What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

নায়াসিনামাইড: নতুন ভিটামিন সি (1 Viewer)

MpHfGn6.jpg


ত্বকের উজ্জ্বলতা আর বয়স ধরে রাখার জন্য কয়েক বছর ধরে সৌন্দর্যসচেতন সবার কাছেই ভিটামিন সির বেশ কদর বেড়েছে। সিরাম, ময়েশ্চারাইজার ক্রিম, শিট মাস্ক বা ঘরোয়া মাস্ক—সবকিছুতেই ছিল ভিটামিন সি–যুক্ত পণ্যের দৌরাত্ম্য। তবে এখন এর বিশ্রামের সময় হয়েছে। স্কিন কেয়ার লেনে এসেছে নতুন উপাদান—নায়াসিনামাইড।

প্রতিবছর স্কিন কেয়ার ট্রেন্ডে নতুন নতুন উপাদান এসে যোগ হয়। কিছু উপাদান টিকে থাকে অনেক দিন। আর কিছু আসতে না আসতেই হারিয়ে যায়। বিশেষজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টদের মতে নায়াসিনামাইড বেশ বড় একটি সময় ধরেই থেকে যাবে। আর এটি হতে চলেছে ভিটামিন সির এক দারুণ বিকল্প। অনেক ডার্মাটোলজিস্ট সবাইকে নায়াসিনামাইডযুক্ত স্কিন কেয়ার আর বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

নায়াসিনামাইড একধরনের ভিটামিন বি৩। একে নিকোটিনামাইডও বলা হয়। নায়াসিনামাইড শরীরকে এনএডি+ এবং এনএডিপি+ অণু দ্বারা সমৃদ্ধ করতে পারে। এই অণুগুলো শরীরে কোষের কাজ সঠিকভাবে সম্পাদনে সহায়তা করে ত্বকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। ভিটামিন বি৩-এর অভাবে ত্বক, কিডনি ও মস্তিষ্কের নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। নায়াসিনামাইড গ্রহণ ভিটামিন বি৩–এর অভাব প্রতিরোধ করতে পারে। অনেকে নায়াসিন আর নায়াসিনামাইডকে এক মনে করেন। আসলে এই দুটি দুই রকমের ভিটামিন বি৩। তবে শরীরে অতিমাত্রায় নায়াসিন থাকলে তা দ্রুত নায়াসিনামাইডে পরিণত হতে পারে।

Z5EO5w4.jpg


ত্বকের হাজারো সমস্যার সমাধান হতে পারে নায়াসিনামাইড, ছবি: শাইনি ডায়মন্ড

ত্বকের হাজারো সমস্যার একটি মাত্র সমাধান হতে পারে এই নায়াসিনামাইড। এ জন্য ডার্মাটোলজিস্টরা ইতিমধ্যেই এর নাম দিয়েছেন 'সুপারস্টার ইনগ্রিডিয়েন্ট'। ভিটামিন সির মতো এটি ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে এবং বয়সের লাগাম টানে। পাশাপাশি ত্বকে প্রোটিন (কেরাটিন) গড়তে সাহায্য করে, আর্দ্রতা আটকে দেয়, একে পরিবেশদূষণের ফলে হওয়া ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং তা সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে।

নায়াসিনামাইডের সাহায্যে ত্বকে সেরামাইড নামের লিপিড ব্যারিয়ার জন্মায়, যা আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। এটি ইনফ্ল্যামেশন দূর করতে পারে। এ জন্য যাঁদের ত্বকে একজিমা, রোজেশিয়া, ব্রণের মতো সমস্যা আছে, তাঁরা নায়াসিনামাইডযুক্ত স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

zjard4b.jpg


এটি শুষ্ক, তৈলাক্ত ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য উপযোগী। সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে যে তেল নিঃসৃত হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নায়াসিনামাইড। অন্যদিকে, ত্বকের পরিণত, অপরিণত যেকোনো ধরনের বয়সের ছাপ দূর করতে পারে। সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির ফলে হওয়া ক্ষত এবং হাইপারপিগমেন্টেশন সারিয়ে তুলতেও এটি অনেক কার্যকর।

নায়াসিনামাইড শরীরে এমনি এমনি তৈরি হতে পারে না। খাদ্য বা সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হয়। সবুজ সবজি, মটরশুঁটি, কিডনি বিন, ফাভা বিন, ব্ল্যাক বিন, মুগ ডাল, কাবুলি ছোলা, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদিতে অনেক ভিটামিন বি৩ তথা নায়াসিনামাইড আছে।

VAVCuFW.jpg


খাবার থেকে প্রাকৃতিকভাবেই মিলবে নায়াসিনামাইড, ছবি: নারফি মিরানডিলা

যেহেতু অতিরিক্ত নায়াসিন একসময় নায়াসিনামাইডে পরিণত হয়, তাই চাইলে নায়াসিনসমৃদ্ধ খাবারও বেশি করে খেতে পারেন। সবচেয়ে বেশি নায়াসিন পাওয়া যায় মুরগির বুকের মাংস, টুনা, টার্কি, গরু বা খাসির কলিজা, বাদাম, লাল চাল, লাল আটা, মাশরুম, আলু ইত্যাদিতে। এখন ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য ইনফ্ল্যামেশনঘটিত সমস্যা সমাধানে ডার্মাটোলজিস্টরা এর সাপ্লিমেন্ট খেতে বলেন। আর ত্বকে সিরাম বা ক্রিম হিসেবে লাগালে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top