What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

কন্যাদান ও পিতৃঋণ (1 Viewer)

Jupiter10

Exclusive Writer
Story Writer
Joined
Sep 25, 2020
Threads
3
Messages
381
Credits
56,871
পরিতোষ মজুমদার বয়স প্রায় 56বছর উত্তরবঙ্গের একটি সরকারি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার.

পরিতোষ বাবুর নিজের আপনজন বলতে তার শুধু একমাত্র কন্যা মধুরিমা. স্ত্রী মিনা দেবী একটি জটিল রোগে মারা যান যখন তার মেয়ের বয়স ছিল তিন বছর. স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি খুব ভেঙে পড়েছিলেন. তিনি নিজেকে সর্বহারা মনে করে ছিলেন কারণ তখন তার আপন স্ত্রী ছাড়া কেউ ছিলনা. বাবা মা তো চাকরি পাওয়ার পর পরই মারা যায়...যাইহোক তখন তিনি তার একমাত্র কন্যা মধুরিমা কে ওই তিন বছর বয়সে তার শশুরবাড়ি অর্থাৎ মধুরিমা কে ওর মামার বাড়িতে রেখে কলকাতা ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গএর বিভিন্ন জেলায় নিজের পোস্টিং নিয়ে চাকরি করতে থাকেন. বর্তমানে এখন তিনি শিলিগুড়ি তে কর্মরত. স্ত্রী মারা যাবার পর থেকে কলকাতা কে নিজের জীবন থেকে আলাদা করে রাখারই চেষ্টা করে গেছেন পরিতোষ বাবু. তবে কলকাতা যে একেবারে আসেননি টা নয়. যতই হোক কলকাতা তার জন্মভূমি. প্রানপ্রিয় স্ত্রী কে নিয়ে তিনি মাত্র চার বছর সংসার করতে পেরেছিলেন. তারপর যেন সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়. তিনি কলকাতা আসতেন তার মেয়ের টানে. মেয়ে কে কোলে নিয়ে আদর করতে. মেয়ে কে নিয়ে ট্রামে চড়তে. বেড়াতে নিয়ে যেতে. স্ত্রী মারা যাবার পর মেয়েই হয় তার জীবন সম্বল. মেয়ে কে নিজের শশুরবাড়িতে রাখলেও তার যাবতীয় খরচপাতি তিনি মাসে একদিন ছুটি নিয়ে এসে শশুর শাশুড়ি র হাতে দিয়ে যেতেন. মেয়ের স্কুল পড়াশোনা দেখাশোনা সব কিছুর খবর তিনি রাখতেন. মেয়ের অসুখবিসুখ হলে তিনি তৎক্ষণাৎ কলকাতা চলে আসতেন. মেয়ের ডাক্তার বদ্দি সবকিছু নিজেই করতেন. স্কুলের শিক্ষক দের সাথে কথা বলা পরামর্শ নেয়া সব নিজেই করতেন চাকরি ফেলে ছুটে এসে. যদি কখনও আসার সময় পেতেন না তখন তার শ্যালক অর্থাৎ মধুরিমা র মামা কে পাঠাতেন পরিতোষ বাবু. তবে তিনি অন্তত দুতিন মাসের মধ্যে লম্বা ছুটি নিয়ে চলে আসতেন মেয়ের জন্য. নিজের ভিটে বাড়ি তে একাকী থাকতে পারতেন না পরিতোষ বাবু. তাই যখন তিনি কলকাতা য় ছুটি নিয়ে আসতেন তখন মেয়েকে আনিয়ে নিতেন শশুরবাড়ি থেকে. তিন দিন পাঁচ দিন যত দিন ই থাকতেন মেয়েকে নিজের সঙ্গে রাখতেন. নিজের মেয়ের প্রতি এতো টান থাকার জন্যই তিনি দৃতীয় বিয়ে করেননি. মেয়ে কেই নিজের পৃথিবী বানিয়ে নিয়েছিলেন. মধুরিমা ও আসতে আসতে বড় হতে লাগলো. তিন বছর পাঁচ বছর দশ বছর তেরো বছর করে বাড়তে লাগলো. তবে পরিতোষ বাবুর কাছে তার মেয়ে সেই ছোট্ট মা হারা