বদচলন বিবি সিরিজের চতুর্থ কিস্তি
বেশ ঝতক্ষণ ধরেই পারভেজ রহমান তার বিবি শবনম বানুকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলো। কিন্তু ঘরের কোথাও শবনমের দেখা নেই। এদিকে আজকে অফিসে তাড়াতাড়ি যাওয়া দরকার। খুব জরূরী অডিট রিপোর্ট প্রেজেন্ট করতে হবে পারভেজকে, তাই আজ কাকডাকা ভোরেই ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিলো সে।
সাধারণতঃ পারভেজের ঘুম ভাঙ্গার আগেই বিছানা ছাড়ে শবনম। ফযরের নামাজটা পড়ে নিয়ে কিচেনে গিয়ে স্বামীর জন্য নাশতা তৈরী করে শবনম। স্বামীর ঘুম ভাঙানোর জন্য গরমাগরম বেড টী নিয়ে আসে পারভেজের পতিব্রতা বিবি।
অথচ আজ নিজ থেকেই তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে উঠে আর বিবির খোঁজ পাচ্ছে না পারভেজ। অথচ আজই বেশি জরুরী ছিলো শবনমকে। এদিকে অফিসে যাবার দেরী হয়ে যাচ্ছে। বউকে কোথাও না পেয়ে মেজাজ সপ্তম আসমানে চড়তে আরম্ভ করেছে পারভেজের। খানিক আগেও আধোঘুমে সে শুনছিলো কিচেন থেকে টুংটাং আওয়াজ, নাকে তেল-আলু-মরিচ আর মশলার সুঘ্রাণ আঘাত করতে সে বুঝেছিলো নাশতার জন্য মশলাদার আলু ভাজী তৈরী করছে শবনম।
অথচ এখন রান্নাঘরটা ফাঁকা। গেলো কোথায় শবনম? বিরক্ত হয়ে ভাবে পারভেজ, রান্না আদ্ধেকটা শেষ না করে ফেলে রেখে গেলো কোথায় বিবি? কি এমন জরূরী দরকার পড়লো যে অর্ধসেদ্ধ আলুভাজী চুলোয় রেখেই চলে গেলো?
পারভেজ ফৃজ খুলে বাসী পাউঁরুটীর প্যাকেটটা বের করে, এক স্লাইস রুটীতে কোনও রকমে কমলার জ্যাম মাখিয়ে নিয়ে মুখে পুরে নেয়, তারপর অফিসের ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে নিয়েই বেরিয়ে পড়ে।
Last edited: