নেতার আবার অভ্যাস একটু-আধটু পান করা। এই দুঃসময়ে পাবেন কোথায়? তাই প্রতিদিন সংগ্রহে থাকা মদ কম করে পান করেন। রাখার সময় বোতল খেয়াল করে দেখেন কতটুকু খেলেন। সন্ধ্যাকালীন পানের পর বোতল রাখতে দেন কাজের ছেলে আবদুলকে। আবদুল অন্য সময় বাংলা খায়। কিন্তু এখন করোনাকালে বাংলা পাবে কই? আর তা ছাড়া সাহেব বলে দিয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইন।
বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। আবদুল বাড়িতেই থাকে। বাড়িতে কাজ করলেও আবদুলও রাজনীতি করে। নেতার সমর্থনে মাঝেমধ্যে মিছিল-মিটিংয়ে যায়। তাই তার গলার স্বরও একটু উঁচু। নেতার পানের পর আবদুলও বোতল থেকে নিয়ে একটু-আধটুু খায়। তারপর পানি মিশিয়ে সমান করে বোতল রেখে দেয়। নেতা পরদিন খাওয়ার সময় দেখেন বোতলে যা রেখেছিলেন সব ঠিক আছে কিনা। তারপর নেতা আবার পান করেন। এদিকে আবদুল তার কাজ করে চলছেই এভাবে চলতে থাকে। একদিন পান করতে গিয়ে নেতা দেখেন মদটা কেমন জানি পানসে। অ্যালকোহলের নামগন্ধ নেই। নেতা বুঝতে পারেন কিছু একটা ঝামেলা হয়েছে। মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়। ড্রয়িংরুম থেকে হাঁক দেন- আবদুল! কই তুই? আবদুল জবাব দেয়, লিডার আমি কিচেনে। নেতা বললেন, তুই হুইস্কিতে পানি মিশিয়ে রেখেছিস কেন? হুইস্কি গেল কই? আবদুল জবাব দেয় না। নেতা ছুটে গেলেন কিচেনে। বললেন, তোকে জিজ্ঞেস করলে জবাব নেই কেন? আবদুল বলল, নেতা! কথা কীভাবে বলব, কিচেনে শুধু নামের ডাকটা শোনা যায়। পরের কথাগুলো শুনতে পাই না। নেতা বললেন, এটা কী ধরনের কথা। আবদুল বলল, লিডার! আপনি কিচেনে থাকুন। আমি ড্রয়িংরুমে গিয়ে ডাক দিচ্ছি। আপনি দেখুন শোনেন কিনা। নেতা এ প্রস্তাবে রাজি হলেন।
আবদুল গেল ড্রয়িংরুমে। বললেন, নেতা শুনতে পান? নেতা বললেন, অবশ্যই শুনতে পাই। এবার আবদুল বলল, ত্রাণের বরাদ্দ চুরি করেছে কেডা? কিচেন থেকে জবাব নেই। পাঁচ তারকা হোটেলে পাপিয়ার আমন্ত্রণে গেছিল কেডা? কিচেন থেকে উত্তর নেই। এবার আবদুল বলল, ভোটের সময় কে বলেছিল সুখে-দুঃখে তোমাদের পাশে আছি। অথচ এখন করোনাকালে লকডাউন হয়ে বাড়িতে বসে আছে কে? সরকারি প্রকল্প থেকে ভোটে খরচ করা টাকা ওঠাল কে? কিচেন থেকে জবাব আসে না। আবদুল কিচেনে গেল। বলল, কিছু শুনতে পেয়েছেন লিডার? জবাবে নেতা বললেন, তুই ঠিক বলেছিস কিচেন থেকে শুধু প্রথম ডাকটাই শোনা যায়। বাকি কিছু শোনা যায় না!
বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। আবদুল বাড়িতেই থাকে। বাড়িতে কাজ করলেও আবদুলও রাজনীতি করে। নেতার সমর্থনে মাঝেমধ্যে মিছিল-মিটিংয়ে যায়। তাই তার গলার স্বরও একটু উঁচু। নেতার পানের পর আবদুলও বোতল থেকে নিয়ে একটু-আধটুু খায়। তারপর পানি মিশিয়ে সমান করে বোতল রেখে দেয়। নেতা পরদিন খাওয়ার সময় দেখেন বোতলে যা রেখেছিলেন সব ঠিক আছে কিনা। তারপর নেতা আবার পান করেন। এদিকে আবদুল তার কাজ করে চলছেই এভাবে চলতে থাকে। একদিন পান করতে গিয়ে নেতা দেখেন মদটা কেমন জানি পানসে। অ্যালকোহলের নামগন্ধ নেই। নেতা বুঝতে পারেন কিছু একটা ঝামেলা হয়েছে। মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়। ড্রয়িংরুম থেকে হাঁক দেন- আবদুল! কই তুই? আবদুল জবাব দেয়, লিডার আমি কিচেনে। নেতা বললেন, তুই হুইস্কিতে পানি মিশিয়ে রেখেছিস কেন? হুইস্কি গেল কই? আবদুল জবাব দেয় না। নেতা ছুটে গেলেন কিচেনে। বললেন, তোকে জিজ্ঞেস করলে জবাব নেই কেন? আবদুল বলল, নেতা! কথা কীভাবে বলব, কিচেনে শুধু নামের ডাকটা শোনা যায়। পরের কথাগুলো শুনতে পাই না। নেতা বললেন, এটা কী ধরনের কথা। আবদুল বলল, লিডার! আপনি কিচেনে থাকুন। আমি ড্রয়িংরুমে গিয়ে ডাক দিচ্ছি। আপনি দেখুন শোনেন কিনা। নেতা এ প্রস্তাবে রাজি হলেন।
আবদুল গেল ড্রয়িংরুমে। বললেন, নেতা শুনতে পান? নেতা বললেন, অবশ্যই শুনতে পাই। এবার আবদুল বলল, ত্রাণের বরাদ্দ চুরি করেছে কেডা? কিচেন থেকে জবাব নেই। পাঁচ তারকা হোটেলে পাপিয়ার আমন্ত্রণে গেছিল কেডা? কিচেন থেকে উত্তর নেই। এবার আবদুল বলল, ভোটের সময় কে বলেছিল সুখে-দুঃখে তোমাদের পাশে আছি। অথচ এখন করোনাকালে লকডাউন হয়ে বাড়িতে বসে আছে কে? সরকারি প্রকল্প থেকে ভোটে খরচ করা টাকা ওঠাল কে? কিচেন থেকে জবাব আসে না। আবদুল কিচেনে গেল। বলল, কিছু শুনতে পেয়েছেন লিডার? জবাবে নেতা বললেন, তুই ঠিক বলেছিস কিচেন থেকে শুধু প্রথম ডাকটাই শোনা যায়। বাকি কিছু শোনা যায় না!