টাইম ট্রাভেলিং নিয়ে আমার প্রথম দেখা মুভি ছিল টার্মিনেটর। সম্ভবত ২০০৭ সালে। এর আগে সায়েন্স ফিকশনে টাইম ট্রাভেলিং সম্পর্কে পড়েছিলাম, কিন্তু ভবিষ্যত থেকে ফিরে এসে নিজের জন্মের আগেই নিজের বাবা-মা'কে (এই মুভিতে অবশ্য বন্ধুর মা) দেখার ব্যাপারটা ভিজুয়ালি দেখার অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল।
টারমিনেটর দেখে অনেক কারণেই মুগ্ধ হয়েছিলাম। সে সময় আমার মুভি দেখার লাইফ মাত্র শুরু। কাজেই মুগ্ধতাটা একটু বেশিই ছিল। টাইম ট্রাভেলিংয়ের অংশটাও সম্ভবত মুগ্ধতার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
এরপর প্রচুর মুভি দেখেছি। টাইম ট্রাভেলিং নিয়েও কম মুভি দেখিনি, যদিও অধিকাংশই খুব একটা মুগ্ধ করতে পারেনি। সম্ভবত টাইম ট্রাভেলিংয়ের ভালো ভালো মুভিগুলো আগেই দেখে ফেলায় অনেক পরে যখন ব্যাক টু দ্য ফিউচার দেখতে বসেছিলাম, তখন সেটাও খুব একটা ভালো লাগেনি।
তাছাড়া ঐ মুভিতে গালফের স্টাইলে মাথায় কেফায়া পরা টেরোরিস্টগুলোকে যেভাবে লিবিয়ান বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেটা দেখে আরো মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
ভালো লাগা কয়েকটা টাইম ট্রাভেলিং সংক্রান্ত মুভির নাম (যেগুলো এই মুহূর্তে মনে পড়ছে) বলি: এক নাম্বারে অবশ্যই দ্য বাটারফ্লাই ইফেক্ট। এটা দেখে পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম। আমার মতে এটা খুবই আন্ডাররেটেড একটা মুভি।
স্প্যানিশ মুভি টাইমক্রাইমসও দারুণ লেগেছিল। একই কনসেপ্টের একটা হলিউড মুভি আছে, ট্রায়াঙ্গেল। সেটাও ভালো। কিন্তু টাইমক্রাইমটাই আমার বেশি ভালো লেগেছে।
সাম্প্রতিক সময়ের মুভির কথা বললে অবশ্যই নোলানের ইন্টারস্টেলারের নাম বলতে হবে। অ্যারাইভালের নামও বলা যায়। যদিও এটার মধ্যে টাইম ট্রাভেলিং অংশটা গৌণ।
এছাড়াও টম ক্রুজ অভিনীত এজ অফ টুমোরোও বেশ ভালো একটা মুভি। দ্য অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যুরো মোটামুটি ভালো লেগেছিল।
সিরিয়াস মুভির বাইরে হালকা ধরনের মুভি দেখতে চাইলে গ্রাউন্ডহগ ডে দেখতে পারেন। টাইম ট্রাভেলিং সংক্রান্ত মজার একটা মুভি।
বিখ্যাত টাইম ট্রাভেলিং মুভির মধ্যে ভালো লাগেনি এরকম মুভি হচ্ছে টুয়েলভ মাঙ্কিজ, প্রাইমার এবং ডনি ডার্কো। ভীষণ স্লো মনে হয়েছে দ্য ম্যান ফ্রম দ্য আর্থকে।
কম বিখ্যাত একটা মুভি কেন যেন আমার কাছে অন্যান্যদের চেয়ে একটু বেশিই ভালো লেগেছিল। এখন দেখলে সম্ভবত আর ভালো লাগবে না। যাহ, নামটাও ভুলে গেছি।
তবে জটিলতার দিক থেকে টাইম ট্রাভেলিং সংক্রান্ত বেস্ট মুভি সম্ভবত প্রিডেস্টিনেশন। গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স আর বুটস্ট্র্যাপ প্যারাডক্স নিয়ে যে খেল দেখাইছে এই মুভি, বলার মতো না।
