What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

করোনাকালে অবকাশ ও উৎসব (1 Viewer)

fkOBnTx.jpg


প্রকৃতিতে বসন্ত এসে গেছে। বেড়ানো আর নানা উৎসব উদ্‌যাপনের এটাই সময়। পয়লা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস চলে গেল, সামনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘিরে ছুটি, আগামী মাসে আছে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী—এমন নানা উৎসব আর ছুটিতে মেতে উঠবেন মানুষ। সমুদ্র, পাহাড়, চা-বাগান বেড়ানো তো আছেই। আছে বনভোজনের আয়োজন। বিয়ের মতো উৎসবও চলছে সীমিত আকারে। বইমেলা আয়োজনেরও পরিকল্পনা হয়েছে।

যদিও সবকিছুর মধ্যেই খরনিশ্বাস ফেলে রেখেছে করোনা মহামারি। সংক্রমণের হার কমেছে, মৃত্যুহারও; শুরু হয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। তবু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বা ভীতি একেবারে উবে যায়নি। তাই যা-ই করুন না কেন, সতর্কতা অবলম্বন করতে ভুলবেন না। ক্ষণিকের আনন্দ যেন পরিবারে বা বন্ধুমহলে বড় কোনো দুঃখ বয়ে না আনে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় আসার পরও কিন্তু কিছু কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

করোনার এই পরিস্থিতিতে কোথাও অবকাশযাপনে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের পরামর্শগুলো একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যায়—

