বাবা কী করেন?
আমার বাবা ডাক্তার।
আমার বাবা স্কুলে পড়ায়।
আমার বাবা সিনেমা তৈরি করে।
আর মা?
হাউজওয়াইফ।
বাকিদেরও উত্তর একই। মা হাউজওয়াইফ। বেশির ভাগ মায়েরা, বেশির ভাগ মেয়েরা এই ২০১৯-এও 'হাউজওয়াইফ'। সেটাই তাঁদের পেশা। কোনও পারিশ্রমিক ছাড়া পেশা…। পুরুষরাও যেন তাঁর নারীকে হাউজওয়াইফ হিসেবেই বেশি পছন্দ করেন। প্রেমিকা বউ হয়ে সন্তানের মা হবে, সংসার সামলাবে, শান্তির আশ্রয় হয়ে উঠবে— তবেই তো সুখ…।
ওই যে মেয়েটা ছবি আঁকতে ভালবাসত, যে মেয়েটা গান না গাইলে ঘুমোতেই পারত না, যে মেয়েটার রান্নার হাত ছিল চমত্কার— তারা সকলেই বিয়ের পর হাউজওয়াইফ হয়েই থেকে যায়। শিল্পী হওয়ার, শেফ হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে যায়।
কিন্তু শিল্পা বোধহয় কিছুটা আলাদা। 'কেকওয়াক'-এ শিল্পা ওরফে এষা দেওল। রামকমল মুখোপাধ্যায় এবং অভ্র চক্রবর্তী আদ্যন্ত বাঙালি মেয়েটির স্বপ্নকে মরে যেতে দেননি। বদলে যাওয়া কলকাতার চালচিত্রে বুনেছেন এক মায়াবী গল্প।
কারও মনের নাগাল পেতে গেলে সহজ উপায় হল উদরপূর্তি। হাতের রান্না খেয়ে যদি কেউ খুশি হন, তা হলে তাঁর মনের নাগাল নাকি সহজেই পাওয়া যায়। এই প্রবাদবাক্য যে কতটা সত্যি, তা রয়েছে 'কেকওয়াক'-এর পরতে পরতে। পছন্দের রান্না খেয়েই মনে পড়ে যায় হারিয়ে যাওয়া প্রেম। বহু বছর পরে নিজের ভুলটা স্বীকার করতে ইচ্ছে করে। আবার ক্ষমাও করে দেওয়া যায় হাসিমুখেই…।
মা হওয়ার পরে 'কেকওয়াক' দিয়েই অনস্ক্রিন ফিরেছেন এষা। তাঁর অভিনয় সাবলীল। অনিন্দিতা বসু, তরুণ মলহোত্রও যথাযথ। জীবনটা যে সত্যিই কেকওয়াক নয়, তা বুঝিয়ে দেয় এই শর্টফিল্ম।