ঈদের দিনের সকালের নাশতায় থাকে ঝাল, মিষ্টি—সব ধরনের স্বাদ। সেমাই তো থাকেই, পাশাপাশি পরোটা-মাংসও থাকতে পারে। সঙ্গে চা অথবা শরবত। রেসিপি দিয়েছেন কল্পনা রহমান।
রেশমি সেমাই
রেশমি সেমাই
উপকরণ: সেমাই ৪০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল আধা কাপ, এলাচিগুঁড়া আধা চা-চামচ, ডিম ৬টি, চিনি ১ কাপ, তরল দুধ ১ কেজি, গুঁড়া দুধ ১ কাপ।
প্রণালি: দুধ জ্বাল দিয়ে যখন ২ কাপ পরিমাণে ঘন হয়ে আসবে, তখন নামিয়ে ঠান্ডা করে ডিম দিয়ে বিট করে রাখুন। সেমাই ভেঙে ছোট করে নিতে হবে। একটি পাত্রে তেল দিয়ে এলাচির ফোড়ন দিয়ে দিন। সেমাই ভাজুন। যখন বাদামি রং হবে, তখন আস্তে আস্তে ডিমের মিশ্রণ ঢেলে নাড়তে হবে। একটু পর চিনি দিয়ে আবার নাড়তে হবে। সেমাই যখন ঝরঝরে হবে, তখন গুঁড়া দুধ ছড়িয়ে দিতে হবে। সব শেষে এলাচিগুঁড়া বিছিয়ে দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
তন্দুরি পরোটা
তন্দুরি পরোটা
উপকরণ: ময়দা ৬ কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, লবণ ২ চা-চামচ, পানি প্রয়োজনমতো, চিনি আধা কাপ, ডালডা ১ কাপ, তেল ১ কাপ (আধা কাপ ডালডার সঙ্গে মেশানোর জন্য, আধা কাপ ময়ানের জন্য), কিশমিশ আধা কাপ, ডিম ২টা ও পনির ১ কাপ।
প্রণালি: ডালডা গুলে নিয়ে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ঠান্ডা করে রাখতে হবে। ময়দা, লবণ, তেল, চিনি, দুধ দিয়ে খুব ভালো করে ময়ান দিন। ডিম ও পানি দিয়ে একটু নরম খামির বানিয়ে ১৫ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। এরপর আবার ময়ান দিয়ে নিন। এবার পরোটার জন্য ১০টি গোল্লা বানাতে হবে। গোল্লাগুলোর ওপরে তেল মাখিয়ে নিন। ট্রেতে একটু ফাঁকা ফাঁকা করে ২ ঘণ্টা রেখে দিন।
এবার রুটি বেলার পিঁড়িতে তেল মেখে আলতো হাতে চাপ দিন। চেপে চেপে বড় পিঁড়ির সমান পাতলা রুটি বানাতে হবে। রুটিগুলোর ওপর ব্রাশ দিয়ে গোলানো ডালডার প্রলেপ দিন। রুটির ওপরে কিশমিশ ও পনির ছিটিয়ে দিন। কয়েকটি ভাঁজে ভাঁজ করে প্রতিটা ভাঁজে ডালডা, কিশমিশ ও পনির দিয়ে দিন। পরোটার গোল্লা বানান। ভাঁজটা নিচে দিয়ে ১০ মিনিট তেলের প্রলেপ দিয়ে রেখে দিতে হবে। ১০ মিনিট পর ওভেন ট্রেতে তেল ব্রাশ করে নিন। হাত দিয়ে চেপে চেপে পরোটার আকার বানিয়ে ২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে বেক করতে হবে ২০-২৫ মিনিট। বাদামি হলে নামিয়ে নিন। রঙের ছিটা দিয়ে পরিবেশন করুন।
গরুর মসলা তরকারি
গরুর মসলা তরকারি
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, ঘি ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, টক দই ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, জিরাবাটা আধা টেবিল চামচ, ধনেগুঁড়া আধা টেবিল চামচ, মরিচগুঁড়া আধা টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, মৌরিগুঁড়া ১ চা-চামচ, রাঁধুনিগুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি স্বাদমতো, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা ও লবঙ্গ ফোড়নের জন্য।
প্রণালি: হাঁড়িতে ঘি গরম করে এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা ও লবঙ্গ ফোড়ন দিতে হবে। তারপর পেঁয়াজকুচি গাঢ় বাদামি করে ভাজতে হবে। ভাজা পেঁয়াজে গরুর মাংস দিয়ে ভেজে নিন। এবার একটি বাটিতে টক দইয়ের সঙ্গে চিনি বাদে সব মসলা ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। ফেটানো মসলা মাংসের সঙ্গে ভালোভাবে মেশাতে হবে। মেশানো হলে হাঁড়ি ভালোভাবে ঢেকে দিন (যেন বাতাস বের হতে না পারে)। ৪০-৫০ মিনিট কম আঁচে রান্না করতে হবে। মাঝে ১ বার বা ২ বার নাড়তে হবে। রান্না হলে ১ চা-চামচ চিনি দিতে হবে।
কাঁচা আমের শরবত
কাঁচা আমের শরবত
উপকরণ: কাঁচা আম ২ কাপ, কাঁচা মরিচ ১টি, চিনি আধা কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ ও পানি ৫ কাপ।
প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
লেবানিজ কাবাব
লেবানিজ কাবাব
উপকরণ: মুরগি (ছোট ছোট টুকরা) ২ কাপ, আলু সেদ্ধ (কিউব কাট) ১ কাপ, মটরশুঁটি সেদ্ধ আধা কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা পৌনে এক চামচ, সেদ্ধ নুডলস ১ প্যাকেট, নুডলসের মসলা ১ প্যাকেট, কাঁচা মরিচের কুচি ১ টেবিল চামচ, ক্যাপসিকাম কিউব কাট আধা কাপ, সাদা ভিনেগার ২ টেবিল চামচ, কালো গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ডিম ১ টি ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: মুরগির কিউবগুলো আদা, রসুন, ভিনেগার, লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে সেদ্ধ করে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। মাংসের সঙ্গে কিউব কাট আলু সেদ্ধ, মটরশুঁটি সেদ্ধ, নুডলসের মসলা একসঙ্গে মিশিয়ে পরিমাণমতো সাদা সস দিয়ে মাখাতে হবে। এবার পছন্দমতো কাবাবের আকৃতি করে নিন। ডিমে ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিন। ডুবো তেলে ভেজে সালাদ দিয়ে পরিবেশন করুন।
এই কাবাবের সঙ্গে লাগবে সাদা সস।
সাদা সস তৈরির উপকরণ: তরল দুধ আধা কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, ময়দা ২ টেবিল চামচ ও শুকনা মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ।
প্রণালি: ঘি গরম করে ময়দা দিয়ে ভালোভাবে ভেজে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এবার দুধ ও মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে ঘন ঘন নেড়ে জ্বাল দিন।