What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

চুলের রঙিন চর্চা (1 Viewer)

jjGSUVk.jpg


সে যুগের তরুণীর কালো চুলের গুণ এসেছে কবিদের নানা বর্ণনায়। তবে এ যুগে অনেকেই কালো চুলের চেয়ে রঙিন চুল বেশি ভালোবাসেন। আবার রঙিন চুলের ধারাও বদলায় সময়ের সঙ্গে। জেনে নেওয়া যাক এই সময়ে চুলের রঙের ধারা।

মহামারির সময়টাতে পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই ধারাই যেন উঠে এসেছে ফ্যাশনে। ঘরে বসে নিজেরা রং করতে পারছেন, এমন ধারা বেশ দেখা যাচ্ছে। চওড়া করে হাইলাইট করার বিষয়টাই যেমন। চুলের রঙের চলতি ধারা তো বটেই, চুলে রং করাতে চাইলে খেয়াল রাখতে হবে আরও নানা কিছু। বাঙালি নারীর কালো চুলে কেমন রং মানায়, সেটি একটি বিষয়। ত্বকের রংটাও বিবেচ্য, প্রতিটি রংই প্রত্যেককে না-ও মানাতে পারে। তবে সবকিছুর চেয়ে বড় বিষয় হলো চুলের আকার কিংবা গড়ন যেমনই হোক, চুলে যে রং করছেন, তা নিয়ে আপনি স্বচ্ছন্দ কি না, আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই কি না। এমনটাই জানালেন সৌন্দর্যচর্চা কেন্দ্র পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান।

চুলের রঙিন চর্চা

FbHQWKv.jpg


যেমন রং চাই

অবার্ন, মরিচা লাল, তামাটে লাল, টফি বাদামি, চেস্টনাট বাদামি, দারুচিনি বাদামি, মধুর মতো বাদামিসহ বাদামির নানা উষ্ণ শেড, ধূসর, প্যাস্টেল গোলাপি, রুপালি কিংবা প্লাটিনাম রং করাতে পারেন চুলে। করতে পারেন অ্যাশ ব্লন্ড। একাধিক রঙের সংমিশ্রণও বেছে নিতে পারেন। সূক্ষ্ম হাইলাইটও রয়েছে চলতি ধারায়। দীর্ঘ সময় থাকে, এ রকম রংও করাতে পারেন। যেমন গাঢ় বাদামি। পুরো চুল একরঙা করা যায় গাঢ় চকলেট রঙের মতো কোনো রঙে। মধু রংসহ বাদামির সব শেড মানিয়ে যায় কমবেশি সবাইকেই।

আরও রং

গোলাপি, সবুজ, বেগুনি কিংবা এ রকম মজার কোনো রং ব্যবহার করতে চাইলে কেবল চুলের আগায় করা ভালো। তাহলে করানোর পর ইচ্ছা করলে সহজেই রং করা অংশটুকু কেটে ফেলা যেতে পারে। চলতি ধারায় আছে বলে চট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরো চুল হয়তো সবুজ রং করিয়ে ফেললেন, অল্প দিন পর আর ভালো লাগল না। সে ক্ষেত্রে মুশকিলে পড়তে হতে পারে। এ ছাড়া এ ধরনের রং কিছুদিন পরেই (২০-২৫ বার ধোয়ার পরই) মলিন হয়ে খানিকটা অদ্ভুত ধরনের ব্লন্ড হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এমন রং চুলে করতে চাইলে তা মলিন হয়ে যাওয়ার পর আবার একটু দীর্ঘস্থায়ী রং করিয়ে নিতে হয়, সেটাও মাথায় রাখুন। বরং বাদামি রঙের বিভিন্ন শেডের ক্ষেত্রে চুল রং করানোর পর রঙের শেড ভালো না লাগলে সহজেই কাছাকাছি ধরনের রং আরেকবার করিয়ে প্রথম রঙের শেডটায় ভারসাম্য আনার সুযোগ থাকে।