মেয়েই ছিল. যাকে তার মা সেই ছোট্ট বেলায় ফেলে চলে যান পৃথিবী থেকে. এখন তিনিই মা আর তিনি বাবা. তাই মেয়ের যাবতীয় খেয়াল তাকেই রাখতে হয়. স্নান করানোর সময় মেয়ের টেপ খুলে প্যান্টি নামিয়ে পুরো নগ্ন করে গোটা গায়ে সাবান দিয়ে স্নান করিয়ে দেন পরিতোষ বাবু. মেয়ের চুল আঁচড়ানো থেকে খাওয়ানো সব কিছু করে দেন তিনি. খাওনোর সময় মেয়েকে নিজের কোলে বসিয়ে খাওয়ান পরিতোষ বাবু. মেয়ে মধুরিমা ও মনে করে যদি তার মা বেঁচে থাকতো ঠিক এভাবেই নিজের কোলে বসিয়ে খাওতেন. তাই মধুরিমা ও খাওয়ার সময় নিজের থেকেই ফ্রক টা পেছন থেকে তুলে বাবার দুই পায়ের মাঝখানে বসে যেত. বাবা পরিতোষ ও মেয়ে কে কোলে বসিয়ে নিজের হাতে খাইয়ে তৃপ্তি পেতেন. রাতের বেলায় শোবার সময় ও পরিতোষ মেয়েকে নিজের সাথেই সোয়াত কারণ মধুরিমা একাকী ঘুমাতে ভয় পায়. রাতে সে তার বাবাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়. পরিতোষ ও মেয়ে কে শক্ত করে আগলে ধরে রাখেন যেন মেয়ে কে বোঝাতে চান তোর এই পিতা থাকতে তোর কোনো ভয় নেই কোনো সংকট নেই. মা তুই সম্পূর্ণ রূপে সুরক্ষিত. মাঝে মধ্যেই মধুরিমা ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় প্রশাব করে দিতো. পরিতোষ তখন মেয়ের ভেজা ফ্রক ও প্যান্টি খুলে দিয়ে মেয়ের পাছা ও যোনি ভালো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতো. একদিন সেই একই অবস্থা বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে আর মেয়ে ঠান্ডায় কাঁপছে বিছানার এক পাস ভেজা. মেয়ে কে ঢাকা দেবার মতো একটি চাদর ও সে বাইরে রাখনি. নগ্ন মেয়েকে নিজের কাছে টেনে নেয় পরিতোষ. নিজের পরনের লুঙ্গি টিকে খুলে মেয়েকে ঢেকে দেয় সে. ততক্ষনে মেয়ে বাবার স্পর্শ পেয়ে এক হাত দিয়ে গলায় জড়িয়ে ধরে নেয় আর একটা পা তুলে দেয় বাবার কোমরের ওপরে. পরিতোষ মেয়ের দিকেই পাশ ফিরে শুয়ে ছিল. আচমকা তার হাতটা মেয়ের পিঠে চলে যায়. শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নেই সে. দুজনেই নগ্ন. বাপ্ বেটির বুক ঠেকে. পরিতোষের শরীর ঝিনঝিনিয়ে ওঠে. কিছু করার নেই. নড়াচড়া করলে মেয়ের ঘুম ভেঙে যেতে পারে. নিচের দিকে স্ফীত ও শক্ত লিঙ্গ টি কিসে যেন ঠেকছে. নরম ও ফোলা পাউরুটির মতো. ভেজা ভেজা ভাব. মনে হচ্ছে ফোলা পাউরুটির মাঝ খানে কেউ ব্লেড দিয়ে কেটে ওখানে মাখন লাগিয়ে তার লিঙ্গের ডগায় রেখে দিয়েছে. পরিতোষ অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোমর টাকে বেঁকিয়ে ওপর দিকে দুই বার চাপ দেয়. অনুভব করে মাখন লাগানো রুটির কাটা অংশটিতে তার লিঙ্গ টি ঢুকে যেতে পারে. সে তৎক্ষণাৎ ধড়ফড়িয়ে উঠে পড়ে. ছি ছি ছি কি সব করতে চলেছে সে. এ অন্যায় মহা পাপ. তড়িঘড়ি সে বাথরুমে গিয়ে লিঙ্গের ডগায় জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেয়. তারপর আলমারি থেকে লুঙ্গি ও চাদর বের করে নিজে পরে ও মেয়ে কে চাদর দিয়ে ঢেকে দেয়. অবশেষে দীর্ঘ নিঃস্বাস ফেলে.