নিজেই নিজের বাপ, নিজেই নিজের মা, নিজেই নিজের সন্তান ... আনবিলিভ্যাবল! তবে আমার ধারণা এই আইডিয়া নিয়ে সিরিয়াস মুভি না বানিয়ে কমেডি বানালে সেটা আরো বেশি উপভোগ্য হতো
প্রিডেস্টিনেশন দেখার পর ভেবেছিলাম টাইম ট্রাভেলিং নিয়ে যথেষ্ট প্যাঁচ দেখার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। অন্য কিছু দেখে মজা পাবো না। সেই ধারণা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে নেটফ্লিক্সের জার্মান সিরিয়াল ডার্ক। এই সিরিয়ালে যেই প্যাঁচ দিছে, যেই প্যাঁচ দিছে ... পুরাই মাথা নষ্ট হওয়ার জোগাড়।
সীজন ওয়ান দেখার পর সীজন টু দেখতে গিয়ে দেখি সব গিলে খেয়ে বসে আছি, এতোই জটিল কাহিনী। ইউটিউব থেকে রিক্যাপ দেখেও কোনো লাভ হয় না। শেষে বাধ্য হয়ে পুরো সীজন ওয়ান রিভিশন দিয়ে এরপর সীজন টু দেখেছিলাম।
আজ সীজন থ্রি বের হয়েছে। এখন ভাবতে গিয়ে দেখি আবারও সব গুবলেট করে বসে আছি। পাঁচ টাইম লাইনের কাহিনী - একেকজন একইসাথে মাল্টি টাইমলাইনে গিয়ে ঘোরাফেরা করে।
এক টাইমলাইনে একজন আরেকজনের ফুপি, তো নেক্সট টাইমলাইনে তারাই আবার জন স্নো আর খালিসী স্টাইলের প্রেমিক-প্রেমিকা। পরের টাইমলাইনে আবার ... ভয়াবহ ব্যাপার স্যাপার।
শুধু প্যাঁচের জন্য না। মেকিংয়ের দিক থেকেও এটা অসাধারণ একটা সিরিয়াল। চিলিং সাউন্ডট্র্যাকের কথা বাদই দিলাম। আক্ষরিক অর্থেই "ডার্ক" একটা শো। মাস্ট ওয়াচ। তবে অতিরিক্ত সময় থাকলে। প্রতি সীজনে কিউমিউলেটিভ স্টাইলে আগের সবগুলো সীজন দেখে মেমোরি রিফ্রেশ করা বিশাল ঝামেলার কাজ!
টারমিনেটর দেখে অনেক কারণেই মুগ্ধ হয়েছিলাম। সে সময় আমার মুভি দেখার লাইফ মাত্র শুরু। কাজেই মুগ্ধতাটা একটু বেশিই ছিল। টাইম ট্রাভেলিংয়ের অংশটাও সম্ভবত মুগ্ধতার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
এরপর প্রচুর মুভি দেখেছি। টাইম ট্রাভেলিং নিয়েও কম মুভি দেখিনি, যদিও অধিকাংশই খুব একটা মুগ্ধ করতে পারেনি। সম্ভবত টাইম ট্রাভেলিংয়ের ভালো ভালো মুভিগুলো আগেই দেখে ফেলায় অনেক পরে যখন ব্যাক টু দ্য ফিউচার দেখতে বসেছিলাম, তখন সেটাও খুব একটা ভালো লাগেনি।
তাছাড়া ঐ মুভিতে গালফের স্টাইলে মাথায় কেফায়া পরা টেরোরিস্টগুলোকে যেভাবে লিবিয়ান বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেটা দেখে আরো মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
ভালো লাগা কয়েকটা টাইম ট্রাভেলিং সংক্রান্ত মুভির নাম (যেগুলো এই মুহূর্তে মনে পড়ছে) বলি: এক নাম্বারে অবশ্যই দ্য বাটারফ্লাই ইফেক্ট। এটা দেখে পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম। আমার মতে এটা খুবই আন্ডাররেটেড একটা মুভি।
