সমাজে মুখোশধারীদের নেতিবাচক হিসেবেই গণ্য করা হতো। বিধি বাম! কে জানত, করোনা নামক এক ভাইরাস গোটা দুনিয়ার মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে! এখন মুখোশধারীরাই বরং সমাজে ইতিবাচক মানুষ হিসেবে গণ্য। কেউ মুখোশ বা মাস্ক না পরলে বলতে ইচ্ছে করে, এক শ হাত দূরে থাকুন!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে মাস্কের বিকল্প নেই। তাই মাস্ক এখন চাল–ডালের মতোই নিত্যপণ্য। আর করোনাকালের শুরুতে এন৯৫ মাস্কটি তো রীতিমতো হলিউডি তারকার খ্যাতি পেয়ে গেছে। খ্যাতির সঙ্গে বিড়ম্বনার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিঢ়। কাজেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের বাজারই নকল এন৯৫ মাস্কে সয়লাব হয়ে গিয়েছিল। এখনো পথেঘাটে নকল এন৯৫ মাস্ক বিক্রি হচ্ছে দেদার। সে যা হোক, মাস্ক পরলেই হলো। তবে এন৯৫ মাস্ক কিন্তু বেশ কেজো। বলা হয়, এই মাস্ক ৯৫ শতাংশ জীবাণু প্রতিহত করে। বিপদের বন্ধু এন৯৫ মাস্ক উদ্ভাবন করেছেন তাইওয়ানিজ–মার্কিন বিজ্ঞানী পিটার সাই।
১৯৯৫ সালে এন৯৫ মাস্ক উদ্ভাবন করেন পিটার। তার আগে ১৯৯২ সালে এই মাস্ক তৈরিতে ব্যবহৃত বিশেষ এক ধরনের কৃত্রিম তন্তু উদ্ভাবন করেন তিনি। তখন কি ভেবেছিলেন, দুই দশকের মধ্যে কোটি কোটি মানুষের জন্য তা আশীর্বাদ হয়ে উঠবে? করোনাকালে এক সাক্ষাৎকারে পিটার বলেন, এটি অস্বাভাবিক সময়ের সাধারণ এক উদ্ভাবন।
সাধারণ এন৯৫ মাস্কের ফিল্টার তৈরিতে কাজে লাগানো হয় ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক চার্জিং মেথড। শুনতে বেশ খটমটে। সহজ করে বললে, বিশেষ ওই তন্তুর কারণেই মাস্কের ফিল্টারটি একই সঙ্গে পজিটিভ এবং নেগেটিভ চার্জপ্রাপ্ত হয়। ফলে মাস্কগুলো সব ধরনের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াকে আকর্ষণ করে। আর ফিল্টারে সেসব ধরা পড়ে বলেই নাক–মুখ দিয়ে ভেতরে প্রবেশের টিকিট পায় না। আগে তো বটেই, করোনাকালে এই মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই তুষ্ট।