২০০৪ সাল,ভালোবাসা দিবস।নন্দিত অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমির নাটক 'অফবিট'।নাটকে এক তরুন সারাক্ষন সাইকেলে ঘুরে বেড়ায়, বন্ধুদের সাথে ব্যান্ড দল গড়ার স্বপ্ন দেখে।এমন সময় এলাকায় আসে নতুন একটি মেয়ে,প্রথম দেখাতেই ছেলেটি ভালোবেসে ফেলে তাকে,যেদিন ভালোবাসার কথা জানাতে যাবে,সেদিন অন্য এক রহস্য উদঘাটন হয়।তাঁর অব্যক্ত ভালোবাসা আর প্রকাশ পায় না।প্রানচ্ছোল সেই তরুনের চরিত্রে অভিষেক ঘটে এক নবীন গায়কের,যে ইতিমধ্যেই 'কথোপকথন' এর মত সাড়া জাগানো এলব্যাম উপহার দিয়েছে।তাঁর রয়েছে বহু গুণ।সুরের জগতে তিনি গান সৃষ্টি করেন,কন্ঠে রয়েছে মাদকতা,আবার অভিনয়েও তিনি সপ্রতিভ।কখনো আবার তিনি মডেল, উপস্থাপক থেকে নায়ক ।তিনি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় তারকা 'তাহসান'।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মেধাবী ছাত্র পড়াশোনাকালীন ই যুক্ত হন ব্যান্ড দল ব্ল্যাকে।এরপর ২০০৪ সালে বের করেন প্রথম এলব্যাম 'কথোপকথন',প্রথম এলব্যামের সাফল্যের পর প্রকাশিত হয় 'ক্রীতদাসের নির্বান ',ইচ্ছে ও নেই। বেশ কয়েক বছর বিরতি দিয়ে 'প্রত্যাবর্তন' এলব্যাম দিয়ে আবার ফিরে আসেন। সম্প্রতি সময়ে মুক্তি পেয়েছে উদ্দেশ্য নেই ও মন কারিগর এলব্যাম। ব্ল্যাক দল থেকে বের হয়েছিল আমার পৃথিবী ও উৎসবের পর এলব্যাম।এছাড়া অনেক মিক্সড এলব্যামেও গান করেন। শুধু নিজের গানের নয়,অন্য কন্ঠশিল্পীদের এলব্যামেও সুরারোপ করেছে,এর মধ্যে মিনারের 'ডানপিটে' অন্যতম।চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন।তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে আলো,প্রেমাতাল,অগোচরে,কোথায় আছো,মেঘের পরে,কেন হঠাৎ তুমি এলে,উদ্দেশ্য নেই,ছুঁয়ে দিলে মন,আমার গল্পে তুমি,ছিলে আমার,ছিপ নৌকো অন্যতম।ব্ল্যাক দল থেকে বেরিয়ে এসে 'তাহসান এন্ড সুফিজ' নামে আলাদা একটা ব্যান্ড দল গঠন করেছিলেন।
গানের বাইরে আরেক জগতে রয়েছে তাঁর সফল পদচারনা।এই জগতে এসে তিনি আরো জনপ্রিয় হয়েছেন।বিগত কয়েক বছর ধরে 'তাহসান' একটি জনপ্রিয় নাম। প্রথম নাটক 'অফবিট' এরপর কাছের মানুষ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন। কয়েক বছর বিরতি দিয়ে অভিনয় করেন 'মধুরেণসমাপয়েৎ ' নাটকে।তারপর আবার বিশাল বিরতি,২০১২ সাল থেকে তিনি টিভি নাটকে আলোচিত হতে থাকেন।বিশেষ করে আমাদের গল্প,মন ফড়িঙের গল্প,মনসুবা জংশন,নীলপরী নীলাঞ্জনার মত জনপ্রিয় নাটক দিয়ে নাট্যজগতে আস্থাভাজন হয়ে উঠেন।আগে ঈদ উৎসব উপলক্ষ্যে বেছে বেছে কাজ করলেও একটা সময় এসে অভিনয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অ্যাংরি বার্ড,কথাবন্ধু মিথিলা,এলিয়েন ও রুম্পার গল্প,সময় চুরি,ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম থেকে উদ্দেশ্য নেই,চিনিগুড়া প্রেম,আমার গল্পে তুমি,প্রিয় অভিমান,কথোপকথন,স্পর্শের বাইরে তুমি,হঠাৎ তোমার জন্যে,ম্যানিকুইন মুমু সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেন।অবশ্য একটা সময় এসে তিনি একই ধারার নাটক করায় সমালোচিত হতে থাকেন।অভিনয়ের সীমাবদ্ধতার মাঝেও তিনি নির্মাতা সচেতন হলে উনার ক্যারিয়ারের জন্য বেশ ভালো হতো।বরষা,দূরবীন সহ একাধিক শর্টফিল্মেও অভিনয় করেছেন। এই বছর করেছেন ক্যারিয়ারের শততম নাটক,যদিও নাটক নির্বাচনে এখনো অসচেতন। এর মধ্যে মুখ ও মুখোশের গল্প,হঠাৎ দেখা প্রশংসিত হয়েছে।মডেলিং করেছেন পন্ডস,জুঁই নারিকেল তেল,গ্রামীন ফোন সহ বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে।উপস্থাপক হিসেবেও তিনি সমুজ্জ্বল,বেশ কয়েকটি আলোচিত অনুষ্টানে উপস্থাপনা করেছেন,বিচারকের দায়িত্ব ও পালন করেছেন। ফাহমির 'টু বি কন্টিনিউ' সিনেমার মাধ্যমে অভিষেক হওয়ার কথা থাকলেও সেটা আর হয় নি। অবশেষে রাজের 'যদি একদিন' দিয়ে সিনেমা জগতে প্রবেশ করেন,তবে এই সিনেমা করার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল৷ আশা করছি,ভবিষ্যতে সিনেমা নির্বাচনে সচেতন থাকবেন। এত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বর্নিল ক্যারিয়ারে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার,সিটিসেল চ্যানেল আই পুরস্কার সহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত,কিন্তু সেখানেও রাহুর দশা ভর করলো।মডেল অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে প্রায় এক যুগ সংসার করার পর রুপ নিয়েছে বিচ্ছেদে,যা তাঁর ভক্তদের ভীষন হতাশ করে।সংসারে রয়েছে একটি সন্তান।ব্যক্তিজীবনেও তিনি সব কিছু ছাপিয়ে একজন সফল মানুষ হতে পারেন এই আশা রাখি। সম্প্রতি করোনা মহামারীর প্রকোপের ছোঁয়া তার শরীরেও বেঁধেছিল,তবে খুশির খবর হল তিনি এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
১৯৭৯ সালের আজকের এইদিনে জন্মগ্রহণ করা এই জনপ্রিয় তারকা আজ পেরোচ্ছেন জীবনে ৪১ টি বছর,রইলো শুভকামনা।
শুভ জন্মদিন...... তাহসান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মেধাবী ছাত্র পড়াশোনাকালীন ই যুক্ত হন ব্যান্ড দল ব্ল্যাকে।এরপর ২০০৪ সালে বের করেন প্রথম এলব্যাম 'কথোপকথন',প্রথম এলব্যামের সাফল্যের পর প্রকাশিত হয় 'ক্রীতদাসের নির্বান ',ইচ্ছে ও নেই। বেশ কয়েক বছর বিরতি দিয়ে 'প্রত্যাবর্তন' এলব্যাম দিয়ে আবার ফিরে আসেন। সম্প্রতি সময়ে মুক্তি পেয়েছে উদ্দেশ্য নেই ও মন কারিগর এলব্যাম। ব্ল্যাক দল থেকে বের হয়েছিল আমার পৃথিবী ও উৎসবের পর এলব্যাম।এছাড়া অনেক মিক্সড এলব্যামেও গান করেন। শুধু নিজের গানের নয়,অন্য কন্ঠশিল্পীদের এলব্যামেও সুরারোপ করেছে,এর মধ্যে মিনারের 'ডানপিটে' অন্যতম।চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন।তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে আলো,প্রেমাতাল,অগোচরে,কোথায় আছো,মেঘের পরে,কেন হঠাৎ তুমি এলে,উদ্দেশ্য নেই,ছুঁয়ে দিলে মন,আমার গল্পে তুমি,ছিলে আমার,ছিপ নৌকো অন্যতম।ব্ল্যাক দল থেকে বেরিয়ে এসে 'তাহসান এন্ড সুফিজ' নামে আলাদা একটা ব্যান্ড দল গঠন করেছিলেন।