তার পরেরদিন সকাল বেলা মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে রেডি করে, মেয়েকে নিজের শশুর বাড়িতে দিয়ে আসে. তারপর দুপুরের ট্রেন ধরে নিজের কর্মভূমির উদ্দেশ্য রওনা দেন. ট্রেনে করে যেতে যেতে বাইরের জানালার দিকে মুখ করে সে কি যেন ভাবতে থাকে.মন টা তার খুব ভারী হয়ে আসে. গতরাতের ঘটনা তার মনে পড়ে ধিক্কার জানায় নিজেকে. এর পর প্রায় তিন মাস কেটে যায়. কলকাতা আর যাননি এই কয়েক মাসে শুধু টেলিফোন করে মেয়ের খবর নিয়ে নেন মেয়ের পরিতোষ বাবু. নিজেকে যেন কেমন অপরাধী অপরাধী মনে করছিলেন. তারপর বিগত ছয়মাস হলেও মেয়ের কাছে যাননি. পরিতোষ বাবুর শশুর বাড়ির লোকজন ফোন করে কারণ জানতে চাইলে তিনি অফিসের কাজের চাপের দোহাই দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন. তবে মেয়ের জন্য মাসিক টাকা তিনি money অর্ডার করে দিতেন. টেলিফোনে মেয়ের সাথে ক্ষনিকের কথায় তিনি মন ভরিয়ে নিতেন. মেয়ে বলতো বাবা তুমি কবে আসবে, তখন পরিতোষ বাবু শুধু বলতেন যাবো রে খুব শীঘ্রই. তারপর দেখতে দেখতে তিনটি বছর পেরিয়ে যায় .পরিতোষ বাবু এই বিগত কয়েকটা বছরে আর কলকাতা ফেরেননি. মেয়ে ও শশুড়বাড়ির লোকজন আসতে বললে শুধুই কাজের অজুহাত দিয়ে ছেড়ে দিতেন. এমন কি মেয়ের বিনীত অনুরোধ ও তার নির্ণয় কে প্রভাবিত করতে পারেনি. তাতে যে মেয়ের মনে বাবার প্রতি ক্ষোভ জন্মেছে তা নয়. বরং মেয়েও তাকে খুবই ভালোবাসে. শুধু এক আধ দিন মেয়ের অভিমান হয়ে যেত এই টুকুই. পরিতোষ বাবু মেয়ের সেই অভিমান ভাঙাতে ভালোই জানেন. অনেক খানি টেলিফোন কল আর কিছু উপহার দিয়েই মেয়ের মনে ভুলিয়ে দিতেন. কতই বা বয়সে হবে তখন মধুরিমার পনেরো কি সোলো. যৌবনের পদার্পণের শুরু মাত্র. সে এখনও কিশোরী. সহজেই ভুলে যায়. মামার মেয়ে পারমিতার সাথেই তার দিন পার হয়.পারমিতা, মধুরিমা র থেকে দুই বছরের ছোট. ওর খেলার সাথী. আর এদিকে পরিতোষ বাবুর কি যে হয়েছে তা উনি জানেন. সে রাতের ঘটনা তার জীবনকে অনেক খানি প্রভাবিত করেছে. সে যেন এক সুপ্ত অপরাধের অপরাধী. যেটা তার মন জানে আর তিনিই. অফিসের কলিগ দের সাথে পরিতোষ বাবুর ভালোই বন্ধুত্ব. নৃপেন সরকার বয়সে তারই সমবয়সী হবেন. তারা দুজনে পাশাপাশি কেবিনে বসেন. খুব রসিক মানুষ নৃপেন বাবু. তা একদিন বাজারে নৃপেন বাবুর সাথে একজন মহিলা কে একসাথে দেখেন পরিতোষ বাবু. মনে করলেন মহিলাটি নৃপেনের স্ত্রী হবেন নিশ্চই. তো বাজারে সেদিন পরিতোষ বাবুকে কে নৃপেন দেখতে পাননি. যাইহোক একদিন ব্যাংকে কাজ করছিলেন পরিতোষ বাবু হটাৎ একটি মহিলা আসে তাঁদের অফিসে., হাতে একখানি টিফিন বাক্স নিয়ে. মহিলা টি সোজা চলে যান নৃপেন বাবুর কাছে. পরিতোষ বাবু সেটা লক্ষ্য করছিলেন. এই মহিলাটি কি সেই মহিলা যাকে তিনি সেদিন বাজারে একসাথে দেখেছিলেন. পরিতোষ বাবু মনে মনে ভাবলেন 'নাহ'.