What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

প্রফেশনালিজম কী ও কীভাবে অর্জন করবেন? (সংগৃহীত) (1 Viewer)

dipu

Administrator
Staff member
Administrator
Joined
Mar 3, 2018
Threads
52
Messages
20,975
Credits
137,838
Camera photo
Camera photo
Mosque
Glasses sunglasses
Pistol
Tomato
ক্যারিয়ারে সাফল্য পাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রফেশনালিজম। এটি একক কোন গুণ নয়। বরং বেশ কয়েকটি গুণের সমষ্টি। আপনি যে ধরনের পেশাতেই যান না কেন, আপনার কাছ থেকে নিয়োগদাতা ও সহকর্মীরা প্রফেশনালিজম প্রত্যাশা করবেন। নিয়মিত চেষ্টা করলে এটি আয়ত্ব করা সম্ভব।


প্রফেশনালিজম বলতে কী বোঝায়?

প্রফেশনালিজম হলো কর্মক্ষেত্রে আপনার সামগ্রিক আচরণ। আপনার অফিসে আসার সময় থেকে শুরু করে সহকর্মীদের সাথে কীভাবে কাজ করছেন – সবকিছু এর অন্তর্ভুক্ত। প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি এক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে সবসময় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এটি নিয়ন্ত্রিত হয় না। বরং আপনার সচেতনতা এখানে বেশি জরুরি।


আপনার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি, সহকর্মী ও কাস্টমার কিংবা ক্লায়েন্ট – সবার সামনে নিজেকে ঠিকভাবে উপস্থাপন করার জন্য প্রফেশনালিজমের গুরুত্ব রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকাশ পায় –

  • আপনি কাজের বেলায় কতটা দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য;
  • আপনার আন্তরিকতা ও ভালো সম্পর্ক তৈরি করার সামর্থ্য;
  • আপনার কাজ ও প্রফেশনাল চিন্তাভাবনার ধরন।

প্রফেশনালিজম কীভাবে অর্জন করবেন?

প্রফেশনালিজমের জন্য সার্বজনীন কোন নিয়ম বা মানদণ্ড নেই। তবে বেশ কিছু কাজের মাধ্যমে আপনার প্রফেশনাল আচরণ প্রকাশ পায়।

ঠিক সময়ে কাজে উপস্থিত থাকুন।

আপনি অফিসে কাজ করুন বা বাসায় বসে ফ্রিল্যান্সিং করুন, কাজের জন্য একটি সময় নির্ধারিত থাকে। সে সময়ে আপনার উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। এর অর্থ হলো, আপনি অন্যদের সময়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই সময়ের কথা খেয়ালে রাখুন। প্রয়োজনে অ্যালার্ম ব্যবহার করুন।

ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন।

ইতিবাচক মনোভাবে আপনার কাজের পারফরম্যান্স ভালো করতে সাহায্য করে। তাই নিজের কাজ ও দায়িত্ব নিয়ে বিরক্ত না হয়ে যথাসম্ভব ধৈর্য সহকারে কাজ করুন। মাথা ঠাণ্ডা রাখতে প্রয়োজনে ছোট বিরতি নিন।

কর্মক্ষেত্র ছাড়াও আপনার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন থাকে। সেখানে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা যেন আপনার কাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সম্ভব হলে ছুটি নেবার চেষ্টা করুন।

দায়িত্বশীলভাবে কাজ করুন।

প্রতিটি কাজের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। দায়িত্বশীলতার সাথে আপনার কাজ সম্পন্ন করুন। ঠিক সময়ে ঠিকভাবে কাজ জমা দিতে পারলে আপনি নিজেও মানসিকভাবে ভালো থাকতে পারবেন।

যদি কাজ নিয়ে কোন সমস্যায় পড়েন, তাহলে সহকর্মীদের সাহায্য চান। বড় সমস্যার ক্ষেত্রে আপনার ম্যানেজার বা নির্বাহী দায়িত্বে থাকা কোন কর্মকর্তাকে জানান।

ভুল হয়ে থাকলে স্বীকার করুন।

কাজের ক্ষেত্রে ছোটখাটো ভুল হওয়া স্বাভাবিক একটা বিষয়। এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা দিলে অন্যের উপর দায় চাপানো থেকে বিরত থাকুন। বরং নিজের ভুল স্বীকার করুন। সাথে কীভাবে সে ভুলকে সংশোধন করা যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিন।

সহকর্মীদের কাজে সাহায্য করার চেষ্টা করুন।

আপনার সহকর্মীরা কাজের বেলায় অনেক সময় সমস্যায় পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে কীভাবে আপনি সাহায্য করতে পারেন, সে ব্যাপারে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। এতে করে আপনার উপর তাদের আস্থা বাড়বে।

যথাযথ আচরণ ও ভাষা ব্যবহারে মনোযোগ দিন।

আপনার বস ও সহকর্মীদের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বিরক্তির উদ্রেক করে বা অস্বস্তিতে ফেলে দেয়, এমন কোন আচরণ এড়িয়ে চলুন।

কর্মক্ষেত্রে সব ধরনের আলাপ – বিশেষ করে ব্যক্তিগত জীবনের আলাপ – সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই অন্যদের সাথে কথা বলার সময় এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন। যদি কোন বিষয়ে দ্বিমত থাকে, তাহলে ভদ্রতার সাথে তা প্রকাশ করুন। তর্কাতর্কি কিংবা উঁচু গলায় কারো সাথে কথা বলা আপনার চাকরি বা ক্যারিয়ারে বড় ধরনের খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কোনভাবেই যেন এ ধরনের পরিস্থিতিতে না পড়েন, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকুন।

পোশাক-পরিচ্ছদের দিকে খেয়াল রাখুন।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পোশাক-পরিচ্ছদের উপর নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। সে নিয়ম মেনে চলে পরিষ্কার পোশাক পরুন।

মার্জিত জামাকাপড়ের সংজ্ঞা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানভেদে আলাদা হয়। তাই কর্মক্ষেত্রে আপনি ঠিক কোন ধরনের পোশাক পরবেন, তা নির্ধারণ করার সময় প্রতিষ্ঠানের নিয়মের কথা মাথায় রাখুন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top