গানের বাইরে আরেক জগতে রয়েছে তাঁর সফল পদচারনা।এই জগতে এসে তিনি আরো জনপ্রিয় হয়েছেন।বিগত কয়েক বছর ধরে 'তাহসান' একটি জনপ্রিয় নাম। প্রথম নাটক 'অফবিট' এরপর কাছের মানুষ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন। কয়েক বছর বিরতি দিয়ে অভিনয় করেন 'মধুরেণসমাপয়েৎ ' নাটকে।তারপর আবার বিশাল বিরতি,২০১২ সাল থেকে তিনি টিভি নাটকে আলোচিত হতে থাকেন।বিশেষ করে আমাদের গল্প,মন ফড়িঙের গল্প,মনসুবা জংশন,নীলপরী নীলাঞ্জনার মত জনপ্রিয় নাটক দিয়ে নাট্যজগতে আস্থাভাজন হয়ে উঠেন।আগে ঈদ উৎসব উপলক্ষ্যে বেছে বেছে কাজ করলেও একটা সময় এসে অভিনয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অ্যাংরি বার্ড,কথাবন্ধু মিথিলা,এলিয়েন ও রুম্পার গল্প,সময় চুরি,ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম থেকে উদ্দেশ্য নেই,চিনিগুড়া প্রেম,আমার গল্পে তুমি,প্রিয় অভিমান,কথোপকথন,স্পর্শের বাইরে তুমি,হঠাৎ তোমার জন্যে,ম্যানিকুইন মুমু সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেন।অবশ্য একটা সময় এসে তিনি একই ধারার নাটক করায় সমালোচিত হতে থাকেন।অভিনয়ের সীমাবদ্ধতার মাঝেও তিনি নির্মাতা সচেতন হলে উনার ক্যারিয়ারের জন্য বেশ ভালো হতো।বরষা,দূরবীন সহ একাধিক শর্টফিল্মেও অভিনয় করেছেন। এই বছর করেছেন ক্যারিয়ারের শততম নাটক,যদিও নাটক নির্বাচনে এখনো অসচেতন। এর মধ্যে মুখ ও মুখোশের গল্প,হঠাৎ দেখা প্রশংসিত হয়েছে।মডেলিং করেছেন পন্ডস,জুঁই নারিকেল তেল,গ্রামীন ফোন সহ বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে।উপস্থাপক হিসেবেও তিনি সমুজ্জ্বল,বেশ কয়েকটি আলোচিত অনুষ্টানে উপস্থাপনা করেছেন,বিচারকের দায়িত্ব ও পালন করেছেন। ফাহমির 'টু বি কন্টিনিউ' সিনেমার মাধ্যমে অভিষেক হওয়ার কথা থাকলেও সেটা আর হয় নি। অবশেষে রাজের 'যদি একদিন' দিয়ে সিনেমা জগতে প্রবেশ করেন,তবে এই সিনেমা করার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল৷ আশা করছি,ভবিষ্যতে সিনেমা নির্বাচনে সচেতন থাকবেন। এত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বর্নিল ক্যারিয়ারে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার,সিটিসেল চ্যানেল আই পুরস্কার সহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত,কিন্তু সেখানেও রাহুর দশা ভর করলো।মডেল অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে প্রায় এক যুগ সংসার করার পর রুপ নিয়েছে বিচ্ছেদে,যা তাঁর ভক্তদের ভীষন হতাশ করে।সংসারে রয়েছে একটি সন্তান।ব্যক্তিজীবনেও তিনি সব কিছু ছাপিয়ে একজন সফল মানুষ হতে পারেন এই আশা রাখি। সম্প্রতি করোনা মহামারীর প্রকোপের ছোঁয়া তার শরীরেও বেঁধেছিল,তবে খুশির খবর হল তিনি এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
১৯৭৯ সালের আজকের এইদিনে জন্মগ্রহণ করা এই জনপ্রিয় তারকা আজ পেরোচ্ছেন জীবনে ৪১ টি বছর,রইলো শুভকামনা।
শুভ জন্মদিন...... তাহসান