What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

যেসব খাবার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে (1 Viewer)

SZvXaqD.jpg


স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নানান রকম কৌশল ও চর্চার কথা বলা হয়। তবে শুধু অনুশীলনের মাধ্যমেই নয়, বিভিন্ন খাবারের উপাদানও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর খাবার সম্পর্কে পুষ্টিবিজ্ঞানিদের করা বিভিন্ন গবেষণার প্রেক্ষিতে পাওয়া তথ্যানুসারে বেশ কয়েকটি খাবারের নাম এখানে দেওয়া হল:

বাদাম : আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমিয়োলজি'তে প্রকাশিত একটি গবেষণা থেকে জানা যায় ভিটামিন ই স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া কমাতে সাহায্য করে, বিশেষত বৃদ্ধ বয়সে। বাদাম যেমন- কাঠবাদাম ও আখরোট ভিটামিন ই'য়ের ভালো উৎস। তাই বিকালের নাস্তার একটি অংশ হিসেবে বাদামকে বেছে নিতে পারেন।

তৈলাক্ত মাছ : মানব শরীরে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপন্ন হতে পারে না। তাই খাবারের মাধ্যমে তা গ্রহণ করতে হয়। তৈলাক্ত মাছ যেমন- স্যামন, সারডিন-সহ মিঠাপানি ও সামদ্রিক মাছ থেকে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করতে পারেন।

এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা নিয়মিত মাছ খায় তাদের স্মৃতিশক্তি হ্রাসের গতি বয়সের তুলনায় অনেক কম। এরা ইপিএ এবং ডিএইচএ নামক ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ডিএইচএ'র মাত্রা কম থাকা আলৎঝাইমার'স রোগ এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখতে খাবার তালিকায় তৈলাক্ত মাছ রাখুন।

জামের মিল্ক শেক: দুধের উপকারিতার কথা আমাদের বলার অপেক্ষা রাখে না। দুধের সাথে জাম মিশিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। জাম ব্লাড প্রেসারের পরিমাণ ঠিক রাখে শরীরে। সেই সাথে কোলেস্টোরেলের পরিমাণ কমায়। এতে করে মস্তিষ্ক ভালো থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

ডালিমের রস: ডালিমে প্রচুর পরমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ডালিম খেলে ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক থাকে যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করে। দুপুরে খাবারের আগে বা পরে ডালিমের শরবত খেলে মস্কিষ্ক সুস্থও স্বাভাবিক থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

কোকোয়া: কোকোয়ার উপকারিতার কথা একবারে বলে শেষ করা যাবে না। হার্টের অবস্থার উন্নতি,স্মৃতিশক্তি বাড়াতে, রক্তচাপ কমাতে ম্যাজিকের মত কাজ করে কোকোয়া। এছাড়া স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল রাখতে সাহায্য করে। খাবার তালিকায় কোকোয়ার শরবত রাখলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়। তবে চিনি ,ক্রিম বা অতিরিক্তি দুধ কোনটাই যোগ করবেন না কোকোয়ার সাথে এতে করে ভালো গুণটি চলে যেতে পারে।

বিটরুট: বিটরুটকে বলা হয় পুষ্টির অন্যতম উৎস। খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ফাইবার সবকিছুই রয়েছে বিটরুটে।বিটুরট স্বাভাবিকভাবেই মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিটরুট নাইট্রিক এসিডের অন্যতম একটি উৎস যা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে করে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

গ্রিন টি: গ্রিন টি শুধুমাত্র ওজন কমাতে সাহায্যই করে না স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই উপাদানটির উপস্থিতি নিউরোট্রান্সমিটারের ক্রিয়াকলাপ বাড়াতে সাহায্য করে এতে করে উদ্বেগ, অতিরিক্ত মেজাজ কমে। সেই সাথে স্মৃতিশক্তিও বাড়ে। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top