উনি আলাদা ছিলেন. দুজনে এক না. আলাদা মহিলা. নৃপেন ও ওই মহিলার মধ্যে কথোপকথন ও তাদের অভিব্যক্তি দেখে তো এনাকেই নৃপেনের স্ত্রী বলে মনে হচ্ছে. যাইহোক পরিতোষ বাবু নিজের কাজে মন দিলেন. লাঞ্চ আওয়ার্স এ খেতে খেতে নিজের থেকেই বললেন নৃপেন বাবু 'দেখেছেন পরিতোষ বাবু সহধর্মিনী আমার কতো খেয়াল রাখে '.পরিতোষ বাবু একটু দ্বন্দে পড়লেন. এবং নিশ্চিত হলেন যে ব্যাংকে আসা মহিলাটিই নৃপেন বাবুর স্ত্রী. মনের মধ্যে সেদিনের কথা উঠে এলেও তিনি আর প্রশ্ন করলেন না নৃপেন কে. ভাবলেন বাজারে দেখা মহিলাটি হয়তো নৃপেন বাবুর বোন, বৌদি বা অন্য কোনো আত্মীয় হতে পারে. কারো ব্যেক্তিগত জীবন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা উচিত না পরিতোষ বাবু মনে করেন. এই ভাবে বেশ কয়েকবার নৃপেন বাবুর সাথে আলাদা আলাদা মহিলা দের সাথে দেখেন পরিতোষ বাবু. শুধু ভাবেন এই বিষয় নিয়ে একবার কথা বলবেন নৃপেন বাবুর সাথে. তৎক্ষণাৎ নির্ণয় ও বদলে নেন পরিতোষ বাবু. এভাবে কারোর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো. একদিন অফিস ছুটির পর পরিতোষ বাবু বাড়ি ফেরার জন্য বাসের অপেক্ষা করছিলেন. পাশে নৃপেন বাবুও ছিলেন. রাস্তার পাশ থেকে কয়েকটা স্কুল অথবা কলেজ পড়ুয়া মেয়ের দল পেরিয়ে যায়. "আমরা ভুল লগ্নে জন্মেছি পরিতোষ বাবু "-এমন বলে উঠলেন নৃপেন বাবু. "কেনো বলুনতো নৃপেন বাবু "-পরিতোষ বাবু প্রশ্ন করলেন. "না মানে এই যে কচি কাঁচা মেয়ে গুলোকে দেখছেন, উন্মুক্ত পোশাক পরে ছেলে দের হাতে হাত ধরে ঘুরে বেড়াবে, পার্কে বসে চুমু খাবে. সেই আরকি. ".পরিতোষ বাবু মুচকি হাসে. কোনো উত্তর উত্তর দেনআর e না. তৎক্ষণাৎ বাস এসে পড়ে. তারা দুজনেই বাসে উঠে পড়েন. বাসে কয়েকটা মেয়েদের দিকে উদ্দেশ্য করে নৃপেন বাবু বলেন "দেখেছেন ওই সব মেয়েদের পোশাক আশাক. "."জিন্স লেগ্গিংস নিতম্বের খাজ দেখা যায় ".আর ওড়না, ওটা তো আর দেখাই যায়না মেয়েদের কাছে.".আর এই অল্প বয়সী মেয়ে দের দেখেছেন, কি করে হয় তাদের ওই এমন স্তন. "মেয়ে গুলোর পাছা দেখুন এই বয়সেও আমার বুকে ব্যথা ধরিয়ে দেয় ".পরিতোষ বাবু সব আনমনা হয়ে শোনেন তার কথা. শুধু "হুম "উত্তর দেন.এহেন উত্তর নৃপেন বাবুর কাম্য ছিলোনা. তাই আবার বলে উঠলেন "আমাদের সময় টা যদি এখন হতো তাহলে খুব ভালো হতো জানেন, কারণ আমাদের সময় কার মেয়েরা তো শুধু শাড়ি আর খুব বেশি হলে চুড়িদার আর সাথে থাকতো বিশাল চাদরের মতো ওড়না ".তখনকার মেয়েদের আপাদত মস্তক কাপড়ে ঢাকা. কোথায় স্তন ও পাছার মাপ নেবেন দাদা".নৃপেন এর এমন কথায় আবার একবার হেসে ফেললেন পরিতোষ বাবু. "ওই যে দেখছেন মেয়েটা জিন্স পরে কেমন পাছা উঁচিয়ে দাড়িয়ে আছে.".