কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ঈমান
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ঈমান
ঈমান ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। ঈমান ব্যতীত মানুষ তার কোন সৎ আমলের প্রতিদান পরকালে লাভ করতে পারবে না। আবার ঈমানহীন মানুষ জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হবে চিরকাল। তাই ঈমানকে ইসলামের মূল খুঁটি বললেও অত্যুক্তি হবে না। এ নিবন্ধে ঈমান সম্পর্কে আলোচনা করা হ'ল।-
ঈমানের আভিধানিক অর্থ :
ঈমানের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, নিরাপত্তা দেওয়া, আশঙ্কা মুক্ত করা। এর বিপরীত হচ্ছে ভয়-ভীতি। (জাওহারী, আছ-ছিহাহ ৫/২০৭১; ফিরোযাবাদী, আল-ক্বামূসুল মুহীত, পৃঃ ১১৭৬। ) রাগেব আল-ইছফাহানী বলেন, ঈমানের মূল অর্থ হচ্ছে আত্মার প্রশান্তি এবং ভয়-ভীতি দূর হয়ে যাওয়া। (আল-মুফরাদাত, পৃঃ ৩৫। ) শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন, ঈমানের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে স্বীকারোক্তি এবং আত্মার প্রশান্তি। আর সেটা অর্জিত হবে অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ ও আমলের মাধ্যমে। (আছ-ছারেম আল-মাসলূল, পৃঃ ৫১৯। )
ঈমানের শারঈ অর্থ :
পারিভাষিক অর্থে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের নিকট ঈমান হল মূল ও শাখাসহ হৃদয়ে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি ও কর্মে বাস্তবায়নের সমন্বিত নাম। প্রথম দু'টি মূল ও শেষেরটি হ'ল শাখা, যেটা না থাকলে পূর্ণ মুমিন হওয়া যায় না। (ইবনু মান্দাহ, কিতাবুল ঈমান ১/৩৩১; আহলেহাদীছ আন্দোলন, পৃঃ ৯৭। )
ঈমানের শারঈ অর্থে পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। মানুষ যখনই সে পাঁচটি বিষয় তার জীবনে বাস্তবায়ন করবে তখনই সে একজন ঈমানদার ব্যক্তি হিসাবে গণ্য হবে, নচেৎ নয়।