আমার এক খালা আছেন তার শাশুরী যখন মারা যান, শশুরের বয়স তখন সত্তুর ছুঁই ছুঁই। লাঠি ভর করে হাঁটেন। বিশ্বাস করুন খালার শাশুরী মারা যাবার এক মাস পর থেকেই তিনি বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে গেলেন। তার একটাই কথা:
"ঐ ঘরে আমার একা ঘুম আসে না, আমার ডর লাগে"
ছেলেরা মেয়েরা বাধ্য হলেন তার কথা রাখতে। অনেক খুঁজে এক বিধবা নিঃসন্তান প্রৌঢ়া নারীর সঙ্গে তার বিয়ে দিলেন। কিছুদিন খুব ভালো ছিলেন। মানুষটি স্ত্রী মারা যাবার পর এত দ্রুত পঞ্চাশ বছরের সম্পর্ক ভুলে নতুন বিয়ে করায় চারপাশে লোকজন নানা রকম কথা তাকে শুনিয়েছে কিন্তু তারপর ও আমরা দেখেছি বিয়ে করার পর লোকটা কেমন ঝড়ঝড়ে হয়ে গেছেন। বিয়ের পর সম্ভবত মাত্র ছ মাস বেঁচে ছিলেন। তারপর তিনিও চলে যান না ফেরার দেশে।
সম্পর্কে যেহেতু আমাদের দাদী হয়। ঐ নতুন দাদীকে মজা করে বলতাম বুড়া বয়সে ভালোই তো রোম্যান্স করতাছো। দাদী হেসে বলতো:
"বুইড়ার একা লাগে তাই আমি খালি তার পাহারা দেই, আমার ও একটা গতি হইলো, ভাই গো বুঝা আছিলাম, আর বুইড়ার ও এখন রাতে ঘুম ভালো হয়, এই বয়সে আর রোম্যান্স কি, ঐগুলা তরার জন্য"
আচ্ছা আপনার কি মনে হয়? একজন মানুষ কি শুধুই এক বিছানায় ঘুমানোর জন্য সঙ্গী খুঁজে? না! আসলে একাকীত্ব খুব ভয়ানক অসুখ। ভীষণ ভয়ঙ্কর। না হলে ঐ বয়সে পঞ্চাশ বছরের সম্পর্ককে ভুলে ছ মাসের জন্য একটা নতুন সংসার কেন ই বা সাজাতে যাবে? আমরা ধরেই নিই স্বামী/ স্ত্রী মারা গেলে বা ডিভোর্স হলে একাধিক বিয়ে খুব জঘন্য অপরাধ! তাকে নানা রকমের কথা শুনাই। একবার ও তার জায়গায় নিজেকে ভাবি না। মানুষ শুধু শারিরিক চাহিদা না মানসিক প্রশান্তির জন্যেও সঙ্গী চায়। বুড়ো বয়সে দুজনের ঝগড়াটাও দৈনন্দিন অভ্যেস। এই ঝগড়া টুকু জিইয়ে রেখেই মানুষ শেষদিন পর্যন্ত সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে চায়। যে চলে যায় সে লাকি, যে থেকে যায় সে অভাগা। সে ভীষণ ই দুঃখী। তাই আপনার আশেপাশে আপনার প্রিয় মানুষগুলোকে একা হতে দেবেননা প্লিজ।
শমী কায়সারের বিয়ে নিয়ে এসব সমালোচনা বন্ধ করুণ প্লিজ। একজন পুরুষ অথবা একজন নারী সবার ই নিজের জীবনকে নিজের মতো করে গুছিয়ে নেবার অধিকার আছে। কেউ আইনগত ভাবে ধর্মীয়ভাবে বিচ্ছেদের পর যদি একটা বৈধ সম্পর্কে যেতে পারে আমাদের উচিৎ তাকে এপ্রিশিয়েট করা। সে তো কোনো অবৈধ সম্পর্ক করছে না। একাকীত্বের ভার সবাই বইতে পারে না। আমার আরেকজন দুরসম্পর্কের দাদা দাদী ছিলেন মারা যাবার আগে পনের বছর তাদের বিছানা আলাদা ছিলো। দিনরাত ঝগড়া করতো। কিন্তু তারপর ও দাদা মারা যাবার ঠিক তিনদিনের মাথায় সকালে দাদীর ঘর থেকে দাদীর লাশ বের হলো। ডাক্তাররা কোনো অসুখ পাননি। আজ আমি বুঝতে পারছি সম্ভবত অসুখটার নাম ছিলো একাকীত্ব।
