কানাডার আঞ্জিকুনি গ্রামের নাম শুনেছেন কখনও? আপনি হয়ত ভাবছেন এই গ্রামের নাম শোনার মত কি আছে? যদি অতিপ্রাকৃত কোন কিছুতে আপনার বিশ্বাস না থাকে, তাহলে না শোনাই ভাল। কারণ এই গ্রাম সম্পর্কে আপনি যা কিছু শুনবেন তার সবই আপয়ান্র কাছে অবিশ্বাস্য বলে মনে হবে! আজ থেকে প্রায় এক শতাব্দি আগে এই গ্রামে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল? একদিন এই গ্রামের প্রায় ২০০০ মানুষ একই সাথে গায়েব হয়ে যায়! তাই তো ভিলেজ অফ ডেড বলা হয় এই গ্রামকে। আজ আপনাদের সেই অবিশ্বাস্য রহস্যের কথাই শোনাব।
ভিলেজ অফ ডেড এর ইতিহাস
১৯৩০ সালের কথা। উত্তর কানাডার এক ছায়া ঢাকা শান্ত সুনিবিড় গ্রাম আঞ্জিকুনি। মূলত আঞ্জিকুনি নামক জলাশয়ের ধারে অবস্থান বলেই একে সবাই আঞ্জিকুনি গ্রাম নামে চিনতো। একদিন জো লেবেল নামে একজন মানুষ আঞ্জিকুনি গ্রামে এসে উপস্থিত হন। এর আগেও বিশেষ কাজে তিনি বেশ কয়েকবার এই গ্রামে এসেছেন এবং গ্রামের মানুষদের সাথে তার চেনাজানা আছে। কিন্তু এবার এসে তার তো চক্ষু চড়কগাছ! পুরো গ্রামটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কোথাও কোন জনমানব নেই। একেবারে কর্পুরের মত হাওয়া – যেন বাতাসে মিলিয়ে গিয়েছিল সবাই। ইতিহাস বলে এই গ্রামে কম করে হলেও ২০০০ লোক বসবাস করত। গ্রামে অনেক দোকান-পাট, রাইফেল বা অস্ত্র-সস্ত্র এবং ঘরবাড়ি ছিল – কিন্তু কোন গ্রামবাসীকে কখনও খুজে পাওয়া যায়নি।
লেবেল ফিরে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে এক বিশেষ তদন্তকারী টিমকে পাঠানো হল। তারা প্রত্যেকটি বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও কোন মানুষের চিহ্ন দেখল না, এমনকি একটা পায়ের ছাপও কোথাও পাওয়া যায়নি। গ্রামে বেশ কিছু স্লেজ-গাড়ি টানা কুকুর ছিল। সেগুলোকে পাওয়া গেল ১২ ফুট গভীর বরফের নিচে মৃত অবস্থায়। অদ্ভুত কোন কারনে তারা মরে গিয়েছিল। কিন্তু কিভাবে মরে গেল? না খেতে পেয়ে তো মরার কথা নয়। কারন গ্রামের গুদাম ঘরগুলোতে প্রচুর খাবার সামগ্রী পড়ে আছে।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ব্যাপার হচ্ছে গ্রামের ভেতর এস্কিমোদের পুরনো কবর গুলোর ভেতর কফিনে সংরক্ষিত মৃতদেহ গুলোও উধাও! ঐ গ্রামের যে কবসস্থান ছিল তার কবরগুলোর মধ্যে অন্ত্ত একটি কবরস্থান খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়। এবং এটাও নিশ্চিত করা হয় যে কোন প্রানী এটি খুড়েনি বা প্রাকৃতিক ভাবেও খুলে যায়নি।
আরও বিস্তারিত আছে এই ওয়েব সাইটে।
আসলে কি ঘটেছিল সেই গ্রামে?
আসলে কি হয়েছিল সে গ্রামে? অনেকেই বলছেন যে এই ঘটনার সাথে এলিয়েন এর যোগ সাজোস আছে। হতে পারে যে কোন এলিয়ে প্রজাতি এসে এক রাতের মধ্যে সমস্ত মানুষকে এবডাক্ট করে তুলে নিয়ে গেছে। আবার অনেকে বলে যে ভুত বা প্রেতাত্মার কারনে এমনটা হয়েছিল। আবার স্থানীয়ভাবে আশে পাশের গ্রামের লোকজন মনে প্রানে বিশ্বাস করে যে এই ঘটনা ভ্যাম্পায়ার রা ঘটিয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা যদিও এসব হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল সে সময়, কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ এই রহস্য উদঘাটন করতে পারে নি।