ফেসবুক লগইন করে দেখলেন, বন্ধুরা দলবেঁধে কোথাও খেতে গিয়েছে। সামনে বাহারি নাম না জানা খাবারের সমাহার। কোন এক সেলফিবাজ মুখ আগে বাড়িয়ে সেই আনন্দঘন মুহুর্তের ছবি তুলেছে। পিছনের সবাই হাসছে। হয়তো কোন চমকপ্রদ ক্যাপশন, Enjoying Life
যে খাবার খেতে রেস্টুরেন্টে যাচ্ছে সে বস্তাপচা জ্যাম এড়াতে বাসা থেকে বহু আগে বের হতে হয়। বাপের গাড়ি না থাকলে, রাস্তায় নেমে রিক্সা সিএনজি তোষামোদ চালাতে হয়। ভাগ্য ভালো থাকলে উবার এসে নিয়ে যায় কিন্তু পকেট থেকে বেড়িয়ে যায় কড়করে কয়েকটা নোট।
খাওয়া দাওয়ার পর, খাবারের বিল মিটানোর পর আবার বাসায় ব্যাক করবার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে অংশগ্রহনে ছুটির দিন পুরোটাই তার নষ্ট হয়। পরিবারকে সময় দেয়া হয় না, মায়ের হাতের বানানো রাতের খাবার একসাথে পরিবারের সাথে বসে খাওয়া হয়ে উঠে না।
অথবা দলবেঁধে কেউ ট্যুরে গেছে। ইন্সটাগ্রামে এডিট করা ছবি। কালারফুল। সুর্যকে হাতের মুঠোয় ধরে বা পাহাড়ে একসাথে বিশ পচিশ জন একইসাথে লাফিয়ে উঠার ফেসবুক ছবিতে হোমপেইজ সয়লাব।
মনে হচ্ছে, খুব চিল হচ্ছে ওইদিকে। আমার লাইফ হেল।
মনে রাখবেন, পঁচিশজনের একসাথে লাফিয়ে উঠার ছবি এক ক্লিকে হয়না। প্রথমে সবাই লাফ দেয় কিন্তু ছবি উঠার পর দেখা যায় কোণার জনের পা মাটিতে। ছবি কেন্সেল।
এভাবে একের পর এক শাটার ক্লিক করে যেতে হয়। কয়েকজন হাল ছেড়ে দেয়। বলে বসে - দূর আমি আর লাফাতে পারবোনা। ঘাম ছুটে যায়। তারপরও ট্যুরে আনন্দ হচ্ছে প্রমান করতে সেই নিরস লাফান চলতে থাকে। লাফাতে লাফাতে মন মতো একটা ছবি পাওয়া যায়। ফেসবুকে আপলোড হয়।
কেবল এক সেকেন্ডদের সেলফি ই দেখে ফেসবুক দর্শনার্থীরা ভাবে -- বাপ্রে বাপ, ওদের কি আনন্দ! কি সুখ!
অথচ প্রতিটি কর্মের পিছনে কিছু গল্প থাকে। সেলফিতে কেবল নিজের আনন্দ শো করা হয়, পিছনের গল্প বলা হয়ে উঠে না।
কারো কারো কাছে, রেস্টুরেন্টের ডিম লাইটের আলোয় নাম না জানা দামি প্লেটের খাবারের চেয়ে নিজের বাসায় মায়ের রুমে আড্ডা দেয়ার ছলে বুট চানাচুর চিবানোয় আনন্দ, কারো কারো কাছে একসাথে পচিশজন লাফিয়ে উঠার চেয়ে বৃষ্টির দিনে, ফ্যান ফুল স্পীডে ছেড়ে গায়ে কাথা জড়িয়ে জম্পেশ ঘুমেই সুখ।
সুখটা নিজের কাছে। সুখ নিজের মতো। সুখ একেক জনের কাছে একেক রকম।
নিজের সুখটা নিজেই খুঁজে নিও। নিজের মত।
ফেসবুকে সুখ খুঁজতে যেও না। মনের অসুখ বাড়বে।
যে খাবার খেতে রেস্টুরেন্টে যাচ্ছে সে বস্তাপচা জ্যাম এড়াতে বাসা থেকে বহু আগে বের হতে হয়। বাপের গাড়ি না থাকলে, রাস্তায় নেমে রিক্সা সিএনজি তোষামোদ চালাতে হয়। ভাগ্য ভালো থাকলে উবার এসে নিয়ে যায় কিন্তু পকেট থেকে বেড়িয়ে যায় কড়করে কয়েকটা নোট।
খাওয়া দাওয়ার পর, খাবারের বিল মিটানোর পর আবার বাসায় ব্যাক করবার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে অংশগ্রহনে ছুটির দিন পুরোটাই তার নষ্ট হয়। পরিবারকে সময় দেয়া হয় না, মায়ের হাতের বানানো রাতের খাবার একসাথে পরিবারের সাথে বসে খাওয়া হয়ে উঠে না।
অথবা দলবেঁধে কেউ ট্যুরে গেছে। ইন্সটাগ্রামে এডিট করা ছবি। কালারফুল। সুর্যকে হাতের মুঠোয় ধরে বা পাহাড়ে একসাথে বিশ পচিশ জন একইসাথে লাফিয়ে উঠার ফেসবুক ছবিতে হোমপেইজ সয়লাব।
মনে হচ্ছে, খুব চিল হচ্ছে ওইদিকে। আমার লাইফ হেল।
মনে রাখবেন, পঁচিশজনের একসাথে লাফিয়ে উঠার ছবি এক ক্লিকে হয়না। প্রথমে সবাই লাফ দেয় কিন্তু ছবি উঠার পর দেখা যায় কোণার জনের পা মাটিতে। ছবি কেন্সেল।
এভাবে একের পর এক শাটার ক্লিক করে যেতে হয়। কয়েকজন হাল ছেড়ে দেয়। বলে বসে - দূর আমি আর লাফাতে পারবোনা। ঘাম ছুটে যায়। তারপরও ট্যুরে আনন্দ হচ্ছে প্রমান করতে সেই নিরস লাফান চলতে থাকে। লাফাতে লাফাতে মন মতো একটা ছবি পাওয়া যায়। ফেসবুকে আপলোড হয়।
কেবল এক সেকেন্ডদের সেলফি ই দেখে ফেসবুক দর্শনার্থীরা ভাবে -- বাপ্রে বাপ, ওদের কি আনন্দ! কি সুখ!
অথচ প্রতিটি কর্মের পিছনে কিছু গল্প থাকে। সেলফিতে কেবল নিজের আনন্দ শো করা হয়, পিছনের গল্প বলা হয়ে উঠে না।
কারো কারো কাছে, রেস্টুরেন্টের ডিম লাইটের আলোয় নাম না জানা দামি প্লেটের খাবারের চেয়ে নিজের বাসায় মায়ের রুমে আড্ডা দেয়ার ছলে বুট চানাচুর চিবানোয় আনন্দ, কারো কারো কাছে একসাথে পচিশজন লাফিয়ে উঠার চেয়ে বৃষ্টির দিনে, ফ্যান ফুল স্পীডে ছেড়ে গায়ে কাথা জড়িয়ে জম্পেশ ঘুমেই সুখ।
সুখটা নিজের কাছে। সুখ নিজের মতো। সুখ একেক জনের কাছে একেক রকম।
নিজের সুখটা নিজেই খুঁজে নিও। নিজের মত।
ফেসবুকে সুখ খুঁজতে যেও না। মনের অসুখ বাড়বে।