পরিতোষ বাবু গলা তুলে একটু মেয়েটিকে দেখে নিলেন, ওই আঠারো উনিশ বছর বয়েস. হ্যা সত্যিই মেয়েটি খুব সুন্দরী, বেশ সুঠাম নিতম্ব তার. বাসের জানালার দিকে তাকিয়ে আছে মেয়েটি. আবার মুচকি হাসলেন পরিতোষ বাবু."যদিও পরিতোষ বাবুর এখনকার কালচার খুব একটা পছন্দ করেননা. উনিও বেশ কিছুটা পুরোনো খেয়ালের মানুষ. তাইতো নিজের মধ্যে সব কিছু কেমন যেন কুলুপ বেঁধে রেখেছেন. "তা আপনার কি আফসোস হয় "-প্রশ্ন করলেন পরিতোষ বাবু. " নাহ আফসোস হবে কেনো, সময় পরিস্থিতি তে মানিয়ে চলতে হবে এই আরকি "-হেঁসে উত্তর দিলেন নৃপেন বাবু. সত্যিই মানুষ মানুষের জায়গায় আছে সময় পরিস্থিতি বদলে যায়. নিজেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী বদলে নেওয়া টাই সঠিক. মনে মনে ভাবলেন পরিতোষ বাবু. কোনো কিছুর ভুল ভ্রান্তি কে নিয়ে সারা জীবন শাস্তি পাওয়ার কোনো মানে হয়না. "কি মশাই কি ভাবছেন, কোথায় হারিয়ে গেলেন".প্রশ্ন করলেন নৃপেন বাবু. "আপনার বাড়ি চলে এসেছে এবার নামুন ".-আবার বললেন নৃপেন বাবু. "ও হ্যা ভুলেই গেছি" বললেন পরিতোষ বাবু. বাস থেকে নেমে স্টাফ কোয়ার্টার এর দিকে রওনা দিলেন পরিতোষ বাবু. রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে তিনি একটা ফোন করেন শশুরবাড়িতে. মেয়ের সাথে কথা হয়. মেয়ের মিষ্টি গলার স্বর তার মনকে শান্তি দেয়. "বাবা তুমি কেমন আছো ".প্রশ্ন করে মধুরিমা. "হ্যা রে মা ভালোই আছি ".হালকা হেঁসে উত্তর দেন পরিতোষ বাবু. ইদানিং মেয়ে মধুরিমা কে মা বলে সম্বর্ধন করেন পরিতোষ বাবু. "তুই কেমন আছিস রে, তোর পড়াশোনা কেমন চলছে ".হ্যা বাবা আমি খুব ভালো আছি, শুধু তোমার জন্য মন খারাপ হয় ".কথাটা শুনে পরিতোষ বাবুর মন কেঁদে উঠল. কিছক্ষন দুজনেই চুপ. তারপর মেয়ে বলে উঠল বাবা কি হলো. "না রে মা কিছু হয়নি"."বাবা তিন মাস পর আমার মাধ্যমিক পরীক্ষা তুমি আসছো তো এখানে.".প্রশ্ন করে মধুরিমা. "হ্যা মা নিশ্চই যাবো".বলেন পরিতোষ বাবু. ফোন রেখে দেয়ার পর অনেক্ষন ভাবুক হয়ে থাকেন তিনি. সময় যে প্রতি নিয়ত এগিয়ে চলছে সেটা তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন. এই কয়েক দিন আগেকার ছোট্ট মেয়েটি এখন এতো বড়ো হয়ে গেলো বোঝায় গেলো না. সে এখন মাধ্যামিক দেবে. দেখতে দেখতে ষোড়শী হয়ে গেলো তার মেয়ে মধুরিমা. নবযুবতী. মেয়ে কে দেখার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে উঠল তার. কতো দিন দেখেনি তাকে তিন কি চার বছর হয়ে যাবে. মনের মধ্যেই কল্পনা করে নেয় মেয়ের মুখ ও শরীর.