"ঐ ঘরে আমার একা ঘুম আসে না, আমার ডর লাগে"
ছেলেরা মেয়েরা বাধ্য হলেন তার কথা রাখতে। অনেক খুঁজে এক বিধবা নিঃসন্তান প্রৌঢ়া নারীর সঙ্গে তার বিয়ে দিলেন। কিছুদিন খুব ভালো ছিলেন। মানুষটি স্ত্রী মারা যাবার পর এত দ্রুত পঞ্চাশ বছরের সম্পর্ক ভুলে নতুন বিয়ে করায় চারপাশে লোকজন নানা রকম কথা তাকে শুনিয়েছে কিন্তু তারপর ও আমরা দেখেছি বিয়ে করার পর লোকটা কেমন ঝড়ঝড়ে হয়ে গেছেন। বিয়ের পর সম্ভবত মাত্র ছ মাস বেঁচে ছিলেন। তারপর তিনিও চলে যান না ফেরার দেশে।
সম্পর্কে যেহেতু আমাদের দাদী হয়। ঐ নতুন দাদীকে মজা করে বলতাম বুড়া বয়সে ভালোই তো রোম্যান্স করতাছো। দাদী হেসে বলতো:
"বুইড়ার একা লাগে তাই আমি খালি তার পাহারা দেই, আমার ও একটা গতি হইলো, ভাই গো বুঝা আছিলাম, আর বুইড়ার ও এখন রাতে ঘুম ভালো হয়, এই বয়সে আর রোম্যান্স কি, ঐগুলা তরার জন্য"
আচ্ছা আপনার কি মনে হয়? একজন মানুষ কি শুধুই এক বিছানায় ঘুমানোর জন্য সঙ্গী খুঁজে? না! আসলে একাকীত্ব খুব ভয়ানক অসুখ। ভীষণ ভয়ঙ্কর। না হলে ঐ বয়সে পঞ্চাশ বছরের সম্পর্ককে ভুলে ছ মাসের জন্য একটা নতুন সংসার কেন ই বা সাজাতে যাবে? আমরা ধরেই নিই স্বামী/ স্ত্রী মারা গেলে বা ডিভোর্স হলে একাধিক বিয়ে খুব জঘন্য অপরাধ! তাকে নানা রকমের কথা শুনাই। একবার ও তার জায়গায় নিজেকে ভাবি না। মানুষ শুধু শারিরিক চাহিদা না মানসিক প্রশান্তির জন্যেও সঙ্গী চায়। বুড়ো বয়সে দুজনের ঝগড়াটাও দৈনন্দিন অভ্যেস। এই ঝগড়া টুকু জিইয়ে রেখেই মানুষ শেষদিন পর্যন্ত সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে চায়। যে চলে যায় সে লাকি, যে থেকে যায় সে অভাগা। সে ভীষণ ই দুঃখী। তাই আপনার আশেপাশে আপনার প্রিয় মানুষগুলোকে একা হতে দেবেননা প্লিজ।
শমী কায়সারের বিয়ে নিয়ে এসব সমালোচনা বন্ধ করুণ প্লিজ। একজন পুরুষ অথবা একজন নারী সবার ই নিজের জীবনকে নিজের মতো করে গুছিয়ে নেবার অধিকার আছে। কেউ আইনগত ভাবে ধর্মীয়ভাবে বিচ্ছেদের পর যদি একটা বৈধ সম্পর্কে যেতে পারে আমাদের উচিৎ তাকে এপ্রিশিয়েট করা। সে তো কোনো অবৈধ সম্পর্ক করছে না। একাকীত্বের ভার সবাই বইতে পারে না। আমার আরেকজন দুরসম্পর্কের দাদা দাদী ছিলেন মারা যাবার আগে পনের বছর তাদের বিছানা আলাদা ছিলো। দিনরাত ঝগড়া করতো। কিন্তু তারপর ও দাদা মারা যাবার ঠিক তিনদিনের মাথায় সকালে দাদীর ঘর থেকে দাদীর লাশ বের হলো। ডাক্তাররা কোনো অসুখ পাননি। আজ আমি বুঝতে পারছি সম্ভবত অসুখটার নাম ছিলো একাকীত্ব।