What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

লকডাউনে অফিসে যাচ্ছেন? অবশ্যই মানবেন এসব (1 Viewer)

8iYzGPe.jpg


লকডাউন উঠে যাচ্ছে কিংবা শিথিল হচ্ছে। আপনার অফিসও খুলছে সীমিত পরিসরে। যেতেই হচ্ছে অফিসে। যেতে হচ্ছে বাইরেও। কী করবেন তাহলে? নিজেই সতর্ক হোন, সচেতন থাকুন। তাহলেই নিশ্চিত থাকতে পারবেন। আসনু জেনে নিই—

কাজ শেষেই বাড়ি
অনেকদিন পরই তো বাইরে যাচ্ছেন, অফিসে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই চেনা মুখ, প্রিয় মুখদের সঙ্গে দেখা হবে। কিন্তু কাজ শেষ হলে কোনো আড্ডা নয়। ভাবছেন 'মাস্ক পরেই তো আড্ডা দিচ্ছি', সমস্যা কি? না এসব কথা খাটবে না। অফিস বা কাজ সেরে দ্রুত বাড়ি ফিরুন।

বাড়ি থেকেই সারুন বাজার
সেলফ-কোয়রান্টিনের যে নিয়মগুলো মেনে চলছেন, সেগুলোই চালিয়ে যেতে হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরুবেন না। চেষ্টা করুন বাজার-দোকানও খুব সংক্ষেপে আর পারলে বাড়ি থেকেই সারতে। সে ক্ষেত্রে অনলাইন পরিষেবা নিতে পারেন। সেখানেও দূরত্ব বাঁচান।

হাত ধোওয়ার অভ্যাস ছাড়বেন না
হাত ধোওয়ার যে অভ্যাস এতো দিন ধরে গড়ে তুলেছেন, লকডাউন উঠে গেলেও তা বজায় রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে জামাকাপড় বদলে ফেলুন, সাবান দিয়ে খুব ভালো করে হাত-পা কচলে ধুয়ে ফেলুন। এমনকি, করোনা-আতঙ্ক পুরোপুরি মিটলেও এই অভ্যাসটা ধরে রাখতে হবে। তাতে আরো অনেক রোগ-ব্যাধি থেকে দূরে থাকতে পারবেন। বাড়িতে থাকলেও ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন।

মাস্ক ছাড়া ভুলেও বাইরে নয়
কোনো কারণে বাড়ির বাইরে যেতে হলে মাস্ক দিয়ে ভালোভাবে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। তাতে শুধু কোভিড নয়, বাতাসের ধুলো-ময়লা, দূষণের হাত থেকেও রক্ষা পাবেন। মাস্ক পরলেই এই অসুখ প্রায় ৬০ শতাংশ রোধ করা যায়। অফিসে সেন্ট্রাল এসি থাকলে, সেখানেও খাবার সময়টুকু ছাড়া মাস্ক সরাবেন না। মাস্ক পরেই কথাবার্তা বলুন। তাতে একেবারেই অসুবিধা হয় না। কথা স্পষ্ট শোনার জন্য দরকারে জোরে কথা বলুন, কিন্তু মাস্ক সরাবেন না।

ভিড় এড়ান
অফিস মিটিংয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসুন। এই সময় কারো সঙ্গে টিফিন ভাগ নয়। অন্তত করোনাকে দমন না করা অবধি তো নয়ই। কোনো জনবহুল এলাকা এখন আগামী কয়েক মাসের জন্য এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। দোকানবাজারে বেশি লোক জমে গেলে দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করুন বা অন্য দোকানে যান। ট্রাম, বাস, মেট্রোয় খুব ভিড় থাকলে উঠবেন না। যদি নিজস্ব গাড়ি বা বাইক থাকে, তা হলে তাকে প্রতি দিন স্যানিটাইজ করুন।

অফিসের গাড়িও স্যানিটাইজ করুন
অফিসের গাড়িতে যাতায়াত করলে হাতল ও সিট স্যানিটাইজ করে বসুন। অত কিছু না পারলে অফিসে পৌঁছেই ভালো করে হাত কব্জি অবধি ধুয়ে নিন। বাড়ি পৌঁছে ভালো করে স্নান করে নিন। চোখ-মুখ-নাক থেকে যতটা সম্ভব হাত দূরে রাখুন। কোনোভাবে হাত দেয়ার প্রয়োজন পড়লে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে কাজ মিটিয়ে ফের হাতে সাবান দিন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
কথা কম বলুন। কথা বলার সময়েও ড্রপলেট বেরোয়। সর্দি-কাশি ও কথা বলার সময় যে ড্রপলেট বেরোয়, সেখান থেকেও অসুখ ছড়ায়। সর্দি-কাশি হলে রুমাল বা টিস্যু পেপার সঙ্গে রাখুন। হাঁচি, কাশির সময় মুখ, নাক ঢেকে নিতে ভুলবেন না। রুমাল প্রতিদিন ব্যবহারের পর ভালো ভাবে জলে ধুয়ে ও রোদে শুকিয়ে নেবেন

রেস্টুরেন্ট, পার্টি এড়িয়ে চলুন
রেস্টুরেন্ট খুলে গেলেও আপাতত বেশ কয়েক মাস এসব থেকে দূরে থাকতেই হবে। ভিড় বেশি হয়, এমন সব জায়গাই এড়িয়ে চলতে হবে। বাড়িতেও বড় পার্টি, বেশি লোকজন আমন্ত্রণ নয়। এসব কিছু দিনের জন্য হলেও বন্ধ রাখতে হবে। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। একান্তই খেতে ইচ্ছে হলে এক-আধ দিন অনলাইনে অর্ডার করুন। তবে তা ভালো করে বাড়িতেই গরম করে খান। আরও কয়েক মাস বাড়ির খাবারে মন দেয়াই ভালো।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top