বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসকদের গবেষণায় দেখা গেছে, যে সব পুরুষ নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখেন বা সেক্সুয়াল ইমেজ নিয়ে নিয়মিত নাড়া চাড়া করেন, তাদের ব্রেনের আকার পরিবর্তিত হয়ে সাধারণ পুরুষের ব্রেনের চাইতে আকারে ছোট হয়ে যায়।
জার্মান সাইকিয়াট্রি জার্নালে এক স্টাডির রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়। চিকিৎসকগণ তাদের গবেষণায় সাধারণ পুরুষদের ব্রেনের সাথে পর্ণ ছবি দেখতে অব্যস্থ পুরুষদের ব্রেনের তুলনা করে এমন রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাদের গবেষণায় তারা সেক্স্যুয়াল ইমেজ ও সেক্স্যুয়ালি যারা বেশী জড়িত তাদের ক্ষেত্রে এমন রিপোর্ট তারা পেয়েছেন তবে তারা এটাও বলছেন, পর্ণ ছবিই দেখা কেবলমাত্র ব্রেনের সাইজ ছোট বা পরিবর্তনের জন্য একমাত্র কারণ কিনা সে সম্পর্কে তারা এখনো নিশ্চিত নন। এইসব বিশেষজ্ঞদের মতে ষ্ট্রিয়াটোম নামের একপ্রকারের সেনসিটিভ বিকল্প থিওরি যা পর্ণগ্রাফিতে মানুষকে আসক্ত করে, সেইসকল পুরুষদের ব্রেইন আকারে পরিবর্তন এনে থাকে বলে তাদের ধারণা।
বার্লিনের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনিষ্টিটিউটের ডঃ সাইমন কোহন, যিনি এই পেপারের অথর ও লিড গবেষক তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত গবেষণায় এ সম্পর্কে তাদের কাছে একমাত্র কারণ হিসেবে চিহ্নিত নয়, তাই এ ব্যাপারে এর বেশী কিছু তারা বলতে পারছেননা।
ডঃ কোহন এবং তার অনুসারীরা জার্মানির চারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল প্রায় ৬৪ জন সুস্থ সুঠাম দেহের পুরুষ যাদের বয়স ২১ থেকে ৪৫ এর মধ্যে, তাদের উপর গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে প্রাথমিক তথ্যে উপনীত হয়েছেন, তারা দেখতে পেয়েছেন, সুস্থ সুঠাম দেহের পুরুষদের ব্রেনের তুলনায় যারা পর্ণ ছবিতে আসক্ত, তাদের ব্রেনের আকার ছোট হয়ে আসে।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ডঃ গ্রে টাও মনে করেন, তাদের এই প্রাপ্ত তথ্য তেমন বিস্ময়কর নয় এই কারণে যে, অধিকহারে পর্ণতে আসক্তি পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত: এমন হতে পারে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এমন কোন গবেষণার তেমন কোন তথ্য উপাত্ত এখনো অনাবিষ্কৃত। তিনি বলেন, ডঃ কোহন ও তার দল বলছেন, তাদের তথ্যে তারা এখনো নিশ্চিত নন কেবল মাত্র পর্ণ আসক্তিতেই ব্রেনের আকার ছোট হয় কিনা- এমন তথ্য নিশ্চিত নন তারা।
ডঃ গ্রে টাও মনে করেন, অন্যান্য আনুষঙ্গিক সাইকোলজিক্যাল কারণের সাথে অধিক হারে পর্ণতে আসক্তির কারণে কিংবা উভয় কারণে ব্রেনের আকার পরিবর্তন হতে পারে। তবে ডঃ কোহন এবং তার দল পর্ণ আসক্তিতে ব্রেনের উপর প্রভাব নিয়ে আরো বেশী গবেষণা করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন, যা তারা ভবিষ্যতে আরো বেশী হারে স্টাডি করার প্রয়োজনীয়তার উপরও গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রতিদিন প্রায় ৫ লাখ পর্নোগ্রাফিক ছবি পোস্ট হয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে। আর এসকল ছবি দেখছে শিশুরাও। কিন্তু ডেইলি মেইল জানয়েছে, টুইটার এসকল ছবি মুছে ফেলতে আগ্রহী নয়। টুইটারে একটি টুইটের মাধ্যমেই লাখ লাখ অনুসারির কাছে সহজেই পৌঁছানো যায়। আর পর্ণ কন্টেন্ট বিষয়ে টুইটারে কোন ক্লাসিফিকেশন না থাকায় খুব সহজেই এসব ছবি চলে যাচ্ছে শিশুদের নাগালের মধ্যে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। সাধারণত ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে অ্যাডাল্ট কন্টেন্টের ব্যাপারে রিপোর্ট করা গেলেও টুইটারে সেই সুযোগও নেই। কিন্তু এরপরও এসকল কন্টেন্ট সরাতে আগ্রহী নয় টুইটার।
সূত্রঃঢাকা রিপোর্ট/১৫-ইএন