বলতে গেলে বাংলাদেশে বর্ষা শুরুই হয়ে গেছে। বর্ষা মানেই রোগ জীবাণুর ছড়াছড়ি। তাই এ সময়ে একটু সাবধান থাকতে হবে। তা না হলে ছড়াতে পারে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, কলেরা, টাইফেড, ডায়রিয়া, হেপাটাইটিস রোগ। মূলত বর্ষার সময় বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। তাই বর্ষার সময়ে অন্য সময়ের চেয়ে শরীর ও ত্বকের একটু বেশি বেশি যত্ন নেওয়া উচিত।
খাবারের প্রতি সচেতন থাকা
বর্ষার সময় একটু হালকা ডায়েট করা উত্তম। তাছাড়া মোসুমীর ফল যেমন- আম, বেদানা, কাঠাল, লিচু, নাসপাতি, আপেল, খেজুর খাওয়া ভাল। তাছাড়া অতিরিক্ত পরিমানে তিতো শাক-সব্জি খাওয়া ভাল। যেমন-উচ্চে, নিম। পালং শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি এ সময়ে যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। কাঁচা শাক-সব্জি না খাওয়াই ভাল কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া সহজেই ছড়িয়ে পরতে পারে। কিন্তু এই শাক-সব্জিগুলা ভাল করে সুষম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে খাওয়ার উপযোগী করে খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া বর্ষার সময় মানব শরীরের হজম শক্তিও কমে যায়। পানি আমাদের হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে তাই বর্ষার সময় প্রচুর পরিমানে পানি পান করা ভাল। মাঝে মাঝে একটু হার্বাল টি যেমন- গোলমরিচ, আদা, মধু, তুলসি, পুদিনা চা খাওয়া স্বাস্থের জন্য খুবই ভাল। এসব চায়ের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকে যা শরীরের ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।
চলাচলের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা
বর্ষার সময় বৃষ্টি ও কাদা জমা রাস্তার মধ্যে দিয়ে না হাটা সবচেয়ে ভালো। এসব স্থানে বিভিন্ন রকমের জলবাহিত রোগের জীবাণু থাকতে পারে। এই জীবাণু সংক্রমনের ফলে হাত, পায়ের নখে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফাংগাল ইনফেকশনও হতে পারে। বর্ষাকালে মূলত পানি ও বায়ু বাহিত রোগের সংক্রমন সবচেয়ে বেশি হয়। এসব রোগ পানি ও বাতাসের মাধ্যমে সহজেই ছড়িয়ে যেতে পারে বলে পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এজন্য বর্ষা কালে আমাদের সবাইকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি পরিমানে খাওয়া-দাওয়া ও চলাফেরায় সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।