What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ভ্যাম্পায়ার এর ইতিকথা - ভ্যাম্পায়ার কি সত্যিই আছে? (1 Viewer)

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,649
Messages
117,051
Credits
1,241,096
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
IydFneY.jpg


ভ্যাম্পায়ারের বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে রক্তচোষা। এটি মূলত পৌরাণিক বা লোককথার একটি প্রানী যা জীবিত প্রাণীর রক্ত খেয়ে বাঁচে। হাজার হাজার বছর আগে থেকেই ভ্যাম্পায়ারের মিথ প্রচলিত আছে মানবসমাজে। ভ্যাম্পায়ার আসলে কি? কিভাবে তাদের জন্ম হল? বাস্তবে কি ভ্যাম্পায়ার আসলেই আছে? এইরকম বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবো আজ।

ভ্যাম্পায়ার কি?

হলিউডের মুভি-সিরিজগুলো দেখলে মনে হতে পারে ভ্যাম্পায়ার হচ্ছে কোন রূপসী নারী, যার জন্তুর মতো বড় বড় দাঁত রয়েছে। পুরুষ মানুষকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভুলিয়ে ভালিয়ে রক্ত চুষে খাওয়াই এদের কাজ। তবে এই ভ্যাম্পায়াররা শুধুমাত্র রাতেই বের হয়। দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে, কারন সূর্যের আলো এরা সহ্য করতে পারে না। ভ্যাম্পায়ারদের এভাবে উপস্থাপনের পেছনে রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস। চলুন জেনে নেই।

ভ্যাম্পায়ার এর ইতিহাস

চার হাজার বছর আগে মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় ভ্যাম্পায়ারে বিশ্বাস প্রচলিত ছিলো। ইহুদীদের পৌরাণিক কাহিনীতে "লিলিথ" নামে একটি চরিত্র রয়েছে। তাকে বলা হয় সকল অশুভ জীবের মাতা, অর্থাৎ যত ডেমন আছে- সবই এসেছে লিলিথের গর্ভ থেকে। লিলিথ রাতের বেলা অপরূপা সুন্দরী নারীর বেশে পুরুষদের ঘরে প্রবেশ করতো। প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সাথে মিলিত হতো। কিন্তু লিলিথের সাথে মিলন শেষে কোনো পুরুষ বেঁচে থাকতো না। লিলিথ তখন সেই পুরুষদের রক্ত পান করতো এবং গর্ভবতী হতো। তার গর্ভে জন্ম নিতো অজস্র অশুভ জীব।

গ্রিক মিথলজিতেও ভ্যাম্পায়ারের অস্তিত্ব রয়েছে। প্রাচীন গ্রিসে বিশ্বাস করা হতো, রাজা বেলাসের মেয়ে লামিয়া ছিল দেবরাজ জিউসের গোপন প্রেমিকা। জিউসের স্ত্রী দেবী হেরা যখন জেনে যায় লামিয়ার কথা, তখন লামিয়ার সকল সন্তানকে সে হত্যা করে ফেলে। প্রতিশোধস্বরূপ লামিয়া ভ্যাম্পায়ার হয়ে যায় এবং রাতের বেলা শিশুদের রক্ত পান করতে শুরু করে।

মধ্যযুগে ইউরোপে ভ্যাম্পায়ারের ভীতি এত প্রবল ছিল যে, লাশকে হৃৎপিণ্ড বরাবর ফেঁড়ে দেয়া হতো, কারণ বিশ্বাস করা হতো যে, এতে ভ্যাম্পায়ার হয়ে লাশ ফেরত আসতে পারে না। সে সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ডাইনি কিংবা ভ্যাম্পায়ারের সন্দেহে প্রচুর মেয়ে মানুষকে হত্যার প্রমান পাওয়া গেছে। ২০০৬ সালে ভেনিসের কাছে ১৬ শতকের একটি কবরে মুখে ইট দেয়া একটি মহিলা মৃতদেহ পাওয়া যায়, ধারণা করা হয় যে ভ্যাম্পায়ার মনে করে তাকে হত্যা করা হয়েছিলো।

ভ্যাম্পায়ারদের উপর সর্ব প্রথম ১৮১৯ সালে বই লেখেন John Polidori (জন পোলিডরি)। এরপর ১৮৯৭ সালে ব্রাম স্টোকার লেখের তার সেই বিখ্যাত "ড্রাকুলা" উপন্যাসটি। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর রাতারাতি সারা বিশ্বে ভ্যাম্পায়ারের মিথ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। হরর গল্প-উপন্যাস থেকে শুরু করে নাটক-চলচিত্রে ভ্যাম্পায়ারের কনসেপ্ট এর জনপ্রিয়তার পেছনে এই উপন্যাসটি বিশাল ভূমিকা রেখেছে। ২০০০ সালের পর থেকে নিয়মিত ভ্যাম্পায়ারদের জীবন নিয়ে মুভি কিংবা টিভি সিরিজ নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- টুয়েলাইট, আন্ডারওয়ার্ল্ড, ভ্যান হেল সিং, ট্রু ব্লাড, দ্যা অরিজিনালস, দ্যা ভ্যাম্পায়ার ডায়েরিস ইত্যাদি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে- ভ্যাম্পায়ার কি আসলেই আছে?

মানুষের মতো দেখতে ভ্যাম্পায়ারের অস্তিত্বের প্রমান আজও পাওয়া যায় নি। কিন্তু ভ্যাম্পায়ারের মতো স্বভাবের এক ধরণের প্রানী পৃথিবীতে আছে। এরা হলো এক ধরনের বাদুড়। রক্তচোষা বৈশিষ্ট্যের জন্যে এদের বলা হয় ভ্যাম্পায়ার বাদুড়। এরাও রাত্রিবেলা বের হয়। দিনের আলো সহ্য করতে পারেনা বলে গুহা, পরিত্যক্ত কুয়া, ফাঁপা গাছের গুড়ি কিংবা পোড়ো বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এরা গরু, ছাগল এমনকি সুযোগ পেলে মানুষের শরীর থেকেও রক্ত চুষে খায়। তবে আমাদের জন্য ভয়ের কিছু নেই। ভ্যাম্পায়ার বাদুড় মূলত মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বনাঞ্চলে দেখা যায়।
 
These are the rules that are to be followed throughout the entire site. Please ensure you follow them when you post. Those who violate the rules may be punished including possibly having their account suspended.

যারা কমেন্ট করবেন, দয়া করে বানান ঠিক রাখুন। উত্তেজিত অবস্থায় দ্রুত কমেন্ট করতে গিয়ে বানান ভুল করবেন না। আমরা যারা কমেন্ট পড়তে আসি, আমাদের কমেন্ট পড়তে অনেক অসুবিধা হয়।

Users who are viewing this thread

Back
Top