যখন শেষ দেখেছিলো তখন মেয়ের ছিল ছিমছাম শরীর. মুখটি ভারী মিষ্টি. আর গায়ের রং ধবধবে ফর্সা. আর এখন কেমন দেখতে হবে সেই মেয়ে কে জানে. মেয়ের সাথে কাটানো মহুর্ত গুলি মনে করতে থাকে পরিতোষ বাবু. সাইকেল এ করে মেয়েকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া. মেয়েকে নিজের হাতে করে খাওনো. সকালে মেয়ের স্কুল যেতে কান্না সেকি ভোলা যায়. আর সেই কান্না থামানোর জন্য পরিতোষ কি করতেন না, একটা করে লেবেঞ্চস. মেয়ে চুষে চুষে খেতো আর সব ভুলে যেত. এই সব ভেবে পরিতোষ বাবু হাসতে শুরু করলেন. পরক্ষনেই তার মন টা কেমন ভারী হয়ে উঠল.মনে পড়ে গেলো সেই কালো রাতের কথা. কচি মেয়ে মিধুরিমার কুমারী যোনি তে তার উত্থিত লিঙ্গটি ঢুকে যেতে চেয়েছিল. ইস!!!!...সেদিন কি সর্বনাশ টা নাই হতো. মেয়ের নির্লোম, ফোলা ও নরম যোনি. পিচ্ছিল যোনিদ্বারে যদি তার শক্তিশালী লিঙ্গটি পিছলে ঢুকে যেত. সামলে নিয়েছিলেন নিজেকে বলেই. টা নাহলে যদি ঘুমের ঘোরে স্ত্রীর সাথে সহবাস করছে এই ভেবে যদি মেয়ের কোমর ধরে শক্ত করে নিজের ঠাটানো ধোনটা দিয়ে নিজের মেয়ের যোনি মৈথুন করে দিতেন. কি হতো. পারতেন নিজেকে এই সমাজের মধ্যে রাখতে. নিজ কন্যাধর্ষক হিসাবে পরিচিত হতেন তিনি. না..... না... না... !!! এসব অজান্তে হয়ে গেছে. ইচ্ছাকৃত নয়. অন্তরমন চিৎকার করে ওঠে. জানান দেয় তিনি নির্দোষ. আর এজন্য তিনি নিজেকে মেয়ের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন. প্রিয়শ্চিত্ত করছেন. কিন্তু আর কতো দিন. এই সব ভাবতে ভাবতে পরিতোষ বাবু ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন. পরদিন সকালে আবার ব্যাংক. ব্যাংকে গিয়ে তিনি জানতে পারেন একটা বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে যাদের ব্যাঙ্কিং সার্ভিস কুড়ি বছর অতিক্রম করে গেছে তাদের একটা এক্সাম নেওয়া হবে সেটা অতিক্রম করলে মেনেজার পোস্ট দেওয়া হবে. অফিসের সমস্ত সহকর্মী পরিতোষ বাবুকে উৎসাহিত করলেন. নৃপেন বাবু বললেন "লেগে পড়ুন মশাই এটা আপনার প্রাপ্য ", আপনার মতো ধীর স্থির মানুষের প্রয়োজন এই ব্যাংকের ম্যানেজার হিসাবে, আর এমনিতেই আমাদের বর্তমান ম্যানেজার কিছু দিন পর রিটায়ারমেন্ট করবেন."."কেনো আপনার কুড়ি বছর সার্ভিস হয়নি ".প্রশ্ন করলেন পরিতোষ বাবু নৃপেন বাবুকে. "আরে কোথায় দাদা আমরা সমবয়সী হলেও, অভিজ্ঞতার দিক থেকে আপনার থেকে ছোট মশাই ".হেসে উত্তর দিলেন নৃপেন বাবু. এদিকে পরিতোষ বাবু মনে মনে খুব খুশি হলেন. প্রমোশন কে চাইনা বলুন. এদিকে বাবার প্রমোশন এর এক্সাম আর ওদিকে মেয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা. যদিও বাবাকেই আগে পরীক্ষা দিতে হলো. পরিতোষ বাবু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন. খুশির খবর. মেয়েকেও জানালেন খুশির খবর. কিন্ত সমস্যা টি হলো মেয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই পরিতোষ বাবুর ট্রেনিং পড়ে যায় তাও আবার মুম্বাই এ. মেয়ে কে কে জানাতে সে অনেক কান্না কাটি করে. পরিতোষ বাবুও মেয়েকে খুশি করার জন্য একখানি মোবাইল ফোন উপহার দেবার