What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

মৃত সাগরের রহস্য উন্মোচন – কেন এই সাগরের বুকে মানুষ ভেসে থাকে? (1 Viewer)

MOHAKAAL

Mega Poster
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
2,244
Messages
15,924
Credits
1,440,354
Thermometer
Billiards
Sandwich
Profile Music
French Fries
kXdOJnT.jpg


পৃথিবীর বুকে এখনও এমন কিছু রহস্য আছে, যেগুলো হাজার বছর ধরে অমীমাংসিত। এ রকমই একটি অপার রহস্যের নাম ডেড সি বা মৃত সাগর । এই জর্ডানে অবস্থিত ডেড সী বা মৃত সাগর পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে লবনাক্ত জলাশয় গুলোর মধ্যে একটি। সাগর বলা হলেও এটি মূলত একটি লেক বা হ্রদ, যার সর্বোচ্চ গভীরতা ১,২৪০ ফুট। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৭ কিলোমিটার এবং প্রস্থে সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার। এই হ্রদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল- এখানে মানুষ অনায়াসে ভাসতে পারে। অর্থাৎ, আপনি এই সাগরে কিছুতেই ডুববেন না! কিন্তু কি করে তা সম্ভব? এবার চলুন মৃত সাগর বা ডেড সি এর এই রহস্য সম্পর্কে জেনে নেই।

কীভাবে সৃষ্টি হল মৃত সাগর বা ডেড সি?

জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য পরিক্ষা করে জানা যায় যে- প্রায় তিন মিলিয়ন বছর আগে বর্তমান জর্ডান নদী, ডেড সি এবং ওয়াদি আরাবাহ অঞ্চলটি প্বার্শবর্তী লোহিত সাগরের পানিতে বারবার পল্গাবিত হতো। এই প্লাবনের ফলে একটি সরু উপসাগরের সৃষ্টি হয় এখানে। উপসাগরটি জেজরিল উপত্যকায় একটি সরু সংযোগের মাধ্যমে লোহিত সাগরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বিজ্ঞনীদের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন বছর আগে এই উপত্যকা এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী স্থলভাগ অনেক উঁচু হয়ে যায়। ফলে মহাসাগরের প্লাবনে এই অঞ্চলে সৃষ্ট উপসাগরটি চারিদিকে ভুমি পরিবেষ্টিত হয়ে হ্রদে পরিণত হয়। ২৬,০০০ বছর আগে এটির পানি সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছায়। কিন্তু প্রায় ১০,০০০ বছর আগে এর পৃষ্ঠ উচ্চতা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেতে শুরু করে, যা সম্ভবত বর্তমান পৃষ্ঠ উচ্চতার চেয়েও কম ছিল। গত কয়েক হাজার বছর ধরে এর পানির পৃষ্ঠ উচ্চতা মোটামুটি ৪০০ মিটারের আশপাশে অবস্থান করছে। তখন থেকেই অতিরিক্ত লবন জমে এই লেকের পানি ভারি হয়ে যায়। ঘনত্ব অনেক বেশি হওয়ার ফলে এখানে যেকোনো বস্তু ভেসে থাকতে পারে।

5jmjmu9.jpg


কেন এই সাগরে মানুষ ডোবেনা?

গবেষকরা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, যেকোনো মহাসাগরের পানির তুলনায় ডেড সির পানিতে মিশে থাকা খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। ডেড সি বা মৃত সাগরের পানিতে লবণাক্ততা শতকরা ৩০%, যা বিশ্বের আর কোথাও নেই। ফলে পানির ঘনত্ব ১.২৪। আর পানির এ ঘনত্বের কারণে এখানে কোনো বস্তু পানিতে ডোবে না। তাই মানুষ এ মৃত সাগরে বসে বা শুয়ে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে থাকতে পারে। রাসায়নিক উপদানসমূহ অত্যধিক পরিমাণে বেশি হওয়ায় এখানে কোনো ধরনের প্রাণী বসবাস করতে পারে না, শুধু কয়েক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া ছাড়া। যার কারণে এ সাগরে মাছ কিংবা অন্য কোনো প্রাণী নেই। মাছ না থাকার কারণে এ হ্রদের ওপর দিয়ে কখনও পাখি উড়তে দেখা যায় না। মৃত সাগরে মাছ থাকতে না পারলেও মানুষের জন্য একেবারে স্বর্গ।

aWKb8Pb.jpg


সব রোগশোকে ভুগতে থাকা রোগীদের বায়ু পরিবর্তনের এক আদর্শ জায়গা এই মৃত সাগর। বিশেষ করে নানা জটিল চর্মরোগে আক্রান্ত রোগীদের থাকার জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা আর হয়ই না। অনেকে বিশ্বাস করেন, ডেড সির কাদা অনেক ধরনের রোগ নিরাময়ে সহায়ক। আর এ কারণে এ অঞ্চলটি চিকিৎসা শাস্ত্রের গবেষণাস্থল হয়ে উঠেছে। এর মূলে রয়েছে হ্রদের পানিতে খনিজ দ্রব্যাদির বিপুল উপস্থিতি, বাতাসে এলার্জি উৎপাদক দ্রব্য এবং পরাগরেণুর স্বল্পতা, উচ্চ ভূ-মণ্ডলীয় চাপ, সৌর বিকিরণে অতিবেগুনি উপাদানের কম উপস্থিতি।

আরও জানুন উইকিপিডিয়া থেকে।
 
These are the rules that are to be followed throughout the entire site. Please ensure you follow them when you post. Those who violate the rules may be punished including possibly having their account suspended.

যারা কমেন্ট করবেন, দয়া করে বানান ঠিক রাখুন। উত্তেজিত অবস্থায় দ্রুত কমেন্ট করতে গিয়ে বানান ভুল করবেন না। আমরা যারা কমেন্ট পড়তে আসি, আমাদের কমেন্ট পড়তে অনেক অসুবিধা হয়।

Users who are viewing this thread

Back
Top