What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Review এক লড়কি কো দেখা তো: এ ছবি জীবনকে সুন্দর করার মন্ত্র শেখায় (1 Viewer)

Starling

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Mar 7, 2018
Threads
775
Messages
12,015
Credits
220,609
Recipe wine
Kaaba
Profile Music
Birthday Cake
CSAdUsk.jpg


ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন। বসন্ত এসে গেছে। পথেঘাটে মনখুশ হাওয়া। বইমেলা, সরস্বতী পুজো, ভ্যালেন্টাইন্স ডে। ফুরফুরে প্রেমের মরসুম। সেই মওকা বুঝেই 'এক লড়কি কো দেখা তো' ছবি চেলেছেন বিধুবিনোদ চোপড়া। ভরপুর প্রেমের ছবি। ছবির নাম শুনলেই মনে পড়ে প্রেমের গোটা গানটা। '৯০ দশকে যে গান কত না যুবক-যুবতীকে প্রেমে ফেলেছে! এ ছবি দেখেও প্রেমে পড়বেন আর এক বার। নিশ্চিত।

পঞ্জাবের ছোট এক গ্রামের এক মাঝারি পরিবার। তাতেই সামান্য ব্যবসা সামলে থাকেন অনিল কপূর তাঁর পরিবার নিয়ে। ছবিতেও তাঁর মেয়ে সোনম কপূর। এ দেশের অনেক মেয়ের মতোই ছেলেবেলা থেকে সে একাই বড় হয়। হাজার সামাজিক ঘেরাটোপে। কিন্তু সে মেয়ে স্বপ্ন দেখে, এক দিন তারও ভালবাসা হবে। তারও এক দিন সংসার হবে। কিন্তু স্কুলে কেউ তার সঙ্গে কথা বলে না। তাই সব কথা ডায়েরিতে লেখে সে। ছবি আঁকে চুপ করে।

এক দিন সে মেয়ে বড় হয়। তার জন্য পাত্র দেখা শুরু হয়। কোনও এক বিয়ের অনুষ্ঠানে বিদেশবাসী পাত্রের সঙ্গে আলাপও হয়। কিন্তু সহসা মনে আসে অন্য হাওয়া। সে মেয়ে বোঝে তার প্রেম নারীর প্রতি। পুরুষ না। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক পরিবারে কে বুঝবে তার মন? বাবা-ভাই ঝামেলা করতে থাকে। অশান্তি বাড়ে। কিন্তু সেই মেয়ে ভেঙে পড়ে না। কারণ তার জীবনে আর এক মনভালো বন্ধু এসে গেছে যে! রাজকুমার রাও অভিনীত সেই পুরুষ বন্ধু যেন-বা গল্প হলেও সত্যি-র রবি ঘোষ। শুধু বন্ধুত্ব দিয়েই যে মুক্তি দেবে এই বন্দি নারীকে!

bNTqiEr.jpg


বড় মিষ্টি এ ছবি। বড় মন ভালো করে দেয়। সাধারণ এ গল্পই অসাধারণ লাগে ছবির ধরনে। যখন সোনম কপূরকে কেউ মেনে নিচ্ছে না, তখন নাটকের মাধ্যমে গোটা সমস্যা বাড়ি ও সমাজের সামনে তুলে ধরার প্লট বেশ ভাল লাগে। সিনেম্যটিক ক্যামেরা ও সম্পাদনা অন্যতর ব্যঞ্জনা যোগ করে এ ছবিতে। বলে, ভালবাসাই মূল। বাকি সব বাজে কথা। ভালবাসলে, সত্যি ভালবাসলে, সব অঙ্ক মেলেই। হয়তো একটু দেরি হয়।

0vyp0b7.jpg


সাধারণ এ গল্পই অসাধারণ লাগে ছবির ধরনে।

নিজের ভিন্টেজ ছবির গান দিয়েই ছবির নাম রেখেছেন বিধুবিনোদ। এমনকি, অনিল কপূরকে দেখে বার বার আপনার স্মৃতিতে চলে আসবে '৯০-এর ক্লাসিক ছবিটি। কিন্তু বরাবরই অচেনা পথে হাঁটে বিধুবিনোদের প্রযোজনা। তাই গল্পের কোথাও আগের ছবির ছিটেফোঁটা নেই, প্রেম ছাড়া। বরং আছে সমকালের সমস্যা। সমপ্রেম।

এখানেই ছবিটি সাম্প্রতিক হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে জরুরি। কারণ, এ দেশে যতই আইন পাশ হোক, আজও সমলিঙ্গের অসম্মানই নিয়তি। সোনম কপূরের কান্না তাই অনেক ছেলেমেয়ের কান্না। মোটেই মেলোড্রামাটিক লাগে না, বাপ-মেয়ের শেষ কান্নাকাটি। বরং এই ডায়লগ হয়ে ওঠে অনেক পুরুষতান্ত্রিক বাড়ির কথাবার্তা।

k0I8XMA.png


প্রথম শো'তেই হল প্রায় ভরে ছিল আজ। বোঝা যাচ্ছিল, অনেক দিন ভাল প্রেমের ছবি দেখেনি মানুষ। তাই প্রেমিক-প্রেমিকার ভিড় ছিল বেশি। শুধু ব্ল্যাক কমেডি আর যুদ্ধের ছবি যখন বলিউডে মুখ্য হয়ে উঠেছে, তখন বার বার প্রেমের ও বন্ধুত্বের গল্পই বলেছে বিধুবিনোদ চোপড়ার প্রযোজনা। তা কখনও হয়েছে মুন্নাভাই-তে তো কখনও থ্রি ইডিয়টস-এ। হাসতে হাসতেই সমাজকে ধাক্কা মেরেছে তাঁর প্রযোজিত ছবি। বদলাতে চেয়েছে। এ ছবিও তাই শেষমেশ গিয়ে জীবনকে আর একটু সুন্দর করার মন্ত্রই শেখায়, প্রেমের ছদ্মবেশে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top