আজ বিশ্ব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস। আন্তর্জাতিক রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা জীন হেনরী ডুনান্টের জন্মদিন স্মরণে প্রতিবছর ৮ মে বিশ্বব্যাপী আর্তমানবতার সহায়তার মর্মবাণী ছড়িয়ে দিতে এ দিবসটি পালিত হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোন প্রকার ভেদাভেদ ছাড়া যুদ্ধ ক্ষেত্রে আহতদের সাহায্য, যেকোন স্থানে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা উপশম এবং তা প্রতিকার করার উদ্দেশ্য থেকেই রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের সৃষ্টি। সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও আজ যথাযোগ্য মযাদায় পালন হচ্ছে দিবসটি।
১৮৫৯ সালের ২৪ জুন উত্তর ইতালির সলফেরিনো নামক স্থানে ফ্রান্স ও অষ্টিয়ার মধ্যে এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে প্রায় চল্লিশ হাজার সৈন্য হতাহত হয়। আহত সৈন্যরা বিনা চিকিৎসায় যুদ্ধক্ষেত্রেই মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটপট করছিল। সেই সময় সুইজারল্যান্ডের এক যুবক জীন হেনরী ডুনান্ট ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যাপারে ফ্রান্সের সম্রাট তৃতীয় নেপালিয়নের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রের এই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে তিনি ব্যথিত হন এবং তিনি আশেপাশের গ্রামবাসীকে ডেকে এনে আহতদের তাৎক্ষণিক সেবা ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এরাই রেডক্রসের প্রথম স্বেচ্ছাসেবক, যাদের অধিকাংশ ছিলেন মহিলা।
জীন হেনরী ডুনান্ট ১৮২৮ সালের ৮ মে তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১০ সালে হেনরি ডুনান্টের মৃত্যুর পর তার জন্মদিনকে সম্মান দেখিয়ে 'বিশ্ব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস' হিসেবে পালন করা হচ্ছে। সমাজ সেবায় তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শান্তিতে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান তিনি।