E9t9OKG.jpg


চুলে একাধিক রঙের ব্যবহারও এখন বেশ দেখা যাচ্ছে। মডেল: সারা ফ্যায়রুজ যাইমা, চুলের সাজ: ল্যাভিশ বুটিক স্যালন

অন্য রকম কিছু

চুলে খানিক ধূসর ভাব দেখা দিলে সেটি রেখেই চুলে রঙের প্রয়োগ করা যেতে পারে। রুট ব্লন্ড, অর্থাৎ আগে চুলে রং করা হয়েছিল, পরে গোড়ার দিক থেকে আসল রঙের চুল আবার বেরিয়েছে এমন ধারাও চলছে।

রঙের ধরন-ধারণ

বালায়াজ, গ্লসি শাইনি, রুটি কালার এ ধরনের পদ্ধতিতে চুল রং করা যেতে পারে। তবে যে পদ্ধতিতেই চুল রং করুন না কেন, ভেবেচিন্তে নিন রংটিকে আপনি নিজের জীবনে গ্রহণ করতে পারবেন কি না। বাঙালি নারীর চুল তো প্রাকৃতিকভাবেই কালোতে অনন্য। তাই রং করাতে চাইলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই। কাজল কালো চুলে উজ্জ্বল সোনালি হাইলাইট করা থাকলে তা সুন্দর না-ও দেখাতে পারে। এর চেয়ে ভালো হয় যদি পুরো চুলটা আগে বাদামি রঙের কোনো শেড দিয়ে রং করে নেওয়া হয়। এরপর পছন্দমতো হাইলাইট করে নিতে পারেন। মানানসই দেখাবে।

ল্যাভিশ বুটিক স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ সুমাইয়া মৌসিনীন জানান, চুলে রং করানোর পর বাড়িতে নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। রং করা চুলের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার পাওয়া যায়। সেসবই ব্যবহার করতে হয়। তেল মালিশ করা চাই ঠিকমতো। এ ছাড়া চুলের অবস্থাভেদে মাসে এক-দুবার স্পা কিংবা হেয়ার ট্রিটমেন্ট করানোর প্রয়োজন হয়। সঠিকভাবে যত্ন নিলে রং করার পরও চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে না বলেই জানান তিনি। তাঁর আরও কিছু পরামর্শ—

চুল রং করানোর কিছুদিন পর চুলের গোড়ার দিকে প্রাকৃতিক রংটা দেখা যেতে থাকে। আবার পুরো চুল রং না করিয়ে কেবল ওই অংশে রং করান।

আবার পুরো চুল রং করানোর প্রয়োজন পড়ে বেশ কয়েক মাস পর। পাঁচ-ছয় মাস কিংবা তারও পর, যখন চুলের রং হালকা হয়ে আসে, চুল শুষ্ক হয়ে পড়ে।

প্রথমবার চুল রং করানোর জন্য প্রি-লাইটনিং করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এরপর রং করালে আর প্রি-লাইটনিং করার প্রয়োজন হয় না, যদি না রঙের স্টাইল বা ধরন বদলানো হয়। বারবার প্রি-লাইটনিং করানো হলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

একবার যাঁর কাছে চুল রং করানো হয়, পরবর্তী সময়ও রং করানোর জন্য তাঁর কাছে যাওয়াই ভালো। অন্ততপক্ষে প্রথমবার চুল রং করানোর বেলায় অবশ্যই একজন রূপবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত।

চুল পরিষ্কার রাখা আবশ্যক।

গোসলের অন্তত আধঘণ্টা আগে চুলে তেল মালিশ করে নিন। কিংবা চাইলে রাতে তেল দিয়ে সকালে চুল ধুতে পারেন।

শক্ত ব্রাশ কিংবা চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন না।

রং করা চুলে প্রোটিন প্যাক, আমলা প্যাক প্রয়োগ করবেন না।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top