What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

করোনা থেকে বাঁচাতে বাচ্চাদের মাস্ক পরা ও হাত ধোওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন (1 Viewer)

Raz2025

Member
Joined
May 30, 2020
Threads
120
Messages
125
Credits
5,737
দেশজুড়ে লকডাউন চললেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। একটাই স্বস্তির খবর শুনিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা, শিশুদের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কম। চিনের ভাইরোলজির বিজ্ঞানীরা ২৬০০ কোভিড-১৯ আক্রান্ত বাচ্চার উপর এক সমীক্ষা করে জানিয়েছেন যে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে এই রোগের জটিলতা যৎসামান্য।



বিজ্ঞানীরা গবেষণায় প্রমাণ পেয়েছেন যে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলে বড়দের মধ্যে লিম্ফোফেনিয়া অর্থাৎ লিম্ফোসাইট নামক রোগ প্রতিরোধকারী কোষ অত্যন্ত কমে যায়। প্রায় ৮০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের লিম্ফোফেনিয়া হয়, অন্যদিকে বাচ্চাদের মধ্যে এই হার ১০ শতাংশেরও কম। করোনা আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৫ শতাংশ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, কিন্তু বাচ্চাদের মধ্যে এই হার .৮ শতাংশ। তাই শিশুরা আক্রান্ত হলেও সেরে উঠতে সময় লাগে না, বললেনইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পল্লব চট্টোপাধ্যায়।

কিন্তু বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বলে জ্বর, সর্দি বা পেটের অসুখের সমস্যার ঝুঁকি বেশি। তাহলে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ কম হয় কেন? পল্লববাবু জানালেন,কোভিড-১৯ জীবাণুরা মূলত আক্রমণ করে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে থাকা এসিই-২ নামে এক বিশেষ রিসেপটরকে। প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরের বিভিন্ন অংশে, যেমন শ্বাসনালী, ফুসফুস, অন্ত্র, পাকস্থলী ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় অজস্র এসিই-২ রিসেপটর থাকে। কিন্তু শিশুদের শরীরে এই রিসেপটরের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। এই কারণেই বাচ্চারা চট করে সংক্রমিত হয় না। কিন্তু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, অ্যাডিনো ভাইরাস বা ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণে বাচ্চাদের জ্বর, সর্দি হয়। এরা কিন্তু এসিই-২ রিসেপটরকে আক্রমণ করে না। তাই একবার গরম, একবার বৃষ্টি— এই আবহাওয়ায় বাচ্চাদের ভাইরালসর্দি জ্বর হতেই পারে, বললেন পল্লববাবু। আরও কিছু কারণ বাচ্চাদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে, সেগুলি হল—



• জন্মের পর থেকেই শিশুদের নানা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এদের মধ্যে হাম, মাম্পস ও রুবেলার জন্য এমএমআর ভ্যাকসিনের এক বিশেষ প্রোটিনের গঠনের সঙ্গে কোভিড-১৯-এর স্পাইক প্রোটিনের কিছুটা মিল আছে। তবে এসবই হাইপোথিসিস, বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে এখনও গবেষণা করছেন।



• টিবির টিকা বিসিজি-ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে পারে বলে অনেক চিকিৎসাবিজ্ঞানীর অনুমান।



• বড়দের নানান কাজে বাড়ির বাইরে যেতে হয়, কিন্তু স্কুল ছুটি থাকার জন্যে ছোটরা গৃহবন্দি। তাই ওদের সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেক কম।


পল্লব চট্টোপাধ্যায় জানালেন, বাচ্চাদের কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার কম হলেও স্কুল খোলার পর বোঝা যাবে সত্যিই বাচ্চাদের করোনার ঝুঁকি কম কিনা। তবে লকডাউনের সময় বাড়িতে থাকছে বলে ওদের মধ্যে মাস্ক পরা ও বারে বারে সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ভাল হয়। এ জন্য বাড়িতে থাকাকালীনই বেশির ভাগ সময় মাস্ক পরে থাকতে শেখান। চোখেমুখে হাত দেওয়ার দরকার হলে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তবে বাচ্চাদের ট্রেনিং দিতে গেলে বড়দেরও বাড়িতে মাস্ক পরে থাকার অভ্যাস করতে হবে, বড়দের দেখেই ওরা শিখবে। স্কুল খুলে গেলেই যে ছোটরা রাতারাতি মাস্ক পরার অভ্যাস করে ফেলতে পারবে তা কিন্তু নয়। এই কারণেই আগে থেকে সুঅভ্যাস গড়ে তোলার ব্যাপারে জোর দিতে হবে।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শান্তনু রায় জানালেন, শিশুদের কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ হলেই যে জ্বর সর্দি শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা যাবে তা কিন্তু নয়। বাচ্চাদের মধ্যে করোনার প্রকোপ অনেক কম হলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে তাদের পেটের গোলমাল ও ডায়ারিয়া, বমির মতো উপসর্গ দেখা যায়। বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে বাইরে থেকে ফিরে পোশাক বদলে এবং পারলে স্নান করে তার কাছে যান। অনেক শিশুরই নাকেমুখে হাত দেওয়ার বদভ্যাস আছে। লকডাউনের মধ্যে এই বদভ্যাস ছাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। ছোট শিশুদের মুখে মুখ দিয়ে আদর করবেন না, চুমু খাবেন না। জ্বর, পেটের সমস্যা ও বমি হলে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিতে হবে। কোভিড-১৯ হলে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করানো উচিত। ভয় পেয়ে চেপে রাখবেন না,বললেন শান্তনুবাবু। কোভিড-১৯ সংক্রমণ হলেও বাচ্চাদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, তবু হাসপাতালে ভর্তি করে বাচ্চার উপর নজর রাখা দরকার বলে মনে করেন শান্তনু রায়। বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাবার দিন, হাত ধোওয়ার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন আর বাড়িতে থাকলেও খেলাধুলো করতে উৎসাহিত করুন।
 
These are the rules that are to be followed throughout the entire site. Please ensure you follow them when you post. Those who violate the rules may be punished including possibly having their account suspended.

যারা কমেন্ট করবেন, দয়া করে বানান ঠিক রাখুন। উত্তেজিত অবস্থায় দ্রুত কমেন্ট করতে গিয়ে বানান ভুল করবেন না। আমরা যারা কমেন্ট পড়তে আসি, আমাদের কমেন্ট পড়তে অনেক অসুবিধা হয়।

Users who are viewing this thread

Back
Top