What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

স্ট্রোক প্রতিরোধে যা করণীয় (1 Viewer)

Nirjonmela

Administrator
Staff member
Administrator
Joined
Mar 1, 2018
Threads
2,762
Messages
23,235
Credits
813,578
Pistol
Crown
Thread Title Style (One)
Profile Music
st.jpg


গত বছর ভারতের দিল্লিতে আয়োজিত এক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক স্নায়ু বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া রোগীর মধ্যে ২০ শতাংশের বয়স ৪০ বছরের নীচে। ধূমপানের অভ্যাস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাইপার টেনশনের মতো সমস্যাকেই এজন্য দায়ী করেছেন চিকিৎসকরা।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রতি বছর ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। সংখ্যাটা সত্যিই চমকে ওঠার মতো।

স্ট্রোক কী:
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে, এমনকি মস্তিষ্কের কোষেও অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন। কোনো কারণে মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর পথ সংকীর্ণ হয়ে বা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেনের অভাবে নিস্তেজ হয়ে যায়। এটাকেই চিকিৎসকরা স্ট্রোক বলেন।


স্ট্রোকের কারণ:
১. যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তাদেরও স্ট্রোকের আশঙ্কা বেশি।


২. মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড প্রেশার থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

৩. স্ট্রেস ও ডিপ্রেশনসহ অন্যান্য মানসিক সমস্যা থাকলেও স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে।

৪. যারা দীর্ঘ সময় ধরে বসে কাজ করেন, হাঁটাচলাসহ কায়িক শ্রম করেন না, তাদের এই রোগের ঝুঁকি অন্যদের থেকে বেশি।

৫. পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড বেশি খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

৬. ধূমপানের ফলে অন্য অনেক অসুখের সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

৭. নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

৮. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েট বা এক্সারসাইজ না করলে, স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।

৯. হার্টের অসুখ থাকলে ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।

স্ট্রোক প্রতিরোধে করনীয়:
১. ওজন কমাতে সুষম খাবারের ওপরেই ভরসা রাখুন। ডায়েটে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি ও ফল।


২. সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন আধ ঘণ্টা করে দ্রুত পা চালিয়ে হাঁটুন।

৩. ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন। প্রতিদিন অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমান।

৪. ব্লাড প্রেশার ও ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ম মেনে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৫. শরীরচর্চার সময় খেয়াল রাখতে হবে তা যেন অত্যাধিক পরিশ্রমসাধ্য বা ক্লান্তিকর না হয়ে ওঠে।

৭. যদি আচমকা হাত, পা বা শরীরের কোনো একটা দিক অবশ, অসাড় লাগে বা চোখে দেখতে বা কথা বলতে অসুবিধে হয় অথবা ঢোক গিলতে কষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top