আশ্বাস জানান. মেয়ে কিছুটা হলে পরিতোষ বাবুর প্রস্তাব মেনে নেয়. তিনমাস পর মেয়ের মাধমিক পরীক্ষা শুরু হয়. পরিতোষ বাবু জানতে পারেন যে মেয়ের পরীক্ষা ভালোই হচ্ছে. আর এদিকে তার ও ট্রেনিং পুরো দমে চলছিল. ট্রেনিং শেষে মেয়েকে দেখবে তার উপায় ছিলোনা. ব্যাংকের নতুন নতুন ম্যানেজার হয়েছেন. কাজে ফাঁকি দিলে একদম চলবে না. অগত্যা মেয়ের সাথে আর দেখা করা হলোনা. একদিন তার কোয়ার্টার এ কলকাতা থেকে চিঠি আসে তাতে মেয়ের হাতের লেখা কিছু কথা তারপর মেয়ের মাধ্যমিক এর রেজাল্ট, মেয়ে ষ্টার পেয়েছে সেটা দেখে তিনি খুব খুশি হন. অবশেষে খামের ভেতর থেকে একখানি ছবি বেরিয়ে আসে. সেটা তার মেয়ে মধুরিমার ছবি সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়না. গতবার মেয়েকে যেমন দেখেছিলেন তার থেকে বেশ বড়ো হয়ে গেছে মধুরিমা. ফর্সা টুসটুসে, গোল মুখখানি, টিকালো নাক আর বড়ো বড়ো চোখ দুটি. মেয়ে বড়ো হলেও শরীরের তেমন পরিবর্তন হয়নি. আগেও রোগা ছিল আর এখনও রোগাই আছে. ছবিটা দেখার সঙ্গে সঙ্গে একটা টেলিফোন করে পরিতোষ বাবু. মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য.. ফোনের ওপাশে মধুরিমায় থাকে. "হ্যা তোর চিঠিটা আজ পেলাম "বাবা পরিতোষ বলেন মেয়েকে. "তুই ভালো রেজাল্ট কিরেছিস দেখে আমি খুব খুশি ".মধুরিমা হাসতে থাকে আর বলে "এসব তোমাদের আশীর্বাদে র ফল বাবা ".মেয়ের এমন কথা শুনে খুশি হন বাবা পরিতোষ. "হ্যা মা তুই আরও ভালো রেজাল্ট কর এটাই আশির্বাদ করি ".কিছু ক্ষণ চুপ থাকার পর পরিতোষ বাবু বললেন, "তবে মা তোর শরীর এতো খারাপ হয়ে গেছে কেনো, সেই রোগা হয়েই আছিস ".মেয়ে বলে "না বাবা আমি রোগা হয়নি আসলে সবাই বলছে আমি লম্বা হচ্ছি তাই এমন রোগা লাগছে ".মেয়ের কথা শুনে পরিতোষ বাবু আশ্বাস নেন. বলেন "খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করিস মা "."হ্যা বাবা তুমিও শরীর এর যত্ন নিয়ো "মধুরিমা বলে ফোন টা রেখে দেয়. রাতের খাবার খেয়ে শুতে যাবার আগে বিছানায় বসে চশমা পরে মেয়ের ছবি টাকে ভালো করে দেখে. আর ছবির মধ্যেই মেয়ের গালে কপালে চুমু খেয়ে নেয়. কয়েক দিন পর পরিতোষ বাবু আবার একদিন নৃপেন বাবুকে দেখলেন একটি মহিলার সাথে তবে এই মহিলা আগের দুই মহিলার থেকে আলাদা অন্য কেউ. পরিতোষ বাবু এটা বুঝে উঠতে পারছেন না এরা কারা. মনে মনে ভাবেন জিজ্ঞাসা করবেন কিন্তু ভুলে যান. তাছাড়া অন্যের বিষয়ে নাক গোলাননা পরিতোষ বাবু. এই ভাবেই কয়েক মাস কেটে গেলো. মেয়ে মধুরিমার সাথে ফোনেই কথা হতে থাকে পরিতোষ বাবুর. একদিন পরিতোষ ব্যাংকে নিজের কাজ করছিলেন. পরিতোষ ব্যাংক ম্যানেজার তাই আলাদা রুম. হঠাত একটি বয়স আঠারোর যুবতী মেয়ে তার কেবিনের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে. পরিতোষ বাবু মেয়েটিকে দেখে থতমত খেয়ে যায়."