত্রোপচার, যেমন ফেকোলাইটিক গ্লকোমা বা কোনো আঘাতের ঘটনা হলে রোজা ভেঙে তা করতে হবে। কর্নিয়া সংযোজন অনেক সময় কর্নিয়াপ্রাপ্তির ৬ ঘণ্টার মধ্যে করতে হয়। নইলে কর্নিয়ার গুণ নষ্ট হয়ে যায়। অস্ত্রোপচারটি জরুরি। তবে কম জরুরি অস্ত্রোপচারগুলো চিকিৎসকের পরামর্শে চাইলে রোজার পরও করা যায়।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top