সন্তান প্রসবের পর অনেক মা শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন করলে এ ওজন 'বোঝা' হয়ে দাঁড়াতে পারবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা
শারীরিক অনুশীলন
গর্ভধারণের সময় স্বাভাবিকভাবেই দেহের ওজন বেড়ে যায়। সন্তান প্রসবের পর সুস্থ হলেই হাঁটাচলা করা যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটতে হবে। এরপর কয়েক মাস পর থেকে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ধীরে ধীরে বিভিন্ন শারীরিক অনুশীলন শুরু করা যেতে পারে। 'পেলভিক ফ্লোর', 'পেলভিক টিলট', 'লেগ স্লাইডিং/স্ট্রেচ' কিংবা 'অ্যাংকল সার্কলস' ও 'এনহান্স সার্কুলেশন' অনুশীলন বেশি উপযোগী। আজকাল অনলাইনেই মিলবে এসব অনুশীলনের বিস্তারিত।
শিশুকে বুকের দুধ দেওয়া
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের দেহের ওজন ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সময় দিতে হবে শিশু যেন পর্যাপ্ত দুধ পায়, সেদিকে।
খাবার নিয়ন্ত্রণ
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে মাকে খাবার নিয়ন্ত্রণে সতর্ক থাকতে হবে। খাবারে যেন যথেষ্ট পুষ্টিকর উপাদান থাকে, সে জন্য ফলমূল, শাকসবজি, দানাদার খাবার, মাছ-মাংস, সয়া ও দুধ খেতে হবে। সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য ভিটামিন 'সি'-যুক্ত খাবারও খেতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ডিম ও দই খেতে হবে। লোভ সামলাতে হবে মিষ্টিজাতীয় খাবারের।
পর্যাপ্ত ঘুম
প্রায় মা নবজাতকের কারণে পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন না। আর এতে দেহের ওজন ওলটপালট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন অন্তত সাত ঘণ্টার ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। রাতে ঘুমানো সম্ভব না হলে দিনের বেলায় ঘুমানো যেতে পারে।