মধুরিমা"এখানে. পরক্ষনেই বুঝতে পারেন এ মেয়ে মধুরিমা নয়. আলাদা মেয়ে তবে অনেকটা তার মেয়ের মতোই দেখতে. "স্যার আমি নতুন একাউন্ট বানাতে এসেছি ".মেয়েটা পরিতোষ বাবুকে বলল. "হ্যা তুমি বাইরে একটা ফর্ম নিয়ে সেটা ফিলআপ করে, ওখানে জমা করে দিয়ো ".পরিতোষ বাবু বললেন. মেয়েটি আবার বলল "না মানে স্যার আমার ভ্যালিড আই ডি শুধু কলেজ আইডি আছে,আপনি যদি এটাকে অপ্প্রভ করে দেন তাহলে উপকৃত হবো ".পরিতোষ বাবু মেয়েটির আর্জি ফেলতে পারলেন না. ওনার মেয়েটাকে দেখে শুধু নিজের মেয়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল. "আচ্ছা ঠিক আছে তোমার নাম কি? বলো আমি একটা এপ্লিকেশন করে দিচ্ছি "-পরিতোষ বাবু বললেন. "আজ্ঞে মধুমিতা সান্যাল "-মেয়েটি জবাব দেয়. আশ্চর্য !!কি নামের মিল তার মেয়ের সাথে. মধুরিমা মধুমিতা. যেন দুই কন্যা পরিতোষ বাবুর. যাইহোক কি সব আকাশ কুসুম ভাবছিলেন পরিতোষ বাবু. সেদিন ব্যাংক থেকে বাড়ি ফেরার সময় আবার নৃপেন বাবুর গাঁজা খুরি গল্প শুনতে শুনতে আসতে হয়েছিল তাকে. পরিতোষ বাবুর একবার ভাবলেন নৃপেন বাবুকে সেদিন গুলির কথা জিজ্ঞাসা করবেন কিন্তু পারলেন না. শুধু এটুকু জিজ্ঞাসা করলেন নৃপেন বাবুর বাড়িতে কে কে আছেন. নৃপেন বাবু জানান যে তার বাড়িতে শুধু তিনি আর তার স্ত্রী থাকেন. অর্থাৎ নৃপেন বাবু নিস্সন্তান. তবে কে ওই মহিলা গুলো?পরিতোষ বাবুর আর বুঝতে অসুবিধা হলো না. যাইহোক কোনো লোকের বেপারে এতো আগে থেকে খারাপ চিন্তা ভাবনা করা উচিত হবে না. বাস থেকে নেমে বাড়ি চলেযান পরিতোষ বাবু. রাতে বসে বসে শুধু ভাবেন মধুরিমা মধুমিতা কত মিল দুজনের. যেন একই বাবা মায়ের সন্তান তারা. আর কোনো দিন দেখা হবে কি মধুমিতার সাথে. এভাবেই দিন পার হতে থাকে. পরিতোষ বাবু নিজের কাজ কর্ম মনোযোগ দিয়ে করতে থাকেন. মেয়েকে এখন উচ্চ শিক্ষা দেওয়াতে হবে এই তার চিন্তা ভাবনা .মাধ্যমিক পাশ করার পর বাবার উপদেশই বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা আরম্ভ করে দিয়েছে মধুরিমা. এখন প্রায় প্রতিদিন মেয়ের সাথে কথা হয় পরিতোষ বাবুর. মেয়ের সুমিষ্ট গলার আওয়াজ তাকে কেমন এক আলাদা অনুভূতি দেয় সেটা তিনি বুঝতে পারেন না. একদিন ব্যাংকে বসে তার যথেষ্ট জমা পুঁজি দেখা সোনা করছিলেন. এতো দিনের কর্মজীবনে যথেষ্ট সঞ্চয় করে নিয়েছেন পরিতোষ বাবু. এতেই মেয়ের উচ্চ শিক্ষা আর বিয়ে স্বচ্ছন্দ ভাবে হয়ে যাবে. বিয়ে !!!.মেয়ের বিয়ের কথাটা মাথায় আসতেই বুকটা কেঁপে পরিতোষ বাবুর. মনে মনে বলে উঠলেন না !!.তিনি মেয়ের সাথে যথেষ্ট সময় কাটাতে পারেন নি. আর মেয়ের বয়স কতই বা হয়েছে ওই ষোলো সতেরো. বিয়ে দিতে অনেক দেরি. দূরে থাকলেও মেয়েকে নিজের জীবন থেকে দূরে সরাতে চাননা পরিতোষ বাবু. মেয়েকে যে বড্ডো ভালোবাসেন তিনি.
 

Users who are viewing this thread

Back
Top