স্প্যানিশ মুভি টাইমক্রাইমসও দারুণ লেগেছিল। একই কনসেপ্টের একটা হলিউড মুভি আছে, ট্রায়াঙ্গেল। সেটাও ভালো। কিন্তু টাইমক্রাইমটাই আমার বেশি ভালো লেগেছে।
সাম্প্রতিক সময়ের মুভির কথা বললে অবশ্যই নোলানের ইন্টারস্টেলারের নাম বলতে হবে। অ্যারাইভালের নামও বলা যায়। যদিও এটার মধ্যে টাইম ট্রাভেলিং অংশটা গৌণ।
এছাড়াও টম ক্রুজ অভিনীত এজ অফ টুমোরোও বেশ ভালো একটা মুভি। দ্য অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যুরো মোটামুটি ভালো লেগেছিল।
সিরিয়াস মুভির বাইরে হালকা ধরনের মুভি দেখতে চাইলে গ্রাউন্ডহগ ডে দেখতে পারেন। টাইম ট্রাভেলিং সংক্রান্ত মজার একটা মুভি।
বিখ্যাত টাইম ট্রাভেলিং মুভির মধ্যে ভালো লাগেনি এরকম মুভি হচ্ছে টুয়েলভ মাঙ্কিজ, প্রাইমার এবং ডনি ডার্কো। ভীষণ স্লো মনে হয়েছে দ্য ম্যান ফ্রম দ্য আর্থকে।
কম বিখ্যাত একটা মুভি কেন যেন আমার কাছে অন্যান্যদের চেয়ে একটু বেশিই ভালো লেগেছিল। এখন দেখলে সম্ভবত আর ভালো লাগবে না। যাহ, নামটাও ভুলে গেছি।
তবে জটিলতার দিক থেকে টাইম ট্রাভেলিং সংক্রান্ত বেস্ট মুভি সম্ভবত প্রিডেস্টিনেশন। গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স আর বুটস্ট্র্যাপ প্যারাডক্স নিয়ে যে খেল দেখাইছে এই মুভি, বলার মতো না।
নিজেই নিজের বাপ, নিজেই নিজের মা, নিজেই নিজের সন্তান ... আনবিলিভ্যাবল! তবে আমার ধারণা এই আইডিয়া নিয়ে সিরিয়াস মুভি না বানিয়ে কমেডি বানালে সেটা আরো বেশি উপভোগ্য হতো
প্রিডেস্টিনেশন দেখার পর ভেবেছিলাম টাইম ট্রাভেলিং নিয়ে যথেষ্ট প্যাঁচ দেখার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। অন্য কিছু দেখে মজা পাবো না। সেই ধারণা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে নেটফ্লিক্সের জার্মান সিরিয়াল ডার্ক। এই সিরিয়ালে যেই প্যাঁচ দিছে, যেই প্যাঁচ দিছে ... পুরাই মাথা নষ্ট হওয়ার জোগাড়।
সীজন ওয়ান দেখার পর সীজন টু দেখতে গিয়ে দেখি সব গিলে খেয়ে বসে আছি, এতোই জটিল কাহিনী। ইউটিউব থেকে রিক্যাপ দেখেও কোনো লাভ হয় না। শেষে বাধ্য হয়ে পুরো সীজন ওয়ান রিভিশন দিয়ে এরপর সীজন টু দেখেছিলাম।
আজ সীজন থ্রি বের হয়েছে। এখন ভাবতে গিয়ে দেখি আবারও সব গুবলেট করে বসে আছি। পাঁচ টাইম লাইনের কাহিনী - একেকজন একইসাথে মাল্টি টাইমলাইনে গিয়ে ঘোরাফেরা করে।
এক টাইমলাইনে একজন আরেকজনের ফুপি, তো নেক্সট টাইমলাইনে তারাই আবার জন স্নো আর খালিসী স্টাইলের প্রেমিক-প্রেমিকা। পরের টাইমলাইনে আবার ... ভয়াবহ ব্যাপার স্যাপার।
শুধু প্যাঁচের জন্য না। মেকিংয়ের দিক থেকেও এটা অসাধারণ একটা সিরিয়াল। চিলিং সাউন্ডট্র্যাকের কথা বাদই দিলাম। আক্ষরিক অর্থেই "ডার্ক" একটা শো। মাস্ট ওয়াচ। তবে অতিরিক্ত সময় থাকলে। প্রতি সীজনে কিউমিউলেটিভ স্টাইলে আগের সবগুলো সীজন দেখে মেমোরি রিফ্রেশ করা বিশাল ঝামেলার কাজ!