  • যেখানে যাওয়ার কথা ভাবছেন, সেখানে সাম্প্রতিক কালে (গত কয়েক দিন বা সপ্তাহ) করোনা সংক্রমণের হার কেমন, সে সম্পর্কে খবর নিন। পাশাপাশি গন্তব্যস্থলে স্থানীয় প্রশাসনের বিধিনিষেধ আপনার চলাচলে সহায়ক হবে কি না, ভাবুন। যদি গন্তব্য দেশের বাইরে হয়, তবে এই সময়ে সে দেশের মহামারি সতর্কতামূলক কোয়ারেন্টিন ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে।
  • বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে মধ্যস্থ কোনো দেশের (ট্রানজিট) মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছাতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন পালন বা করোনা পরীক্ষা আবশ্যক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবেশাধিকারবিষয়ক তথ্য পাওয়া যাবে ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের (ইসিডিসি) ওয়েবসাইটে।
  • আপনি যে দেশে যেতে চান, সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা কূটনৈতিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দরকারি তথ্য ও নিয়ম জেনে নিন। নির্ধারিত দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য পাওয়া যাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে। গন্তব্যের দেশে ভ্রমণনিষেধাজ্ঞা আছে কি না, খোঁজ নিন। গিয়ে যদি অসুস্থ হন বা বিপদে পড়েন, তাহলে কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, আগেই জেনে নিন।
  • অবকাশযাপনের ক্ষেত্রে আবাসনের ব্যবস্থা থাকতে হয়। হোটেল বুক করার আগে করোনা মোকাবিলায় সেখানকার প্রতিরোধক ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা দরকার, আবাসন নিরাপদ কি না, বুঝে নিন। যদি অস্বস্তি বোধ করেন, তবে এমন স্থানে যাওয়ার দরকার নেই।
  • দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ করতেও একই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আবাসন ও স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো। করোনাকালে কারও বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করা বিব্রতকর হতে পারে।
  • কোলাহল কিংবা ভিড় এড়িয়ে চলাই ভালো। এই সময়ে কারও সঙ্গে বিছানা ভাগাভাগি না করাই উচিত। আর কক্ষের মধ্যে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা জরুরি। একাধিক পর্যটকের জন্য গণশৌচাগার থাকলে সমস্যা হতে পারে।
  • আবাসনের জায়গাটিতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হলেও প্রায়শ ব্যবহার করা জিনিসপত্রে (মুঠোফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার) জীবাণুনাশক স্প্রে করে নেবেন। পরিবহনের ক্ষেত্রে নিজের আসনটি হওয়া উচিত নিরাপদ। গণপরিবহনে মাস্ক খুলে খাওয়াদাওয়া না করাই ভালো। হোটেল, রিসোর্ট ইত্যাদির লিফট, সিঁড়ির হাতল, কাউন্টার স্পর্শ করলে অবশ্যই হাত জীবাণুমুক্ত করুন।
  • নিজের কক্ষে থাকার সময়টুকু ছাড়া বাকি সময় অবশ্যই মাস্ক পরে থাকবেন। ডাইনিং বা বুফেতে খাওয়ার সময় আলাদা টেবিলে খেয়ে আবার মাস্ক পরে নেবেন। আরও ভালো হয় হোটেল কক্ষে খাবার আনিয়ে নিয়ে একা একা খেলে।
  • শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখুন। যখন তারা খেলছে, বিভিন্ন জিনিস তাদের সংস্পর্শে আসছে। আবার তারা সব সময় সতর্ক থাকতে পারে না। হাত পরিষ্কারক জেল সঙ্গে রাখুন। বারবার ব্যবহার করুন।
  • সার্বিক পরিস্থিতির ওপর খেয়াল রাখুন। যদি আপনার পরিবারের কারও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে বা উপসর্গ দেখা দেয়, তবে বাইরে বের না হওয়াই ভালো। আবার অবকাশযাপন শেষে আপনি যদি অনেক মানুষের সংস্পর্শে থেকে পরিবারে ফিরে আসেন, সে ক্ষেত্রেও ফলাফল নেতিবাচক হতে পারে। বিশেষ করে যদি পরিবারে বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ সদস্য থাকেন। আগে ভাবুন, আপনি অবকাশযাপনের জন্য নিরাপদ কি না। নয়তো আরও সময় নিন।
  • যদি অবকাশযাপনে গিয়ে আপনি কিংবা আপনার পরিবারের সদস্যরা সংক্রমণের শিকার হোন, তবে পরিস্থিতি খুব দ্রুতই পরিবর্তন হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালে সেবা নেওয়াটাই সমাধান নয়, পাশাপাশি অনেক মানুষকে আইসোলেশনে যেতে হবে, যাঁরা সংক্রমণের শিকার হননি। তাই খুব কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করুন, যাতে আপনার পাশের সবাই ভালো থাকে।
  • করোনাকালে বিমা সেবার পরিধি বেড়েছে। অবকাশে গিয়ে চিকিৎসা দরকার হলে ভিড় এড়িয়ে সেবা পেতে একটি ভ্রমণ বিমা করে নিন। শারীরিক সমস্যায় পড়লে সহজে সেবা পাবেন।
  • সময়ের সঙ্গে আমাদের জীবনযাত্রা পরিবর্তিত হচ্ছে, পাল্টে যাচ্ছে অভ্যাস। তাই লাগেজ গোছানোর সময় পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক, মাস্ক এবং জরুরি ওষুধ সঙ্গে রাখুন। হাতব্যাগেও রাখুন।
  • উৎসব, অনুষ্ঠান, বিশেষ দিবস পালনে অংশ নেওয়ার সময়ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তা করতে হবে। মুখে মাস্ক পরতেই হবে। ভিড় না করে ছোট ছোট দলে বা গ্রুপে উৎসব উদ্‌যাপন করুন, বড় জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। শিশুদের সঙ্গে না নেওয়াই উচিত। বদ্ধ জায়গার চেয়ে খোলামেলা স্থান বেছে নিন।
  • বন্ধু বা সহকর্মী মহলে কেউ যদি ঝুঁকির কারণে অংশ নিতে অনিচ্ছুক থাকেন, তাঁকে জোর করবেন না বা উপহাস করবেন না।
সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবকাশ বা উৎসব উদ্‌যাপন করুন। উপভোগ করুন, কিন্তু নিজেকে বা নিজের পরিবারকে বিপদে ফেলবেন না, অন্যকেও না।
 
These are the rules that are to be followed throughout the entire site. Please ensure you follow them when you post. Those who violate the rules may be punished including possibly having their account suspended.

যারা কমেন্ট করবেন, দয়া করে বানান ঠিক রাখুন। উত্তেজিত অবস্থায় দ্রুত কমেন্ট করতে গিয়ে বানান ভুল করবেন না। আমরা যারা কমেন্ট পড়তে আসি, আমাদের কমেন্ট পড়তে অনেক অসুবিধা হয়।

Users who are viewing this thread

Back
Top