পাসওয়ার্ড হ্যাক করা বর্তমান সময়ে খুব সহজ একটি ব্যাপার। তবে কয়েকটি বিষয় মেনে চললে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।আপনার ডিজিটাল অ্যাকাউন্টগুলো নিরাপদ রাখতে কী কী করা উচিত হবে,সেরকম কিছু টিপস নিচে তুলে ধরা হলোঃ-
টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন
অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে চাইলে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ফিচারের আওতায় প্রতিবার লগইনের সময় মোবাইলে কোড নম্বর পাঠানো হয়ে থাকে।
পাসওয়ার্ড সেইভ
নিজের কম্পিউটার বাদে অন্য কোনো কম্পিউটারে 'রিমেম্বার মাই পাসওয়ার্ড' ফিচারটি ব্যবহার করা উচিত নয়। সাইবার ক্যাফে বা লাইব্রেরির কম্পিউটারে কোনো অ্যাকাউন্ট খুললে সেটির পাসওয়ার্ড নোট প্যাডে লিখে রাখাই ভালো।
সিকিউরিটি কোয়েশ্চেন
সিকিউরিটি কোয়েশ্চেন হিসেবে আপনি কোথায় বড় হয়েছেন, জন্মতারিখ বা আপনার মায়ের নাম কি এসব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো থেকেও পাওয়া সম্ভব।
পাসওয়ার্ড বদল
অন্য কেউ আপনার পাসওয়ার্ড জেনে গেলে দ্রুতই পাসওয়ার্ড বদল করা প্রয়োজন। এতে হ্যাকিংয়ের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
ইউএসবি কি
গুগল, ফেইসবুক ও ড্রপবক্সের নিরাপত্তার জন্য ইউএসবি কি ব্যবহার করা যায়। এই ইউএসবি কি ছাড়া কোনো মতেই অ্যাকাউন্টে ঢোকা যাবে না। তাই ব্যবহারকারীকে সর্বদাই ডিভাইসটি বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে।
রাউটারের পাসওয়ার্ড
অনেক রাউটারেই ডিফল্ট লগইন দেওয়া থাকে। সেখানে লগইন নেম থাকে অ্যাডমিন আর পাসওয়ার্ডের জায়গায় লেখা থাকে পাসওয়ার্ড। তাই রাউটারের পাসওয়ার্ডটিও বদল করা জরুরি।
ম্যালওয়্যার
পাসওয়ার্ড যতোই শক্তিশালী হোক না কেনো তা ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচতে পারে না। তাই অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
পাসওয়ার্ড ম্যানেজার
পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারে একসঙ্গে অনেকগুলো পাসওয়ার্ড জমা করে রাখা যাবে। লাস্টপাস, ড্যাশলেন, রোবোফার্ম, কিপাস পাসওয়ার্ড ও স্টিকি পাসওয়ার্ড সফটওয়্যারগুলো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে থাকে।
কমন ওয়ার্ড
প্রচলিত কিছু শব্দ যেমন কোয়ার্টি, নিজের নাম বা প্রিয়জনের নাম পাওয়ার্ড হিসেবে না দেওয়াই ভালো।
নোট প্যাড
সরাসরি পাসওয়ার্ড না লিখে এমন কিছু লেখা উচিত যা পাসওয়ার্ডটি মনে রাখতে সহায়তা করবে। এতে নোটপ্যাডটি অন্য কারও কাছে গেলেও পাসওয়ার্ডটি নিরাপদই থাকবে।