বাংলাদেশের সংবিধান হউক ইসলাম
'বাংলাদেশের সংবিধান হৌক ইসলাম'। কেন বলছি? শুনুন তাহ'লে- সংবিধান হ'ল একটি জাতি ও রাষ্ট্রের আয়না স্বরূপ। যার মধ্যে তাকালে পুরা দেশটাকে চেনা যায়। যদিও ছোট্ট পকেট সাইজ ঐ বইটির বাস্তবে কোন গুরুত্ব দেখা যায় না। কেননা কোন সরকারই এর কোন তোয়াক্কা করেন না। প্রত্যেকে স্ব স্ব চিন্তা-চেতনা বা দলীয় ইশতেহার বাস্তবায়নের নামে দেশ শাসন করেন। তবে এটি কাজে লাগে মূলতঃ বিচার বিভাগের। কেননা তারা সংবিধানের দেওয়া গাইডলাইনের বাইরে কোন বিচার করতে পারেন না। এটা কাজে লাগে সংসদে আইন রচনার ক্ষেত্রে ও প্রেসিডেন্ট কর্তৃক তা অনুমোদনের ক্ষেত্রে। কেননা তখন সংবিধানের বাইরে গিয়ে আইন রচনা করা বা তা অনুমোদন করা যায় না। এটা প্রয়োজন হয় জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পরিচিতির ক্ষেত্রে। আমাদের দেশটি ইসলামী রাষ্ট্র, না ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, আমাদের পাসপোর্টে সেটা লেখা থাকে। যা দেখে বিদেশী রাষ্ট্রগুলি আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজ সম্পর্কে প্রাথমিক পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের ১ম সংবিধান রচিত হয় ১৯৭২ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের জন্য ১৯৭০ সালে নির্বাচিত এম.পি-দের মাধ্যমে। যদিও উচিত ছিল স্বাধীন দেশে নতুনভাবে নির্বাচিত এম.পি-দের মাধ্যমে নতুন সংবিধান রচনা করা। ঐ সংবিধানে হঠাৎ করে রাষ্ট্রের চারটি মূলনীতি যুক্ত করা হয়। যথা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ। অথচ এইগুলি ১৯৫২ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত ২১ দফা, ৬ দফা প্রভৃতি ৭টি বড় বড় আন্দোলনের ইশতেহারের কোথাও ছিলনা। এমনকি ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত 'স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রে' ও ছিল না। তাহ'লে এলো কোত্থেকে? সোজা কথায় বলতে গেলে বলতে হয়, এগুলি এসেছিল ভারতীয় সংবিধান থেকে। যাদের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হ'ল ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র। যদিও বাস্তবে সেখানে আছে চরম সাম্প্রদায়িকতাবাদ, চরম পুঁজিবাদ ও অন্ধ দলতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্র। বর্তমান সংবিধানে আমাদের দেশের নাম হ'ল 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ'। জানি না এর প্রকৃত অর্থ কী? কেননা এদেশে কোন রাজা নেই। তাহ'লে আমরা কার প্রজা? এর সাথে 'গণ' শব্দটি জুড়ে দিয়ে তালগোল পাকিয়ে বুঝানো হচ্ছে যে, 'জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক'। অথচ জনগণই এদেশে সবচেয়ে নির্যাতিত শ্রেণী। আর মালিক হ'ল দলনেতা ও দলীয় ক্যাডাররা।
'বাংলাদেশের সংবিধান হৌক ইসলাম'। কেন বলছি? শুনুন তাহ'লে- সংবিধান হ'ল একটি জাতি ও রাষ্ট্রের আয়না স্বরূপ। যার মধ্যে তাকালে পুরা দেশটাকে চেনা যায়। যদিও ছোট্ট পকেট সাইজ ঐ বইটির বাস্তবে কোন গুরুত্ব দেখা যায় না। কেননা কোন সরকারই এর কোন তোয়াক্কা করেন না। প্রত্যেকে স্ব স্ব চিন্তা-চেতনা বা দলীয় ইশতেহার বাস্তবায়নের নামে দেশ শাসন করেন। তবে এটি কাজে লাগে মূলতঃ বিচার বিভাগের। কেননা তারা সংবিধানের দেওয়া গাইডলাইনের বাইরে কোন বিচার করতে পারেন না। এটা কাজে লাগে সংসদে আইন রচনার ক্ষেত্রে ও প্রেসিডেন্ট কর্তৃক তা অনুমোদনের ক্ষেত্রে। কেননা তখন সংবিধানের বাইরে গিয়ে আইন রচনা করা বা তা অনুমোদন করা যায় না। এটা প্রয়োজন হয় জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পরিচিতির ক্ষেত্রে। আমাদের দেশটি ইসলামী রাষ্ট্র, না ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, আমাদের পাসপোর্টে সেটা লেখা থাকে। যা দেখে বিদেশী রাষ্ট্রগুলি আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজ সম্পর্কে প্রাথমিক পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের ১ম সংবিধান রচিত হয় ১৯৭২ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের জন্য ১৯৭০ সালে নির্বাচিত এম.পি-দের মাধ্যমে। যদিও উচিত ছিল স্বাধীন দেশে নতুনভাবে নির্বাচিত এম.পি-দের মাধ্যমে নতুন সংবিধান রচনা করা। ঐ সংবিধানে হঠাৎ করে রাষ্ট্রের চারটি মূলনীতি যুক্ত করা হয়। যথা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ। অথচ এইগুলি ১৯৫২ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত ২১ দফা, ৬ দফা প্রভৃতি ৭টি বড় বড় আন্দোলনের ইশতেহারের কোথাও ছিলনা। এমনকি ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত 'স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রে' ও ছিল না। তাহ'লে এলো কোত্থেকে? সোজা কথায় বলতে গেলে বলতে হয়, এগুলি এসেছিল ভারতীয় সংবিধান থেকে। যাদের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হ'ল ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র। যদিও বাস্তবে সেখানে আছে চরম সাম্প্রদায়িকতাবাদ, চরম পুঁজিবাদ ও অন্ধ দলতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্র। বর্তমান সংবিধানে আমাদের দেশের নাম হ'ল 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ'। জানি না এর প্রকৃত অর্থ কী? কেননা এদেশে কোন রাজা নেই। তাহ'লে আমরা কার প্রজা? এর সাথে 'গণ' শব্দটি জুড়ে দিয়ে তালগোল পাকিয়ে বুঝানো হচ্ছে যে, 'জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক'। অথচ জনগণই এদেশে সবচেয়ে নির্যাতিত শ্রেণী। আর মালিক হ'ল দলনেতা ও দলীয় ক্যাডাররা।